প্রদীপ কুমার মজুমদার
(এক), হিন্দু শব্দটি শুধুমাত্র ভারতকে বোঝায় না এটি সমগ্র প্রাচ্যকে বোঝায়।
(দুই), হিন্দাসী শব্দটি গোলমালে হিন্দি হয়েছে।
ডঃ বিভূতি ভূষণ দত্ত’ ক্যে’র যুক্তিগুলি অতি সুন্দর ভাবে খণ্ডন করেছেন। এবং রোসেন প্রমুখের মত কিছুটা পরিবর্তন করে নূতন মত প্রতিষ্ঠিত করেন।
এ প্রসঙ্গে কারা ডিভো সে সব যুক্তি উপস্থিত করেছেন তা অধিকাংশই কল্পনা প্রসূত। তাঁর প্রথম যুক্তি হিন্দ শব্দটিকে নিয়ে। তিনি বলেছেন হিন্দ বলতে ভারতকে বোঝায় না। একটি এণ্ড (বা হেন্দ) যার অর্থ পরিমাপ, পাটীগণিত বা জ্যামিতিকে বোঝায়।
সুতরাং হিন্দের চিহ্ন অর্থ ভারতীয় চিহ্ন নয় পাটীগণিতীয় চিহ্ন। দ্বিতীয় যুক্তি হিন্দাসী শব্দের উপর ভিত্তি করে উপস্থিত করেছেন। তিনি বলেছেন হিন্দাসীর পরিবর্তে হিন্দি শব্দটিই প্রযোজ্য। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন পেগার এ্যাপোলনিয়সকে অল হিন্দ বলা হোত বলে জনৈক আরবীয় গণিতজ্ঞ উল্লেখ করেছেন।
তাঁর (কারা ডি ভো’র) তৃতীয় যুক্তি হচ্ছে আল মাসুদি হিন্দু সংখ্যার উৎপত্তি সম্পর্কে যা কিছু বলেছেন তা ভারতীয় কল্প কাহিনী উপর ভিত্তি করে বলেছেন। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন কারা দি ভ্যো আল নাদিম, আলবিরূণী, হাজী খালফা প্রমুখের বিরুদ্ধে যে সব যুক্তি দিয়েছেন তার যথার্থতা প্রমাণ করবার জন্য ক্যে’র মত কোন প্রকৃত দলিল উপস্থিত করতে পারেন নাই।
হেন্দ বা এণ্ড শব্দ সম্পর্কে যা বলেছেন সেটিও গ্রাহ্য নয় কারণ আরবীয় শব্দকোষ লক্ষ্য করলে দেখা যায় হিন্দি হেন্দ শব্দ থেকে উদ্ভুত নয়। মাহুদি এ ব্যাপারে যা বলেছেন তা উদ্ভট বলে ঐতিহাসিকগণ মত দিয়েছেন।
(চলবে)
Leave a Reply