১১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী নতুন iOS আপডেটে অন-ডিভাইস এআই জোরালো করল অ্যাপল রপ্তানি আদেশ কমায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার সতর্কতা জার্মানির

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • 138

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সঙ্গীটি এবার যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললে।

‘তা, আগে এ সব কথা বল নি কেন?’ ও আবারও যেন কৈফিয়ত দেয়ার ভঙ্গিতে বললে। ‘বাবাঃ, যা চে’চিয়েছিলে-না… আমি ভাবলুম না জানি কী আবার হল।’

‘চল, চল, তাড়াতাড়ি চল। ওই রাস্তা ধরেই যাই, চল। তাহলে ওদিককার প্রথম গাঁ-টায় পৌঁছে যাব অখন। হয়তো ওরা এখনও ওখানেই বিশ্রাম করছে। বই তাড়াতাড়ি কর। তাড়াতাড়ি মনস্থির করে ফ্যালো।’

‘চল যাচ্ছি,’ ও সায় দিল। তবে আমার মনে হল একটু যেন ইতস্তত করল। বলল, ‘হ্যাঁ-হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, চল যাই।’

হঠাৎ একটা হাত তুলে গলায় বুলোতেই ওর কোটের কলারের আন্তরে-লেখা সেই ‘সি-টি.এ.সি.সি.’ অক্ষরগুলো আবার আমার নজরে পড়ল।

‘আচ্ছা, ওই অক্ষরগুলোতে কী বোঝাচ্ছে ‘বল তো?’ আমি ওকে জিজ্ঞেস করলুম।

ও বলল, ‘কোন অক্ষরগুলোতে আবার?’ তারপর যেন বিরক্ত হয়ে তাড়াতাড়ি টিউনিকের বোতামটা লাগিয়ে নিল।

‘ওই-যে, তোমার কলারে লেখা।’

‘ভগবান জানে। এও তো আমার পোশাক নয়। অন্যের ব্যবহার-করা জামা কিনেছি আমি।’

‘ইস, তাই বই কি… আমি বলতে পারি এটা কখনই অন্যের হাত-ফেরতা জামা নয়,’ মজা পেয়ে ওর পাশে-পাশে চলতে-চলতে বললুম। ‘চমৎকার মাপে-মাপে তৈরি জামাটা। আমার মা একবার আমার জন্যে অন্যের ব্যবহার-করা একটা ট্রাউজার্স কিনেছিলেন। তা সে পরে কার সাধ্যি! যতবার টেনে তুলি ততবারই সেটা কোমর থেকে হড়কে নেমে যায়।’

যতই আমরা গ্রামটার কাছে এগোতে লাগলুম ততই ঘন ঘন আমার সঙ্গী পথের মধ্যে থেমে পড়তে লাগল।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১৪)

০৮:০০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সঙ্গীটি এবার যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললে।

‘তা, আগে এ সব কথা বল নি কেন?’ ও আবারও যেন কৈফিয়ত দেয়ার ভঙ্গিতে বললে। ‘বাবাঃ, যা চে’চিয়েছিলে-না… আমি ভাবলুম না জানি কী আবার হল।’

‘চল, চল, তাড়াতাড়ি চল। ওই রাস্তা ধরেই যাই, চল। তাহলে ওদিককার প্রথম গাঁ-টায় পৌঁছে যাব অখন। হয়তো ওরা এখনও ওখানেই বিশ্রাম করছে। বই তাড়াতাড়ি কর। তাড়াতাড়ি মনস্থির করে ফ্যালো।’

‘চল যাচ্ছি,’ ও সায় দিল। তবে আমার মনে হল একটু যেন ইতস্তত করল। বলল, ‘হ্যাঁ-হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, চল যাই।’

হঠাৎ একটা হাত তুলে গলায় বুলোতেই ওর কোটের কলারের আন্তরে-লেখা সেই ‘সি-টি.এ.সি.সি.’ অক্ষরগুলো আবার আমার নজরে পড়ল।

‘আচ্ছা, ওই অক্ষরগুলোতে কী বোঝাচ্ছে ‘বল তো?’ আমি ওকে জিজ্ঞেস করলুম।

ও বলল, ‘কোন অক্ষরগুলোতে আবার?’ তারপর যেন বিরক্ত হয়ে তাড়াতাড়ি টিউনিকের বোতামটা লাগিয়ে নিল।

‘ওই-যে, তোমার কলারে লেখা।’

‘ভগবান জানে। এও তো আমার পোশাক নয়। অন্যের ব্যবহার-করা জামা কিনেছি আমি।’

‘ইস, তাই বই কি… আমি বলতে পারি এটা কখনই অন্যের হাত-ফেরতা জামা নয়,’ মজা পেয়ে ওর পাশে-পাশে চলতে-চলতে বললুম। ‘চমৎকার মাপে-মাপে তৈরি জামাটা। আমার মা একবার আমার জন্যে অন্যের ব্যবহার-করা একটা ট্রাউজার্স কিনেছিলেন। তা সে পরে কার সাধ্যি! যতবার টেনে তুলি ততবারই সেটা কোমর থেকে হড়কে নেমে যায়।’

যতই আমরা গ্রামটার কাছে এগোতে লাগলুম ততই ঘন ঘন আমার সঙ্গী পথের মধ্যে থেমে পড়তে লাগল।