০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
শারজাহ বইমেলায় কবিতার মাধ্যমে মানসিক শান্তি—‘পয়ট্রি ফার্মেসি’ অনন্য উদ্যোগ ১,০০০ বছর পুরনো পবিত্র কুরআনের দুর্লভ অনুলিপি পিনাট বাটারের তুলনায় আরও পুষ্টিকর ও বহুমুখী বাদাম বাটার প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২২) গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ বছর পরও যে জাহাজডুবি এখনও এক ভয়ংকর গল্প জাপানে বাড়ছে ভাল্লুক আতঙ্ক: নিরাপত্তা জোরদারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বইমেলায় ৩০০ শিশুর লেখক অভিষেক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩)

ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৪৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 81

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নতুন আশার সঞ্চার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে আজ দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এই প্রথম প্রতিবেশী দুই দেশের নেতাদের বৈঠক হলো।

এ বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা খুবই আনন্দের কথা। আমরা মনে করি, ভূরাজনীতিতে এবং বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশ ও ভারতের যে অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সে প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটা আমাদের সামনে একটা আশার আলো তৈরি করছে।’

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ট্রাম্পের শুল্কে পোশাকের চাহিদা কমবে, চাপে পড়বেন ছোট রপ্তানিকারকরা”

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, এর প্রভাব নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা বলছেন, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে, বিশেষ করে পোশাকশিল্পে। এক্ষেত্রে পোশাকের চাহিদা কমতে পারে এবং চাপে পড়বে ছোট রপ্তানিকারকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এত দিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৮ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।

দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সব দেশের ওপর পালটা শুল্ক আরোপ হওয়ায় তৈরি পোশাকের দাম বাড়বে। তাতে পোশাকের চাহিদা কমে যেতে পারে। তাছাড়া শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমাতে উত্পাদকদের চাপে রাখবে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে ছোট রপ্তানিকারকরা চাপে পড়বেন।

তবে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, আপাতত একটা ধাক্কা বলে মনে হচ্ছে। সেটা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার মতো নয়। ভারত-পাকিস্তান ছাড়া প্রতিযোগী সব দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। বিভিন্ন পূর্বাভাস বলছে, আগামী প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি কমবে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর ওপর সব আমদানি পণ্যে এক রকম উচ্চ হারের শুল্ক আরোপ মূল্যস্ফীতিকে আরো উসকে দেবে। এ অবস্থায় ভোক্তা পর্যায় থেকে চাপ আসবে। আগামী সপ্তাহেই হয়তো এ রকম খবর শোনা যাবে। এ রকম পরিস্থিতি সস্তা দামের মৌলিক পণ্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে মার্কিন ব্র্যান্ড ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা হয়তো নাও কমতে পারে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়ার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫৯% চিকিৎসক পদই ফাঁকা”

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ৮০-৯০ রোগী ভর্তি থাকে। এর বিপরীতে নিয়মিত চিকিৎসক রয়েছেন কেবল তিনজন। তাদের মধ্যে আবার কেউ না কেউ প্রায়ই ছুটিতে কিংবা অন্যান্য কারণে অনুপস্থিত থাকছেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছে রোগী। উপজেলাভিত্তিক প্রায় সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই এ চিত্র।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের উপজেলাভিত্তিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর প্রায় ৫৯ শতাংশ চিকিৎসক পদই ফাঁকা। সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য বরিশাল ও রংপুর বিভাগে। পদায়ন করা হলেও এসব অঞ্চলের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসকরা বেশি দিন থাকতে চান না বলে অভিযোগ। ফলে বরিশালে ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ পদই শূন্য। রংপুরে ৭০ শতাংশ পদের বিপরীতে চিকিৎসক নেই। এছাড়া খুলনা বিভাগে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ চিকিৎসক পদ ফাঁকা পড়ে আছে। সে তুলনায় ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্র কিছুটা ভালো। এ দুই বিভাগে চিকিৎসকের শূন্য পদের হার যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ৩ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ইউনূস-মোদি বৈঠকে নতুন ইস্যু হাসিনা”

