০১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ বছর পরও যে জাহাজডুবি এখনও এক ভয়ংকর গল্প জাপানে বাড়ছে ভাল্লুক আতঙ্ক: নিরাপত্তা জোরদারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বইমেলায় ৩০০ শিশুর লেখক অভিষেক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩) শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি আল-ওথমান মসজিদের পুনঃস্থাপন কাজ শেষের পথে, রমজানের আগেই পুনরায় খোলা হবে ভুলভাবে উপস্থাপিত বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা ফখরুল দিল্লিতে হামলার ছক তৈরির অভিযোগে ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল ঢাকা ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১২ জন

নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা চায় না প্রধান দলগুলো

  • Sarakhon Report
  • ০৯:১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
  • 62

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা চায় না প্রধান দলগুলো”

সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা দিতে চায় না প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। অর্থবিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে—সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। এ তিনটি দলই চায় অর্থবিলের মতো আস্থা ভোটের ক্ষেত্রেও সংসদ সদস্যরা (এমপি) স্বাধীন থাকবেন না। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের নিজ দলের অবস্থানের পক্ষেই থাকতে হবে।

বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। তাতে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন বা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে।

এই বিধানের ফলে সরকারের চাওয়ার বাইরে কোনো আইন বা প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কারও বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ারও সুযোগ নেই।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় থেকেই অনুচ্ছেদটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যাঁরা এর বিপক্ষে তাঁরা বলছেন, এই অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা খর্ব করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতা দেয়। অন্যদিকে এটা রাখার পক্ষে যাঁরা, তাঁদের যুক্তি—এই বিধান বাদ দিলে সরকারের স্থিতিশীলতা থাকবে না। কিছুদিন পরপর সরকার ও সংসদ ভেঙে যেতে পারে। সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বড় ধরনের অর্থের অবৈধ লেনদেনও হতে পারে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ঈদের ছুটিতেও মিলছে চিকিৎসাসেবা”

৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর ধরে আগেই পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই হিসাবে ২৯ মার্চ শুরু হয়েছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। একইসঙ্গে ছিল পবিত্র শবে কদরের ছুটি। ফলে বাস্তবে ২৮ মার্চ থেকেই ছুটি শুরু হয়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল), তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি ভোগ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা নয় দিনের ছুটি ভোগ করলেও সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো খোলা থাকছে। এসব হাসপাতালের রোগীরা জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা একটি জরুরি সেবা, এটা বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। ঈদে ছুটির দিনগুলোতেও হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সেবা ২৪ ঘণ্টাই চালু আছে। তবে ঈদের দিন, ঈদের আগের এবং পরের দিন শুধুমাত্র আউটডোরে রোগী দেখার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটির দিনগুলোতে চিকিৎসক এবং নার্স রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি ঈদের দিন রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এপ্রিলে তীব্র দাবদাহের পূর্বাভাস

দেশে মার্চে গরম পড়তে শুরু করলেও গড় তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে এপ্রিলে। গতকাল এপ্রিলের শুরুর দিনে দেশের কয়েকটি এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এ তাপপ্রবাহ আগামী তিন-চারদিন থাকতে পারে। আর এ মাসে দুই থেকে চারটি তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরো আছে একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া এপ্রিলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে এ মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। দুই-চারটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হতে পারে। যার মধ্যে এক-দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

এপ্রিলের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদি কোনো এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপপ্রবাহ তখন ধরা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়। আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌গত ৩০ বছরের আবহাওয়া পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হত কিংবা গরম পড়ত এখন সেটাতে পরিবর্তন এসেছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে অন্যদিকে গরম গেছে বেড়ে। এটা আসলে বিশ্বব্যাপী জলাবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আবহাওয়ায় যে পরিবর্তন এসেছে তারই ফল। আগামী দিনগুলোতে অবস্থা কোন দিকে গিয়ে থামবে সেটা এখন দেখার বিষয়।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “এই সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : তথ্য উপদেষ্টা”

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গুম-খুন করে তার বাবা-মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ যখন ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন, তখনই সবচেয়ে বেশি গুম করা হয়েছিল। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা। মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন মায়ের ডাক-এর উদ্যোগে গুমের শিকার মানুষের স্বজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে এদেশে আর রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিলেই আবার দেশে গুম-খুনের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাদের এই সুযোগ দেয়া হবে না। শেখ হাসিনা মানুষের সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। এখনো ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমান সরকার হারানো মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে।

