০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
গাঁজার নির্যাসে দীর্ঘমেয়াদি পিঠের ব্যথা কমার প্রমাণ মিলছে গবেষণায় ছোট বিমানবন্দরের বড় সুবিধা, ভিড় আর ঝামেলা এড়িয়ে বদলাচ্ছে যাত্রীদের উড়াল অভ্যাস ভারী বর্ষণে দক্ষিণ স্পেনে আকস্মিক বন্যা, নিহত ১ নিখোঁজ ২ হলিউডের অন্ধকার পর্দা: ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিকানা লড়াইয়ে অনিশ্চিত প্রেক্ষাগৃহের ভবিষ্যৎ আরব লিগের কড়া বার্তা, সোমালিল্যান্ড স্বীকৃতি মানে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙা জাপানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ নীতিতে বড় মোড়, ফুকুশিমার পর ফের চালু হচ্ছে বৃহত্তম রিঅ্যাক্টর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ইউরোপের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ের ঘোষণা ইসরায়েলের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে আরব ইসলামি আফ্রিকান ঐক্য, সোমালিল্যান্ড প্রশ্নে তীব্র নিন্দা সোনার দামে নতুন ইতিহাস, টানা অষ্টম দফা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ চূড়া কাঁপছে গোমতী সেতু, যান চলাচল সাময়িক বন্ধ

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • 91

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান, হাড় কাঁপানো বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, বর্তমানে জেলাজুড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সন্ধ্যা থেকে শীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়ছে এবং রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করেছে।

এদিকে, শীত উপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ঘরের বাইরে আসতে হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে। হাটবাজারের শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিকদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাজের সন্ধানে শহরে এসে অনেকে কাজ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। শীত উপেক্ষা করে রিকশাচালকরা যারা শহরে গিয়েও যাত্রী পাচ্ছেন না, তাদের জন্যও পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে।

জেলা সদরের সরোজগঞ্জের দিনমজুর সোহাগ মিয়া বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গা শহরে আসতে হয়। এত শীতে সাইকেল চালিয়ে শহরে পৌঁছানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। হাত অবশ হয়ে পড়ে। শীতে কাজও তেমন একটা নেই। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সেই জন্য কাজও পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রাকচালক জাকির হোসেন জানান, এ এলাকায় চরম শীত পড়েছে। কুয়াশাও রয়েছে আকাশে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে পড়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রানা মিয়া বলেন, ‘শীতের জন্য মানুষ কম চলাচল করছে বাইরে। হোটেল খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। যাদের প্রয়োজন তারাই বাজারে আসছেন। শীতের তীব্রতা খুব বেশি, দিনে ও রাতে একই রকম অনুভূত হচ্ছে।’

ইউএনবি নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

গাঁজার নির্যাসে দীর্ঘমেয়াদি পিঠের ব্যথা কমার প্রমাণ মিলছে গবেষণায়

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

০৫:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান, হাড় কাঁপানো বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, বর্তমানে জেলাজুড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সন্ধ্যা থেকে শীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়ছে এবং রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করেছে।

এদিকে, শীত উপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ঘরের বাইরে আসতে হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে। হাটবাজারের শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিকদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাজের সন্ধানে শহরে এসে অনেকে কাজ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। শীত উপেক্ষা করে রিকশাচালকরা যারা শহরে গিয়েও যাত্রী পাচ্ছেন না, তাদের জন্যও পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে।

জেলা সদরের সরোজগঞ্জের দিনমজুর সোহাগ মিয়া বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গা শহরে আসতে হয়। এত শীতে সাইকেল চালিয়ে শহরে পৌঁছানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। হাত অবশ হয়ে পড়ে। শীতে কাজও তেমন একটা নেই। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সেই জন্য কাজও পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রাকচালক জাকির হোসেন জানান, এ এলাকায় চরম শীত পড়েছে। কুয়াশাও রয়েছে আকাশে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে পড়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রানা মিয়া বলেন, ‘শীতের জন্য মানুষ কম চলাচল করছে বাইরে। হোটেল খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। যাদের প্রয়োজন তারাই বাজারে আসছেন। শীতের তীব্রতা খুব বেশি, দিনে ও রাতে একই রকম অনুভূত হচ্ছে।’

ইউএনবি নিউজ