অন্তর্বতী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আদালতের এই আদেশে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আপিল বিভাগের আদেশ
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরে চেম্বার জজ আদালত রবিবার এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে মনজুরুল আলম পান্না হাজির হন।
আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা
আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ফজলুর রহমান ও এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত
এর আগে ঢাকার সিএমএম আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালত লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন। পরে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।
মামলার প্রেক্ষাপট
শাহবাগ থানায় করা ওই মামলায় গত ২৯ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, আবদুল্লাহ আল আমিন, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মহিউল ইসলাম (বাবু), জাকির হোসেন, তৌছিফুল বারী খান, আমির হোসেন সুমন, আল আমিন, নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও আবদুল্লাহিল কাইয়ূম।
অভিযোগের বিবরণ
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত থেকে লতিফ সিদ্দিকী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অন্তর্বতী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৭০–৮০ জন। পরে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
#লতিফ_সিদ্দিকী #জামিন #আপিল_বিভাগ #বাংলাদেশ_বিচারব্যবস্থা #সন্ত্রাসবিরোধী_আইন
স্টাফ রিপোর্টার 



















