০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান চীনের গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম ও অ্যান্টিমনি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা স্থগিত, নিয়ন্ত্রণ বহাল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান সাময়িক বরখাস্ত ব্র্যাকের নবায়নযোগ্য শক্তি উদ্যোগ: ৩২টি স্থাপনায় ৪.০৬ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল, মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই হাইকোর্টের রায়: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল, ইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষিত ট্রাম্পের চোখ বন্ধ মুহূর্তের  ছবি নিয়ে তোলপাড়, হোয়াইট হাউসের দাবি—“প্রেসিডেন্ট ঘুমাননি”

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৪৮)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • 14

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 অথবা ব্যাসদেব যখন ঐ একই উপাখ্যান যুধিষ্ঠিরকে বলছেন তাতেও সংখ্যার পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে এই উপাখ্যানের বিষয়বস্তু থেকে স্পষ্টই বলা যায় দশাঙ্ক সংখ্যা এ’রা প্রত্যেকেই জানতেন। যাই হোক উক্ত তিনজনের উক্তি তিনটি তুলে ধরছি:

পুরোহিত ধৌম্যের উক্তি- “বিংশতিঃ সপ্তচাষ্টৌ চ হয়মেধানুপাহরং”।

নীলকণ্ঠ এটির টীকাতে বলেছেন- “বিংশতিঃ বিংশতিবারমাবত্তিতঃ সপ্ত অষ্টো চেতি অষ্টচত্বারিংশদধিকং শতম্। ত্রয়স্ত্রিংশভূতং রাজেতি তু শ্রুতিঃ। বিংশতিমিতি পাঠেহন্তহীনসংখ্যত্বাৎ পঞ্চত্রিংশৎ।

যাই হোক সোজা কথায় বলা যায় যে, নীলকণ্ঠ মনে করতেন-

অশ্বমেধ যজ্ঞানুষ্ঠানের সংখ্যা এক্ষেত্রে ১৪৮ (২০০৭+৮) কিন্তু ‘বিংশতিঃ’ স্থলে বিংশতিং ধরলে এটি হবে ৩৫ (২০+৭+৮)।

বেদব্যাসের উক্তি:

সোহশ্বমেধশতেনেষ্ট। যমুনামনু বীৰ্য্যবান্।
ত্রিশতাস্বান্ সরস্বাত্যাং গঙ্গামনু চতুঃশতাম্।

অর্থাৎ,যমুনা নদীর তীরে ১০০, সরস্বতীর তীরে ৩০০ ও গঙ্গাতীরে ৪০টি অশ্বমেধ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছিলেন।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৪৭)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৪৭)

জনপ্রিয় সংবাদ

৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৪৮)

১০:০০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 অথবা ব্যাসদেব যখন ঐ একই উপাখ্যান যুধিষ্ঠিরকে বলছেন তাতেও সংখ্যার পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে এই উপাখ্যানের বিষয়বস্তু থেকে স্পষ্টই বলা যায় দশাঙ্ক সংখ্যা এ’রা প্রত্যেকেই জানতেন। যাই হোক উক্ত তিনজনের উক্তি তিনটি তুলে ধরছি:

পুরোহিত ধৌম্যের উক্তি- “বিংশতিঃ সপ্তচাষ্টৌ চ হয়মেধানুপাহরং”।

নীলকণ্ঠ এটির টীকাতে বলেছেন- “বিংশতিঃ বিংশতিবারমাবত্তিতঃ সপ্ত অষ্টো চেতি অষ্টচত্বারিংশদধিকং শতম্। ত্রয়স্ত্রিংশভূতং রাজেতি তু শ্রুতিঃ। বিংশতিমিতি পাঠেহন্তহীনসংখ্যত্বাৎ পঞ্চত্রিংশৎ।

যাই হোক সোজা কথায় বলা যায় যে, নীলকণ্ঠ মনে করতেন-

অশ্বমেধ যজ্ঞানুষ্ঠানের সংখ্যা এক্ষেত্রে ১৪৮ (২০০৭+৮) কিন্তু ‘বিংশতিঃ’ স্থলে বিংশতিং ধরলে এটি হবে ৩৫ (২০+৭+৮)।

বেদব্যাসের উক্তি:

সোহশ্বমেধশতেনেষ্ট। যমুনামনু বীৰ্য্যবান্।
ত্রিশতাস্বান্ সরস্বাত্যাং গঙ্গামনু চতুঃশতাম্।

অর্থাৎ,যমুনা নদীর তীরে ১০০, সরস্বতীর তীরে ৩০০ ও গঙ্গাতীরে ৪০টি অশ্বমেধ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছিলেন।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৪৭)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৪৭)