০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

ইসি’র নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী

সমকালের একটি শিরোনাম “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়নি, আলোচনা চলবে”

বেশকিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক চুক্তির প্রস্তাবিত খসড়া চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আরও দরকষাকষি চলবে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে খসড়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানসহ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ৮ জুলাই ইউএসটিআরের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ ইস্যুতে আরও একটি বৈঠক করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে ওই বৈঠকে অংশ নিতে শনিবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তাছাড়া ৯ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এ বিষয়ে ইউএসটিআরসহ দেশটির বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সচিব।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপ করা ট্রাম্প প্রশাসনের বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটি পাল্টা শুল্ক চুক্তি করার আগ্রহের কথা জানিয়ে সম্প্রতি একটি খসড়া পাঠায়। তবে এতে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ। তাই প্রচলিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চর্চা ও দ্বিপাক্ষিক সুবিধার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ঢাকা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মশাবাহিত ছয় রোগ”

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগের (হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ঘটছে বিভিন্ন অসংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে। তবে কয়েকটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে মশা ও মাছিবাহিত এমন ছয়টি রোগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্য এবং সেই সূত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠছে এসব রোগ।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মশাবাহিত রোগগুলো নিয়ে কয়েক দশকের সরকারি কার্যক্রমের সুবাদে কয়েকটি রোগ নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আবার কয়েকটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনকেফালাইটিস ও জিকা রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে দেশে। এর মধ্যে গত ছয় বছরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মাত্রায় এর পর রয়েছে ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়া। মশা নির্মূলে বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অবলম্বন না করা, রোগের জিনভিত্তিক গবেষণার অনুপস্থিতি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার ঘাটতি মশাবাহিত রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে।

মশা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় অলাভজনক সংস্থা অ্যামেরিকান মসকিউটো কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (এএমসিএ) তথ্যমতে, অন্য যেকোনো জীবের তুলনায় মশা মানুষের জন্য বেশি দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। বিশ্বে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় মশাবাহিত রোগের কারণে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রামের ভাষ্য, বিশ্বে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি প্রজাতির মশা রয়েছে। এই দুই কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, এর মধ্যে ১০০ প্রজাতির মশা মানবদেহে অন্তত ২০টি প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে সক্ষম। বাংলাদেশে ঠিক কত প্রজাতির মশা রয়েছে তার নিশ্চিত তথ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ইসি’র নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী”

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালেও তাদের সেনাবাহিনী থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, সেনাবাহিনীতে থাকা সদস্যদের মধ্যে যারা বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত তাদের কয়েকজন গুমের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আর ভুক্তভোগী পরিবারদের কেউ যদি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করবো। এ সময় থানাগুলোতে অস্ত্র লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আমরা আশাবাদী। কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অলিতে-গলিতে সেনাবাহিনী সব সময় থাকতে পারে না, তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত দুই সপ্তাহে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার, অভিযান সম্পর্কে বর্ণনা দেন এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলির খোঁজ পেয়েছে। গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে মোট ৯ হাজার ৬৯২টি অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। একই সময়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫৬২ জনসহ ৫ই আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৬৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, ডাকাতসহ অন্যান্য অপরাধী রয়েছেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অন্তর্বর্তী সরকারের খসড়া টেলিকম নীতিমালা নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক”

সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে গত এপ্রিলে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের লাইসেন্স কাঠামোর পুনর্বিন্যাসের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা করা হয়। এটি প্রকাশের পরই অংশীজনদের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে টেলিকম খাতের স্থানীয় উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে সরকারের দিক থেকে বলা হচ্ছে, গ্রাহকের ভয়েস কল ও ডাটার খরচ কমানোর জন্যই নতুন নীতিমালা করা হচ্ছে। অতীতে বহুস্তরের লাইসেন্স কাঠামোর সুবিধা নিয়ে যারা লাভবান হয়েছেন তারাই মূলত এর বিরোধিতা করছেন।

দেশকে একটি আধুনিক, প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ খাতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রেজিম রিফর্ম পলিসি-২০২৫-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে সরকারের দাবি। জটিল ও পুরনো লাইসেন্সিং কাঠামো সরলীকরণ; উদ্ভাবন, বিনিয়োগ ও প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা; সাশ্রয়ী মূল্যে ও গুণগত মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত; টেকসই ও নিরাপদ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা এর মূল্য উদ্দেশ্য।

খসড়ায় তাই টেলিকম খাতের লাইসেন্স কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেলুলার মোবাইল সার্ভিস ও ফিক্সড টেলিকম সার্ভিসের জন্য পৃথক একটি অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার (এএনএসপি) লাইসেন্স দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এএনএসপিগুলো গ্রাহক পর্যায়েও সেবা দেয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। জাতীয় পর্যায়ে অবকাঠামো ও ট্রান্সমিশন সেবা যেমন ফাইবার, টাওয়ার ও নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন পরিচালনার জন্য ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (এনআইসিএসপি) লাইসেন্স দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক ভয়েস, ইন্টারনেট ও ডাটা সংযোগের জন্য নিতে হবে ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (আইসিএসপি) লাইসেন্স। স্যাটেলাইট, নন-টিরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কস (এনটিএন) ও হাই-অলটিটিউড প্লাটফর্মস (এইচএপি) ভিত্তিক সেবার জন্য নন-টিরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কস অ্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার (এনটিএনএসপি) লাইসেন্স নিতে হবে। তাছাড়া এসএমএস এগ্রিগেটর, ওটিটি ইত্যাদি সেবার জন্য টেলিকম এনাবলড সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হবে। নতুন এ পলিসি কার্যকর হওয়ার পর আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইসিএক্স, এনআইএক্স, এমএনপি লাইসেন্সগুলো ধীরে ধীরে বাতিল হয়ে যাবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসি’র নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী

