সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছিল ২.৭৮ ট্রিলিয়ন টাকা
- গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) একই সময়ে এডিপির আকার ছিল ২.৭৪ ট্রিলিয়ন টাকা, যেখানে বাস্তবায়নের হার ছিল ৩১.১৭ শতাংশ
- এডিপি বাস্তবায়ন কমে যাওয়ায় সরকারের উচ্চপর্যায় বারবার তাগিদ দিলেও প্রত্যাশিত উন্নতি অর্জন করা যায়নি
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর (২০২৪–২৫) এর জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের গড় হার গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই আট মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল মাত্র ২৪.২৭ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬.৯১ শতাংশ কম।
কম বাস্তবায়নের কারণ
- গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে কিছু অস্থিরতা থাকলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের উন্নতি দেখা যায়নি।
- ফেব্রুয়ারি মাসে এডিপি বাস্তবায়ন আরো কমে ২.৭৬ শতাংশে নেমে আসে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।
- স্বাস্থ্য, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, সেতু বিভাগসহ বড় কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে থাকায় সার্বিক হারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বরাদ্দ ও ব্যয়
- চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছিল ২.৭৮ ট্রিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৭৫.৫৩ বিলিয়ন টাকা।
- গত অর্থবছর (২০২৩–২৪) একই সময়ে এডিপির আকার ছিল ২.৭৪ ট্রিলিয়ন টাকা, যেখানে বাস্তবায়নের হার ছিল ৩১.১৭ শতাংশ।
- তার আগের বছর (২০২২–২৩) ২.৫৬ ট্রিলিয়ন টাকার এডিপি থেকে ৩২.১০ শতাংশ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছিল।
ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা
- এডিপি বাস্তবায়ন কমে যাওয়ায় সরকারের উচ্চপর্যায় বারবার তাগিদ দিলেও প্রত্যাশিত উন্নতি অর্জন করা যায়নি।
- ইতোমধ্যে ১২ মার্চ সংশোধিত এডিপি ২.২৬ ট্রিলিয়ন টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
- প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুততার সাথে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
- একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানোর প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।