প্রদীপ কুমার মজুমদার
দশম শতাব্দীর কিছু আগে বা পরে আরবজগতে অঙ্কবোধক চিহ্ন ব্যবহার করার জন্য দুটি ভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে মতদ্বৈততা দেখা যায়। একদল হিন্দু অঙ্কবোধক চিহ্ন এবং অঙ্ক পাতন পদ্ধতি ব্যবহারের পক্ষপাতী। অনুদল প্রাচীন মতের পক্ষপাতী। প্রথমোক্ত দলের সমর্থনকারীদের মধ্যে আল খারেজমী, অলকিন্দি, সেনেদ ইবন আলি, আল করাবীসী, ইবন অল হাইথম্, অল নশিবী প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
এঁরা প্রত্যেকেই তাদের গ্রন্থে হিন্দি শব্দটি জুড়ে দিয়েছিলেন। যেমন অল হিসাব অল হিন্দি, কিতাব রিসালত ফি এষ্টেমাল অল হিসাব অল হিন্দি আরব মোকালাং, কিতাব অল হিসাব অল হিন্দি, মোকালাং ফি ইলা অল হিন্দি, অল কুকুনী ফি-ল হিসাব অল হিন্দি প্রভৃতি গ্রন্থের নাম করা যেতে পারে। অবশ্য পূর্বদেশীয় মুসল-মানরা (ভারতের পশ্চিমে) হিন্দি শব্দের সঙ্গে তকত, শব্দটি ব্যবহার করতেন।
যেমন অল অণ্টকী’র লিখিত ‘অল তকত, অল কবীর ফিল হিসাব অল হিন্দি”, অল কালওয়াদানী লিখিত “কিতাব অল তকত, ফিল হিসাব অল হিন্দি, সীনান ইবন ফতে লিখিত “ইলম্ হিসাব অল তকত, প্রভৃতি গ্রন্থগুলির নাম করা যায়। এখানে তকত, শব্দটির অর্থ ফলক।
সমস্ত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঐতিহাসিকগণ বলেন আরবীয় সংখ্যা প্রাণালী-তে ভারতীয় প্রভাব স্পষ্ট। এ সম্পর্কে আরবীয় ও পারসীয় লিখিত অধিকাংশ গ্রন্থেই উল্লেখ থাকতে দেখা যায়।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১১৭)