প্রদীপ কুমার মজুমদার
হিষ্টা অব ম্যাথেমেটিকসের কোন এক জায়গায় স্মীথ বলেছেন হিন্দাসী বলতে হিন্দুকে বা হিন্দু সম্পর্কিত বিষয়কেই বোঝায়। ভারতবর্ষে এবং আরব জগতে গুণ করার একটি কৌশল প্রচলিত ছিল। এবং এর সঙ্গে জড়িত numerical’ কেই হিন্দাসি বলা হয়ে থাকে।
যাই হোক আমরা লক্ষ্য করলাম জাহিজ ইবন ওয়াসিয়া, আলবিরূণী, শরাফ এদ্দিন প্রন্থেরা অঙ্ক বোধক চিহ্নকে হিন্দের চিহ্ন বলেছেন। এবং কো প্রমুখের মন্তব্য এ প্রসঙ্গে একেবারেই খাটে না। কারণ স্পষ্টই বোঝা যায় তাজকির ফি অল-হিসাব ওয়াল মাদ বি আল অরকম অল সিন্দ ওয়াল হিন্দ, অল অরকম অল হিন্দ, অল অরকম অল সিন্দ প্রভৃতি শব্দ হিন্দু সংখ্যা চিহ্ন বা হিন্দু সম্পর্কিত বিষয়কেই বোঝাচ্ছে।
আধুনিক আরবী অঙ্কবোধক চিহ্ন এবং ভারতীয় অঙ্কবোধক চিহ্ন থেকে বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এটা স্বাভাবিক যে কোন দেশ উন্নতির দিকে অগ্রসর হলে তার অঙ্কবোধক চিহ্নগুলিও কিছুটা পরিবর্তন হয় এবং এই কারণেই আল-বিন্ধণীর সময়ে ভারতে যে নানা প্রকার অঙ্কবোধক চিহ্ন ছিল আজ তার পরিবর্তন হয়েছে এবং এরই ফলে আরব জগতে এবং ভারতবর্ষে অঙ্কবোধক চিহ্নের পার্থক্য লক্ষিত হয়।
লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে আরবের দুই ও তিন সংখ্যাদ্বয় সংস্কৃত দুই ও তিন সংখ্যাদ্বয় থেকে খুব বেশী একটা পার্থক্য নেই। এবং দশমশতাব্দীতে এই দুই অঙ্কবোধক চিহ্ন একই ডিল। ভারতীয় শিক্ষিত সমাজে তখনকার দিনে প্রচলিত দেবনগরী অক্ষর মোতাহার ইবন তাহিরের গ্রন্থে দেখতে পাওয়া যায়। অবশ্বা এই দেবনগরী অঙ্কবোধক চিহ্নগুলি জনসাধারণের মাঝে প্রচলিত ছিল না। আল-বিরূণী অবশ্য তার গ্রন্থে স্পষ্টই বলে গিয়েছেন আরবীয় অঙ্কবোধক চিহ্ন ভারতীয় অঙ্ক-বোধক চিহ্ন থেকে উদ্ভূত।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















