০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • 22

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সঙ্গীটি এবার যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললে।

‘তা, আগে এ সব কথা বল নি কেন?’ ও আবারও যেন কৈফিয়ত দেয়ার ভঙ্গিতে বললে। ‘বাবাঃ, যা চে’চিয়েছিলে-না… আমি ভাবলুম না জানি কী আবার হল।’

‘চল, চল, তাড়াতাড়ি চল। ওই রাস্তা ধরেই যাই, চল। তাহলে ওদিককার প্রথম গাঁ-টায় পৌঁছে যাব অখন। হয়তো ওরা এখনও ওখানেই বিশ্রাম করছে। বই তাড়াতাড়ি কর। তাড়াতাড়ি মনস্থির করে ফ্যালো।’

‘চল যাচ্ছি,’ ও সায় দিল। তবে আমার মনে হল একটু যেন ইতস্তত করল। বলল, ‘হ্যাঁ-হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, চল যাই।’

হঠাৎ একটা হাত তুলে গলায় বুলোতেই ওর কোটের কলারের আন্তরে-লেখা সেই ‘সি-টি.এ.সি.সি.’ অক্ষরগুলো আবার আমার নজরে পড়ল।

‘আচ্ছা, ওই অক্ষরগুলোতে কী বোঝাচ্ছে ‘বল তো?’ আমি ওকে জিজ্ঞেস করলুম।

ও বলল, ‘কোন অক্ষরগুলোতে আবার?’ তারপর যেন বিরক্ত হয়ে তাড়াতাড়ি টিউনিকের বোতামটা লাগিয়ে নিল।

‘ওই-যে, তোমার কলারে লেখা।’

‘ভগবান জানে। এও তো আমার পোশাক নয়। অন্যের ব্যবহার-করা জামা কিনেছি আমি।’

‘ইস, তাই বই কি… আমি বলতে পারি এটা কখনই অন্যের হাত-ফেরতা জামা নয়,’ মজা পেয়ে ওর পাশে-পাশে চলতে-চলতে বললুম। ‘চমৎকার মাপে-মাপে তৈরি জামাটা। আমার মা একবার আমার জন্যে অন্যের ব্যবহার-করা একটা ট্রাউজার্স কিনেছিলেন। তা সে পরে কার সাধ্যি! যতবার টেনে তুলি ততবারই সেটা কোমর থেকে হড়কে নেমে যায়।’

যতই আমরা গ্রামটার কাছে এগোতে লাগলুম ততই ঘন ঘন আমার সঙ্গী পথের মধ্যে থেমে পড়তে লাগল।

 

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১৪)

০৮:০০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সঙ্গীটি এবার যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললে।

‘তা, আগে এ সব কথা বল নি কেন?’ ও আবারও যেন কৈফিয়ত দেয়ার ভঙ্গিতে বললে। ‘বাবাঃ, যা চে’চিয়েছিলে-না… আমি ভাবলুম না জানি কী আবার হল।’

‘চল, চল, তাড়াতাড়ি চল। ওই রাস্তা ধরেই যাই, চল। তাহলে ওদিককার প্রথম গাঁ-টায় পৌঁছে যাব অখন। হয়তো ওরা এখনও ওখানেই বিশ্রাম করছে। বই তাড়াতাড়ি কর। তাড়াতাড়ি মনস্থির করে ফ্যালো।’

‘চল যাচ্ছি,’ ও সায় দিল। তবে আমার মনে হল একটু যেন ইতস্তত করল। বলল, ‘হ্যাঁ-হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, চল যাই।’

হঠাৎ একটা হাত তুলে গলায় বুলোতেই ওর কোটের কলারের আন্তরে-লেখা সেই ‘সি-টি.এ.সি.সি.’ অক্ষরগুলো আবার আমার নজরে পড়ল।

‘আচ্ছা, ওই অক্ষরগুলোতে কী বোঝাচ্ছে ‘বল তো?’ আমি ওকে জিজ্ঞেস করলুম।

ও বলল, ‘কোন অক্ষরগুলোতে আবার?’ তারপর যেন বিরক্ত হয়ে তাড়াতাড়ি টিউনিকের বোতামটা লাগিয়ে নিল।

‘ওই-যে, তোমার কলারে লেখা।’

‘ভগবান জানে। এও তো আমার পোশাক নয়। অন্যের ব্যবহার-করা জামা কিনেছি আমি।’

‘ইস, তাই বই কি… আমি বলতে পারি এটা কখনই অন্যের হাত-ফেরতা জামা নয়,’ মজা পেয়ে ওর পাশে-পাশে চলতে-চলতে বললুম। ‘চমৎকার মাপে-মাপে তৈরি জামাটা। আমার মা একবার আমার জন্যে অন্যের ব্যবহার-করা একটা ট্রাউজার্স কিনেছিলেন। তা সে পরে কার সাধ্যি! যতবার টেনে তুলি ততবারই সেটা কোমর থেকে হড়কে নেমে যায়।’

যতই আমরা গ্রামটার কাছে এগোতে লাগলুম ততই ঘন ঘন আমার সঙ্গী পথের মধ্যে থেমে পড়তে লাগল।