০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী নতুন iOS আপডেটে অন-ডিভাইস এআই জোরালো করল অ্যাপল রপ্তানি আদেশ কমায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার সতর্কতা জার্মানির

রণক্ষেত্রে (পর্ব-২১)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
  • 86

আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

গাঁয়ে ঢোকার পর প্রথম কুঁড়ে থেকে একটা চিৎকার শোনা গেল:

‘এই, এই, কোন্ চুলোয় মরতে ছুটেছিস? হেই, বে’টে বামন! থাম্ শিগগির, হে’ডে-মাথা কোথাকার!’

ঘরের ছায়ার ভেতর থেকে রাইফেল-হাতে ছুটে এল একটা লোক। তারপর আমার কাছে এসে দাঁড়াল।

‘কোথায় ছুটে চলেচিস, শুনি? আসচিসই-বা কোথা থেকে?’ আমার মুখটা চাঁদের আলোর দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে রক্ষী-সেপাই জিজ্ঞেস করল।

হাঁপাতে-হাঁপাতে বললুম, ‘তোমাদের কাছেই। তোমরা তো কমরেড, তাই না?’ ‘আমরা কমরেড আচি ঠিকই,’ ও বাধা দিল, ‘কিন্তু তুমি কে?’

‘আমিও তাই,’ থমকে থমকে শুরু করলুম আমি। কিন্তু তখনও স্বাভাবিকভাবে দম ফেলতে না-পারায় আর কোনো কথা না-বলে চামড়ার ব্যাগটা ওর হাতে তুলে দিলুম।

‘তুমিও তাই, উ’?’ রক্ষী এবার একটু খুশি-খুশিভাবে প্রশশ্ন করল। যদিও তখনও পর্যন্ত ওর সন্দেহ একেবারে কাটে নি। বলল, ‘ঠিক আচে, তাইলে চল কম্যান্ডারের সঙ্গে দেখা করি গিয়ে।’

বেশ রাত হওয়া সত্ত্বেও সারা গ্রাম তখনও জেগে। ঘোড়াগুলো চি’হি-চি’হি ডাক ছাড়ছে। চাষীদের গাড়িগুলো বাড়ির উঠোন থেকে বের করার জন্যে ক্যাচুকোঁচ আওয়াজ করে গেট খোলার শব্দ হচ্ছে। কাছেই কে একজন চে’চিয়ে ডাকল:

‘দোকুকিন! দো-কু-কিন! কোন চুলোয় মরতি গেল সে?’

‘আঃ, এত চ্যাঁচামেচি কিসের, ভাস্কা?’ যে চিৎকার করছিল তার সামনাসামনি এসে আমার সঙ্গী পাহারাদারটি জিজ্ঞেস করলে।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

রণক্ষেত্রে (পর্ব-২১)

০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

গাঁয়ে ঢোকার পর প্রথম কুঁড়ে থেকে একটা চিৎকার শোনা গেল:

‘এই, এই, কোন্ চুলোয় মরতে ছুটেছিস? হেই, বে’টে বামন! থাম্ শিগগির, হে’ডে-মাথা কোথাকার!’

ঘরের ছায়ার ভেতর থেকে রাইফেল-হাতে ছুটে এল একটা লোক। তারপর আমার কাছে এসে দাঁড়াল।

‘কোথায় ছুটে চলেচিস, শুনি? আসচিসই-বা কোথা থেকে?’ আমার মুখটা চাঁদের আলোর দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে রক্ষী-সেপাই জিজ্ঞেস করল।

হাঁপাতে-হাঁপাতে বললুম, ‘তোমাদের কাছেই। তোমরা তো কমরেড, তাই না?’ ‘আমরা কমরেড আচি ঠিকই,’ ও বাধা দিল, ‘কিন্তু তুমি কে?’

‘আমিও তাই,’ থমকে থমকে শুরু করলুম আমি। কিন্তু তখনও স্বাভাবিকভাবে দম ফেলতে না-পারায় আর কোনো কথা না-বলে চামড়ার ব্যাগটা ওর হাতে তুলে দিলুম।

‘তুমিও তাই, উ’?’ রক্ষী এবার একটু খুশি-খুশিভাবে প্রশশ্ন করল। যদিও তখনও পর্যন্ত ওর সন্দেহ একেবারে কাটে নি। বলল, ‘ঠিক আচে, তাইলে চল কম্যান্ডারের সঙ্গে দেখা করি গিয়ে।’

বেশ রাত হওয়া সত্ত্বেও সারা গ্রাম তখনও জেগে। ঘোড়াগুলো চি’হি-চি’হি ডাক ছাড়ছে। চাষীদের গাড়িগুলো বাড়ির উঠোন থেকে বের করার জন্যে ক্যাচুকোঁচ আওয়াজ করে গেট খোলার শব্দ হচ্ছে। কাছেই কে একজন চে’চিয়ে ডাকল:

‘দোকুকিন! দো-কু-কিন! কোন চুলোয় মরতি গেল সে?’

‘আঃ, এত চ্যাঁচামেচি কিসের, ভাস্কা?’ যে চিৎকার করছিল তার সামনাসামনি এসে আমার সঙ্গী পাহারাদারটি জিজ্ঞেস করলে।