০৯:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়নি, আলোচনা চলবে”

বেশকিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক চুক্তির প্রস্তাবিত খসড়া চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আরও দরকষাকষি চলবে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে খসড়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানসহ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ৮ জুলাই ইউএসটিআরের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ ইস্যুতে আরও একটি বৈঠক করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে ওই বৈঠকে অংশ নিতে শনিবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তাছাড়া ৯ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এ বিষয়ে ইউএসটিআরসহ দেশটির বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সচিব।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপ করা ট্রাম্প প্রশাসনের বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটি পাল্টা শুল্ক চুক্তি করার আগ্রহের কথা জানিয়ে সম্প্রতি একটি খসড়া পাঠায়। তবে এতে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ। তাই প্রচলিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চর্চা ও দ্বিপাক্ষিক সুবিধার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ঢাকা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মশাবাহিত ছয় রোগ”

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগের (হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ঘটছে বিভিন্ন অসংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে। তবে কয়েকটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে মশা ও মাছিবাহিত এমন ছয়টি রোগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্য এবং সেই সূত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠছে এসব রোগ।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মশাবাহিত রোগগুলো নিয়ে কয়েক দশকের সরকারি কার্যক্রমের সুবাদে কয়েকটি রোগ নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আবার কয়েকটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনকেফালাইটিস ও জিকা রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে দেশে। এর মধ্যে গত ছয় বছরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মাত্রায় এর পর রয়েছে ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়া। মশা নির্মূলে বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অবলম্বন না করা, রোগের জিনভিত্তিক গবেষণার অনুপস্থিতি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার ঘাটতি মশাবাহিত রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে।

মশা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় অলাভজনক সংস্থা অ্যামেরিকান মসকিউটো কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (এএমসিএ) তথ্যমতে, অন্য যেকোনো জীবের তুলনায় মশা মানুষের জন্য বেশি দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। বিশ্বে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় মশাবাহিত রোগের কারণে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রামের ভাষ্য, বিশ্বে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি প্রজাতির মশা রয়েছে। এই দুই কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, এর মধ্যে ১০০ প্রজাতির মশা মানবদেহে অন্তত ২০টি প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে সক্ষম। বাংলাদেশে ঠিক কত প্রজাতির মশা রয়েছে তার নিশ্চিত তথ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ইসি’র নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী”

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালেও তাদের সেনাবাহিনী থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, সেনাবাহিনীতে থাকা সদস্যদের মধ্যে যারা বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত তাদের কয়েকজন গুমের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আর ভুক্তভোগী পরিবারদের কেউ যদি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করবো। এ সময় থানাগুলোতে অস্ত্র লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আমরা আশাবাদী। কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অলিতে-গলিতে সেনাবাহিনী সব সময় থাকতে পারে না, তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত দুই সপ্তাহে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার, অভিযান সম্পর্কে বর্ণনা দেন এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলির খোঁজ পেয়েছে। গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে মোট ৯ হাজার ৬৯২টি অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। একই সময়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫৬২ জনসহ ৫ই আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৬৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, ডাকাতসহ অন্যান্য অপরাধী রয়েছেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অন্তর্বর্তী সরকারের খসড়া টেলিকম নীতিমালা নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক”

সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে গত এপ্রিলে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের লাইসেন্স কাঠামোর পুনর্বিন্যাসের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা করা হয়। এটি প্রকাশের পরই অংশীজনদের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে টেলিকম খাতের স্থানীয় উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে সরকারের দিক থেকে বলা হচ্ছে, গ্রাহকের ভয়েস কল ও ডাটার খরচ কমানোর জন্যই নতুন নীতিমালা করা হচ্ছে। অতীতে বহুস্তরের লাইসেন্স কাঠামোর সুবিধা নিয়ে যারা লাভবান হয়েছেন তারাই মূলত এর বিরোধিতা করছেন।

দেশকে একটি আধুনিক, প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ খাতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রেজিম রিফর্ম পলিসি-২০২৫-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে সরকারের দাবি। জটিল ও পুরনো লাইসেন্সিং কাঠামো সরলীকরণ; উদ্ভাবন, বিনিয়োগ ও প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা; সাশ্রয়ী মূল্যে ও গুণগত মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত; টেকসই ও নিরাপদ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা এর মূল্য উদ্দেশ্য।

খসড়ায় তাই টেলিকম খাতের লাইসেন্স কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেলুলার মোবাইল সার্ভিস ও ফিক্সড টেলিকম সার্ভিসের জন্য পৃথক একটি অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার (এএনএসপি) লাইসেন্স দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এএনএসপিগুলো গ্রাহক পর্যায়েও সেবা দেয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। জাতীয় পর্যায়ে অবকাঠামো ও ট্রান্সমিশন সেবা যেমন ফাইবার, টাওয়ার ও নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন পরিচালনার জন্য ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (এনআইসিএসপি) লাইসেন্স দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক ভয়েস, ইন্টারনেট ও ডাটা সংযোগের জন্য নিতে হবে ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (আইসিএসপি) লাইসেন্স। স্যাটেলাইট, নন-টিরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কস (এনটিএন) ও হাই-অলটিটিউড প্লাটফর্মস (এইচএপি) ভিত্তিক সেবার জন্য নন-টিরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কস অ্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার (এনটিএনএসপি) লাইসেন্স নিতে হবে। তাছাড়া এসএমএস এগ্রিগেটর, ওটিটি ইত্যাদি সেবার জন্য টেলিকম এনাবলড সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হবে। নতুন এ পলিসি কার্যকর হওয়ার পর আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইসিএক্স, এনআইএক্স, এমএনপি লাইসেন্সগুলো ধীরে ধীরে বাতিল হয়ে যাবে।