সারাক্ষণ রিপোর্ট
মিয়ানমারের সরকার প্রধান মিন আউং হ্লাইং বর্তমানে থাইল্যান্ডে আয়োজনকৃত আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে যখন ব্যাংককে পৌঁছেছেন একই সময়ে, মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প দেশে মারাত্মক ধ্বংসের সৃষ্টি করেছে।
ভূমিকম্পের প্রভাব
কেন্দ্রীয় মিয়ানমারে গত শুক্রবার সংঘটিত ভূমিকম্পে ৩,০৮৫ জনের প্রাণ হারায় এবং ৪,৭১৫ জন আহত হন। অনেক শত মানুষ এখনও সন্ধানে, বলে আশা করা হচ্ছে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। বিভিন্ন শহর ও এলাকার অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সাহায্য
থাইল্যান্ড, যেখানে ২১ জনেরও প্রাণ চলে গেছে, ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভব করে, সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের একত্রিত হয়ে জাতীয় দুর্যোগ সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। বঙ্গোপসাগরের চারপাশের সাতটি প্রতিবেশী দেশ – বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড – এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ উদ্ধার দল ও সাহায্য পাঠিয়েছে, তবে দুর্বল অবকাঠামো এবং চলমান সিভিল ওয়ার সহায়তা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।
সামরিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি
ভূমিকম্পঘটনাকালে অনেক অঞ্চলে সরকারি সাহায্য পৌঁছায়নি, যার ফলে প্রকৃত ঘটনা ও পরিসংখ্যান স্পষ্ট নয়। সরকারিক বাহিনী সাহায্য কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। এর আগে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর, কিছু অঞ্চলে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত, চীনা রেড ক্রসের একটি কনভয়কে সামরিক বাহিনী গুলির দ্বারা আক্রমণ করা হয় বলে জানানো হয়, কারণ কনভয় থামার নির্দেশ অমান্য করা হয়।
আন্তর্জাতিক আলোচনা ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
সম্মেলনের মার্গে, মিন আউং হ্লাইং থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েতোংটার্ন শিনাওত্রার সাথে আলাপ-আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক দখলের পর থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জাতিগত সংঘর্ষের ফলে অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি ও মানবিক সংকট জটিল হয়েছে। ভূমিকম্প এই সংকটকে আরও তীব্র করে তুলে, যার ফলে জাতিসংঘ ও মানবিক সংগঠনগুলো অবিলম্বে সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছে, বিশেষ করে মৌসুমি বন্যার আগমনের পূর্বে।