সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- অনেক ব্যাংকের মূলধনী ভিত্তি দুর্বল, যা তাদের ঝুঁকি সামলানোর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়
- সরকারি ব্যাংকগুলোর ব্যর্থতা পুরো ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে
- একীভূতকরণ হলে মূলধন মজবুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, বিলম্বের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে
- ২০২৫ সালে এনপিএল ২২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা ব্যাংকের ঋণ দেওয়া এবং মুনাফার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সম্পদের গুণগতমানের অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্বল্প মূলধনী ভিত্তির ওপর চাপে পড়েছে ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সম্ভাব্য ব্যর্থতা থেকে সৃষ্ট স্বল্পমেয়াদি ঝুঁকি পুরো খাতকে আরও কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মূলধনী ভিত্তির ওপর চাপ
- স্বল্প মূলধনী ভিত্তির কারণে ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত ঝুঁকি সামলাতে হচ্ছে।
- সম্পদের গুণগতমান ক্রমাগত দুর্বল হওয়ায় এই চাপ আরো বেড়ে যেতে পারে।
সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকের ভূমিকা
- সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সম্ভাব্য ব্যর্থতা স্বল্পমেয়াদে অত্যন্ত উচ্চমাত্রার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
- এই ঝুঁকি মোকাবেলায় বেসরকারি খাতের ব্যাংকসহ সার্বিক ব্যাংকিং খাতকে ব্যাপক বেগ পেতে হবে।
অবলোপনযোগ্য ঋণ (এনপিএল) বৃদ্ধির আশঙ্কা
- ২০২৫ সালে এনপিএল বা অবলোপনযোগ্য ঋণের হার প্রায় ২২% পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
- উচ্চ এনপিএল হার ব্যাংকের ক্রেডিট প্রবাহ ও মুনাফার ওপর সরাসরি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্পদের গুণগতমান পর্যালোচনার প্রভাব
- সম্পদের গুণগতমান পর্যালোচনার ফলাফল হবে ব্যাংকিং খাতের পরবর্তী পদক্ষেপের মূল চালিকাশক্তি।
- ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে পর্যালোচনা স্থগিত রাখা হয়েছে, যা প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে।
ব্যাংক একীভূতকরণ স্থগিত
- পূর্বপরিকল্পিত ব্যাংক একীভূতকরণ স্থগিত রাখার কারণে ব্যাংকিং খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাচ্ছে।
- একীভূতকরণ হলে মূলধন কাঠামো মজবুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, এ বিলম্ব অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
উপসংহার
সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সম্পদের গুণগতমানের অবনতি, স্বল্প মূলধনী ভিত্তি, এবং সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ব্যর্থতার আশঙ্কা—সবই মিলিত হয়ে ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলছে। এনপিএল অনুপাত বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস এবং সম্পদের গুণগতমান পর্যালোচনার বিলম্ব ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপে অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে।