০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৫)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • 17

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ইনকাদের পোশাক এবং বয়ন শৈলীর সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পোশাকের বিজ্ঞান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে গরম জলহাওয়ার দেশের পোশাকে একটা খোলামেলা ভাব থাকে। পোশাকে থাকে কম সেলাই। কারণ জামা কাপড়ের মধ্যে যাতে হাওয়া খেলতে পারে। এই সূত্র থেকেই দেখা গেছে আন্দেস পর্বতমালার ঠাণ্ডা অঞ্চলের পোশাক বা জামাকাপড়ে সেলাই বেশি রাখা হয়।

ইনকাদের হাল্কা পোশাকের কারণ হল তারা গরমের দেশ থেকে এসেছিল এবং নাগাদের মত পোশাকে সেলাই কম ছিল। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে মেয়েরা অনেক সময়েই চুল কাটত না। যত্ন করে চুল লম্বা রেখে দিত। চুলের মাঝখানে থাকত একটা সিঁথি। (অনেকটা ভারতীয় মেয়েদের মত)। এই লম্বা চুল পিঠ পর্যন্ত ঝুলে থাকত। আবার স্বামী মারা গেলে চুল ছেঁটে ছোট করে দিত। এই রীতির সঙ্গে ভারতীয় বিধবা মহিলাদের রীতির মিল লক্ষ্য করা যায়।

পোশাক জামা-কাপড় তৈরির দক্ষতা প্রসঙ্গে ইনকাদের হস্তশিল্প বা হাতের কাজ-এর কারিগর-এর কথা একটু বলা যায়। ইনকা সমাজে হস্তশিল্পীদের বিশেষ সম্মানের চোখে দেখা হয়। এই হস্তশিল্পের মধ্যে আছে সোনা ও রূপার কাজ। আমাদের দেশে যাদের বলা হয় স্বর্ণকার। সোনার ছোট-ছোট পাত দিয়ে তারা নানারকম অলংকার বানাত। এই অলংকার-এর নাম আজকের মত না হলেও কান, মাথা হাতে পরার জন্য নানান আকারের অলংকার তৈরি করা হত। এছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং লোকাচার উপলক্ষ্যেও নানা ধরনের সুন্দর সুন্দর অলংকার তৈরি করত ইনকারা।

অলংকার মাটি বা ক্লে-বাসনপত্রর কাজে ইনকাদের দক্ষতা উল্লেখ করার মত। সেই সময় পাত্র তৈরির জন্য চাকা ছিল না, তাই হাত দিয়ে বিশেষ কায়দা, কৌশল প্রয়োগ করে বিভিন্ন রকম পাত্র তৈরি করতে হত। ক্লে-বা মাটির বাসনপত্র কাঁচা অবস্থায় ফারনেসের মধ্যে ফেলে শুকনো করা হয়। এরপর মাটির পাত্রগুলি নানারকম রং দিয়ে চিত্রাঙ্কণে সাজানো হয়।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)

 

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৫)

১০:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ইনকাদের পোশাক এবং বয়ন শৈলীর সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পোশাকের বিজ্ঞান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে গরম জলহাওয়ার দেশের পোশাকে একটা খোলামেলা ভাব থাকে। পোশাকে থাকে কম সেলাই। কারণ জামা কাপড়ের মধ্যে যাতে হাওয়া খেলতে পারে। এই সূত্র থেকেই দেখা গেছে আন্দেস পর্বতমালার ঠাণ্ডা অঞ্চলের পোশাক বা জামাকাপড়ে সেলাই বেশি রাখা হয়।

ইনকাদের হাল্কা পোশাকের কারণ হল তারা গরমের দেশ থেকে এসেছিল এবং নাগাদের মত পোশাকে সেলাই কম ছিল। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে মেয়েরা অনেক সময়েই চুল কাটত না। যত্ন করে চুল লম্বা রেখে দিত। চুলের মাঝখানে থাকত একটা সিঁথি। (অনেকটা ভারতীয় মেয়েদের মত)। এই লম্বা চুল পিঠ পর্যন্ত ঝুলে থাকত। আবার স্বামী মারা গেলে চুল ছেঁটে ছোট করে দিত। এই রীতির সঙ্গে ভারতীয় বিধবা মহিলাদের রীতির মিল লক্ষ্য করা যায়।

পোশাক জামা-কাপড় তৈরির দক্ষতা প্রসঙ্গে ইনকাদের হস্তশিল্প বা হাতের কাজ-এর কারিগর-এর কথা একটু বলা যায়। ইনকা সমাজে হস্তশিল্পীদের বিশেষ সম্মানের চোখে দেখা হয়। এই হস্তশিল্পের মধ্যে আছে সোনা ও রূপার কাজ। আমাদের দেশে যাদের বলা হয় স্বর্ণকার। সোনার ছোট-ছোট পাত দিয়ে তারা নানারকম অলংকার বানাত। এই অলংকার-এর নাম আজকের মত না হলেও কান, মাথা হাতে পরার জন্য নানান আকারের অলংকার তৈরি করা হত। এছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং লোকাচার উপলক্ষ্যেও নানা ধরনের সুন্দর সুন্দর অলংকার তৈরি করত ইনকারা।

অলংকার মাটি বা ক্লে-বাসনপত্রর কাজে ইনকাদের দক্ষতা উল্লেখ করার মত। সেই সময় পাত্র তৈরির জন্য চাকা ছিল না, তাই হাত দিয়ে বিশেষ কায়দা, কৌশল প্রয়োগ করে বিভিন্ন রকম পাত্র তৈরি করতে হত। ক্লে-বা মাটির বাসনপত্র কাঁচা অবস্থায় ফারনেসের মধ্যে ফেলে শুকনো করা হয়। এরপর মাটির পাত্রগুলি নানারকম রং দিয়ে চিত্রাঙ্কণে সাজানো হয়।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)