অবশিষ্টের পরিমান
স্বদেশ রায়
নেড়ি কুত্তা সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জনের জন্যে
ঠিক যে কী কী প্রয়োজন-
তা ওদের জানা ছিলো না।
অথচ নেড়ি কুত্তা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান
এখন ওদের ভীষন জরুরী।
পৃথিবীর সময়গুলো বড়ই খেয়ালি-
কখনও মানুষকে সিংহর রাজকীয়
চলন দেখতে দিনের পর দিন
অপেক্ষা করতে হয় জঙ্গলের পানে তাকিয়ে-
যেন সূর্যের পানে চেয়ে মহাতপ করছে পুরুষ
পত্মীবর মাগি।
আবার সেই মানুষকে রাস্তার ডাস্টবিনের আশে পাশে
ঘোরা “ডাস্টবিন কুকুরদের” সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হয়।
তাদের জানতে হয় কীভাবে নেড়ি
ডাস্টবিনের সমার্থক হয়,
তাদরেকে জানতে হয় নেড়ির বাচ্চাগুলো
তাদের মায়ের বুকের দুধ পেয়েছিলো কিনা?
ডাস্টবিনের খাবার ছাড়া কোন ভালো খাবার তারা
খেয়েছিলো কিনা কোনদিন?
এই অপুষ্টি তাদের মস্তিষ্ককে কুকুরের বদলে বলদের মস্তিকতে পরিনত করেছে কিনা?
নেড়িরা বলদ হোক, তারা ডাস্টবিনের পাশে থাকুক –
তা মানুষের পায়ের গতি থমকে দেবার মতো নয়-
তারপরে কখনও কখনও সময় আসে-
যখন মানুষকে সিংহকে ছেড়ে নেড়িকুত্তা নিয়ে মেতে উঠতে হয় বেশি।
তাদের জানতে হয় নেড়িদের চামড়ার ঘায়ের কারণ কি?
এমনকি মানুষকে জানতে হয়, নেড়িদের বংশ বিস্তারের কাহিনীর রূপকল্প।
হয়তো এই জানার মূল কেন্দ্রবিন্দু
রাজার কন্ঠের মতো কন্ঠে উচ্চারিত হয়-
“ তুমি সেই সত্য জানো, যারা নেড়িদের জম্ম দিয়েছে
যারা তাদের লালন না করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে।
তুমি তাদেরকে আগে জানো” ।
তুমি বিশ্বাস করো, জলাতঙ্কে ভূগো না তুমি-
তুমি খোঁজ করো নেড়িদের জম্মদাতাদের।
কোন সংকোচ, দ্বিধা বা দুঃখের এখানে অবকাশ নেই-
পৃথিবীর আবহাওয়াই এমন, কখনও কখনও সিংহকে রেখে
নেড়ি চর্চাই বড় হয়ে ওঠে।
তখন অমাবস্যার রাতের পেঁচার চোখের মতো
অনেকেই চোখ উলটায়ে বলে,
আহা! নেড়িদের ডাক না থাকলে রাস্তা মানায় না।
কেউ কেউ নেড়ির সমতলে দেখতে পায়
সেই সব সত্য, যেমন সত্য ইদুরদের “গ” মানুষ প্রজাতি হয়ে ওঠা।
ভয় শুধু পিছে ফেরে-
সিংহ চিনতে চিনতে মানুষ সিংহের মতো রাজকীয় হয়-
নেড়ি কুকুর চিনতে চিনতে মানুষ
আসলে কি হয়?
কতটুকু থাকে তার নিজের অবশিষ্ট।