১১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী নতুন iOS আপডেটে অন-ডিভাইস এআই জোরালো করল অ্যাপল রপ্তানি আদেশ কমায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার সতর্কতা জার্মানির

নিশিডাক

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • 111

নিশিডাক

আল মাহমুদ

তার আহবান ছিলো নিশিডাকের শিসতোলা তীব্র বাঁশির মত।

প্রতিটি মানুষের রক্তবাহী শিরায় কাঁপন দিয়ে তা বাজতো

নদীগুলো হিসহিস শব্দে অতিকায় সাপের মত ফণা তুলে দাঁড়াতো

অরণ্যের পাখিরা ডাকাডাকি করে পথ ভুলে উড়ে যেত সমুদ্রের দিকে।

সে যখন বলল, ‘ভাইসব।’

অমনি অরণ্যের এলোমেলো গাছেরাও সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে গেল

সে যখন ডাকলো,‘ভাইয়েরা আমার।’

ভেঙ্গে যাওয়া পাখির ঝাঁক ভীড় করে নেমে এল পৃথিবীর ডাঙায়

কবিরা কলম ও বন্দুকের পার্থক্য ভুলে হাঁটতে লাগলো

খোলা ময়দানে।

এই আমি

নগন্য এক মানুষ

দেখি, আমার হাতের তালু ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে

এক আগুণের জিহবা।

বলো, তোমার জন্যই কি আমরা হাতে নিইনি আগুন?

নদীগুলোকে ফণা ধরতে শেখায় নি কি তোমার জন্য–

শুধু তোমার জন্য গাছে গাছে ফুলের বদলে ফুটিয়েছিলাম ফুলকি,

আম গাছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফলেছিল গ্রেনেড ফল।

আর সবুজের ভেতর থেকে ফুৎকার দিয়ে

বেরিয়ে এল গন্ধকের ধোঁয়া।

আহ্

আমি এখন আর চোখ মেলতে পারছি না।

জনপ্রিয় সংবাদ

দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

নিশিডাক

০৮:৩০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

নিশিডাক

আল মাহমুদ

তার আহবান ছিলো নিশিডাকের শিসতোলা তীব্র বাঁশির মত।

প্রতিটি মানুষের রক্তবাহী শিরায় কাঁপন দিয়ে তা বাজতো

নদীগুলো হিসহিস শব্দে অতিকায় সাপের মত ফণা তুলে দাঁড়াতো

অরণ্যের পাখিরা ডাকাডাকি করে পথ ভুলে উড়ে যেত সমুদ্রের দিকে।

সে যখন বলল, ‘ভাইসব।’

অমনি অরণ্যের এলোমেলো গাছেরাও সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে গেল

সে যখন ডাকলো,‘ভাইয়েরা আমার।’

ভেঙ্গে যাওয়া পাখির ঝাঁক ভীড় করে নেমে এল পৃথিবীর ডাঙায়

কবিরা কলম ও বন্দুকের পার্থক্য ভুলে হাঁটতে লাগলো

খোলা ময়দানে।

এই আমি

নগন্য এক মানুষ

দেখি, আমার হাতের তালু ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে

এক আগুণের জিহবা।

বলো, তোমার জন্যই কি আমরা হাতে নিইনি আগুন?

নদীগুলোকে ফণা ধরতে শেখায় নি কি তোমার জন্য–

শুধু তোমার জন্য গাছে গাছে ফুলের বদলে ফুটিয়েছিলাম ফুলকি,

আম গাছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফলেছিল গ্রেনেড ফল।

আর সবুজের ভেতর থেকে ফুৎকার দিয়ে

বেরিয়ে এল গন্ধকের ধোঁয়া।

আহ্

আমি এখন আর চোখ মেলতে পারছি না।