সত্যেন্দ্রকুমার বসু
মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর গ্রীকরা এসমস্ত দেশ আবার জয় ক’রে ছোট ছোট গ্রীকরাজ্য স্থাপন করে আর তুথার থেকে তক্ষশীলা পর্যন্ত প্রদেশের নাম দেয় বাটিয়া। এখানকার গ্রীকরাও ক্রমশ বৌদ্ধ (কেহ কেহ বৈষ্ণব, শৈব ইত্যাদি) হয়ে যায়।
এই গ্রীক বৌদ্ধদের রূপকর্মের রীতিই ‘গান্ধার শৈলী’ নামে পরিচিত। এর পর ক্রমান্বয়ে শক, পহলব, কুষানরা গ্রীকদের থেকে এ প্রদেশ অধিকার করে। তাতার কুষানরা ক্রমশ বৌদ্ধ, শৈব ইত্যাদি হয়ে যায়।
সম্ভবত কুষানদের রাজত্বকালে খৃস্টাব্দের প্রথম শতাব্দীতে চীনদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রথম প্রচারিত হতে আরম্ভ হয়। কিন্তু মৌর্যদের বৌদ্ধধর্ম থেকে কুষানদের বৌদ্ধধর্মে অনেক প্রভেদ ছিল। কারণ এই সময়েই মহাযানের প্রচার আরম্ভ হয়।
কুযানরা এই অঞ্চলে বহু সঙ্ঘারাম, বিহার স্তুপ ইত্যাদি নির্মাণ করে-ছিলেন। মহাযানী বৌদ্ধের কাছে কনিষ্ক রাজাও অশোকরাজার মতই শ্রদ্ধার পাত্র।
(চলবে)
হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৬)