মাহফুজ আলম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গুমের সঙ্গে জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
উপদেষ্টা বলেন, যারা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করেছেন, তাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে গুম করা হয়েছে এবং তাদের স্বজনদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। গুমের কাজে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও ব্যবহার করা হয়েছিল। মতবিনিময় সভায় গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন এবং গুম হওয়া স্বজনদের সন্ধান চান।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত

নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা চায় না প্রধান দলগুলো

০৯:১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা চায় না প্রধান দলগুলো”

সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা দিতে চায় না প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। অর্থবিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে—সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। এ তিনটি দলই চায় অর্থবিলের মতো আস্থা ভোটের ক্ষেত্রেও সংসদ সদস্যরা (এমপি) স্বাধীন থাকবেন না। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের নিজ দলের অবস্থানের পক্ষেই থাকতে হবে।

বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। তাতে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন বা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে।

এই বিধানের ফলে সরকারের চাওয়ার বাইরে কোনো আইন বা প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কারও বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ারও সুযোগ নেই।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় থেকেই অনুচ্ছেদটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যাঁরা এর বিপক্ষে তাঁরা বলছেন, এই অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা খর্ব করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতা দেয়। অন্যদিকে এটা রাখার পক্ষে যাঁরা, তাঁদের যুক্তি—এই বিধান বাদ দিলে সরকারের স্থিতিশীলতা থাকবে না। কিছুদিন পরপর সরকার ও সংসদ ভেঙে যেতে পারে। সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বড় ধরনের অর্থের অবৈধ লেনদেনও হতে পারে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ঈদের ছুটিতেও মিলছে চিকিৎসাসেবা”

৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর ধরে আগেই পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই হিসাবে ২৯ মার্চ শুরু হয়েছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। একইসঙ্গে ছিল পবিত্র শবে কদরের ছুটি। ফলে বাস্তবে ২৮ মার্চ থেকেই ছুটি শুরু হয়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল), তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি ভোগ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা নয় দিনের ছুটি ভোগ করলেও সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো খোলা থাকছে। এসব হাসপাতালের রোগীরা জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা একটি জরুরি সেবা, এটা বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। ঈদে ছুটির দিনগুলোতেও হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সেবা ২৪ ঘণ্টাই চালু আছে। তবে ঈদের দিন, ঈদের আগের এবং পরের দিন শুধুমাত্র আউটডোরে রোগী দেখার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটির দিনগুলোতে চিকিৎসক এবং নার্স রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি ঈদের দিন রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এপ্রিলে তীব্র দাবদাহের পূর্বাভাস

দেশে মার্চে গরম পড়তে শুরু করলেও গড় তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে এপ্রিলে। গতকাল এপ্রিলের শুরুর দিনে দেশের কয়েকটি এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এ তাপপ্রবাহ আগামী তিন-চারদিন থাকতে পারে। আর এ মাসে দুই থেকে চারটি তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরো আছে একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া এপ্রিলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে এ মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। দুই-চারটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হতে পারে। যার মধ্যে এক-দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

এপ্রিলের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদি কোনো এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপপ্রবাহ তখন ধরা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়। আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌গত ৩০ বছরের আবহাওয়া পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হত কিংবা গরম পড়ত এখন সেটাতে পরিবর্তন এসেছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে অন্যদিকে গরম গেছে বেড়ে। এটা আসলে বিশ্বব্যাপী জলাবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আবহাওয়ায় যে পরিবর্তন এসেছে তারই ফল। আগামী দিনগুলোতে অবস্থা কোন দিকে গিয়ে থামবে সেটা এখন দেখার বিষয়।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “এই সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : তথ্য উপদেষ্টা”

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গুম-খুন করে তার বাবা-মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ যখন ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন, তখনই সবচেয়ে বেশি গুম করা হয়েছিল। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা। মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন মায়ের ডাক-এর উদ্যোগে গুমের শিকার মানুষের স্বজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে এদেশে আর রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিলেই আবার দেশে গুম-খুনের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাদের এই সুযোগ দেয়া হবে না। শেখ হাসিনা মানুষের সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। এখনো ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমান সরকার হারানো মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে।

মাহফুজ আলম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গুমের সঙ্গে জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
উপদেষ্টা বলেন, যারা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করেছেন, তাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে গুম করা হয়েছে এবং তাদের স্বজনদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। গুমের কাজে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও ব্যবহার করা হয়েছিল। মতবিনিময় সভায় গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন এবং গুম হওয়া স্বজনদের সন্ধান চান।