উনিশ শতকের শেষ দশকের ইতিহাস যখন লিখছেন, তখন তিনি আরো কিছু কাটারার উল্লেখ করেছেন যা তখনই বিলুপ্ত কিন্তু নামগুলি তখনও স্মরণে ছিল।
কসাইটুলি মসজিদ
কসাইটুলি মসজিদ
ঢাকার বংশালে কসাইটুলি মসজিদের সৌন্দর্য অন্যরকম। ১৯১৯ সালে আবদুল বারি নামে এক ব্যবসায়ী একটি ছোট মসজিদ নির্মাণ করেন কসাইটুলিতে। মসজিদের তিনটি প্রধান গম্বুজ। কিন্তু আসল মসজিদের রূপ এখন পরিবর্তিত। দু’বার সংস্কার করা হয়েছে। পুরো মসজিদ এখন বিভিন্ন নকশায় আবৃত।
আবু সাঈদ লিখেছেন, “মসজিদের পুরো দেওয়াল মোজাইক নকশা, খাঁজকাটা নকশা, লতাপাতার নকশা, চিনিটিকরির কারুকাজ, জ্যামিতিক নকশা, অ্যারাবস্ক, আরবি ফার্সিতে উৎকীর্ণ লিপির সমন্বয়ে এক চমৎকার অলংকারিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে।”
১৮১৭ সালে চার্লস ডয়লির অঙ্কিত ছোট কাটারা ও এর মসজিদ
কাটারা
কাটারার অর্থ সরাইখানা। মুঘল আমলেই সেগুলি নির্মিত হয়েছিল। বড় কাটারা, ছোট কাটারা এর উদাহরণ, যা এখনও টিকে আছে। হাকিম হাবিবুর রহমান উনিশ শতকের শেষ দশকের ইতিহাস যখন লিখছেন, তখন তিনি আরো কিছু কাটারার উল্লেখ করেছেন যা তখনই বিলুপ্ত কিন্তু নামগুলি তখনও স্মরণে ছিল।
যেমন, ভক্তি কা কাটারা। হাশেম সুফী লিখছেন, এটি ছিল বখশিবাজারে। পাকুড়তলি কা কাটারা, পাকুড়তলি নামেই বোঝা যায়, ছিল তা বাদামতলিতে।’
(চলবে)