টার্গেটই ছিল সম্পর্কে টানাপড়েন দূরীকরণ তথা আস্থা-বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠার দ্বার খোলা। কিন্তু না, পারস্পরিক উদ্বেগ আদান-প্রদানেই বৈঠকটি শেষ হলো! বাংলাদেশ-ভারত শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যকার যেকোনো বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের চেষ্টা চলছে গত সেপ্টেম্বর থেকে। ব্যাংককে বিমসটেক সামিটে উভয়ের দেখা হবে এটি ছিল নিশ্চিত। কিন্তু তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চয়তা। ভারতীয় মিডিয়া ছিল ক্রিটিক্যাল। কিন্তু ঢাকা ও দিল্লির কূটনীতিকরা ছিলেন আশাবাদী। তারা ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছিলেন। বলছিলেন বৈঠকটি হওয়া উচিত এবং হবেও। এ নিয়ে যে উভয়ের প্রস্তুতি ছিল সেটি বৈঠকের ছবি এবং ভিডিওতে দৃশ্যমান। ৮ই আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর শুক্রবারই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে প্রায় ৪০ মিনিট আলোচনা করলেন তারা। দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্কে নানা ইস্যু থাকে, এটি আছেও। কিন্তু সেই বৈঠকে মুখ্য আলোচ্য হয়ে উঠে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি। বিচারের জন্য বাংলাদেশ তাকে ফেরত চাইবে এমনটা অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু এর জবাবে ভারত কী বলেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। আলোচনায় বিষয়টি যে গুরুত্ব পেয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন দিল্লির বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ইউনূস-মোদি বৈঠকে সুনির্দিষ্টভাবে কী আলোচনা হয়েছে তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খোলাসা করেনি কোনো পক্ষই। তবে ওয়াকিবহাল সূত্র বলছে, হাসিনার ফেরতের বিষয়টি মুখ্য আলোচ্য হয়ে ওঠায় অন্য অনেক ইস্যুতে ফোকাস কমেছে। হাসিনাকে ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে আগেই আনুষ্ঠানিক পত্র পাঠানো হয়। প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লি ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শারজাহ বইমেলায় কবিতার মাধ্যমে মানসিক শান্তি—‘পয়ট্রি ফার্মেসি’ অনন্য উদ্যোগ

ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে

০৮:৪৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নতুন আশার সঞ্চার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে আজ দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এই প্রথম প্রতিবেশী দুই দেশের নেতাদের বৈঠক হলো।

এ বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা খুবই আনন্দের কথা। আমরা মনে করি, ভূরাজনীতিতে এবং বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশ ও ভারতের যে অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সে প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটা আমাদের সামনে একটা আশার আলো তৈরি করছে।’

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ট্রাম্পের শুল্কে পোশাকের চাহিদা কমবে, চাপে পড়বেন ছোট রপ্তানিকারকরা”

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, এর প্রভাব নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা বলছেন, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে, বিশেষ করে পোশাকশিল্পে। এক্ষেত্রে পোশাকের চাহিদা কমতে পারে এবং চাপে পড়বে ছোট রপ্তানিকারকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এত দিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৮ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।

দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সব দেশের ওপর পালটা শুল্ক আরোপ হওয়ায় তৈরি পোশাকের দাম বাড়বে। তাতে পোশাকের চাহিদা কমে যেতে পারে। তাছাড়া শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমাতে উত্পাদকদের চাপে রাখবে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে ছোট রপ্তানিকারকরা চাপে পড়বেন।

তবে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, আপাতত একটা ধাক্কা বলে মনে হচ্ছে। সেটা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার মতো নয়। ভারত-পাকিস্তান ছাড়া প্রতিযোগী সব দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। বিভিন্ন পূর্বাভাস বলছে, আগামী প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি কমবে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর ওপর সব আমদানি পণ্যে এক রকম উচ্চ হারের শুল্ক আরোপ মূল্যস্ফীতিকে আরো উসকে দেবে। এ অবস্থায় ভোক্তা পর্যায় থেকে চাপ আসবে। আগামী সপ্তাহেই হয়তো এ রকম খবর শোনা যাবে। এ রকম পরিস্থিতি সস্তা দামের মৌলিক পণ্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে মার্কিন ব্র্যান্ড ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা হয়তো নাও কমতে পারে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়ার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫৯% চিকিৎসক পদই ফাঁকা”

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ৮০-৯০ রোগী ভর্তি থাকে। এর বিপরীতে নিয়মিত চিকিৎসক রয়েছেন কেবল তিনজন। তাদের মধ্যে আবার কেউ না কেউ প্রায়ই ছুটিতে কিংবা অন্যান্য কারণে অনুপস্থিত থাকছেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছে রোগী। উপজেলাভিত্তিক প্রায় সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই এ চিত্র।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের উপজেলাভিত্তিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর প্রায় ৫৯ শতাংশ চিকিৎসক পদই ফাঁকা। সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য বরিশাল ও রংপুর বিভাগে। পদায়ন করা হলেও এসব অঞ্চলের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসকরা বেশি দিন থাকতে চান না বলে অভিযোগ। ফলে বরিশালে ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ পদই শূন্য। রংপুরে ৭০ শতাংশ পদের বিপরীতে চিকিৎসক নেই। এছাড়া খুলনা বিভাগে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ চিকিৎসক পদ ফাঁকা পড়ে আছে। সে তুলনায় ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্র কিছুটা ভালো। এ দুই বিভাগে চিকিৎসকের শূন্য পদের হার যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ৩ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ইউনূস-মোদি বৈঠকে নতুন ইস্যু হাসিনা”

টার্গেটই ছিল সম্পর্কে টানাপড়েন দূরীকরণ তথা আস্থা-বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠার দ্বার খোলা। কিন্তু না, পারস্পরিক উদ্বেগ আদান-প্রদানেই বৈঠকটি শেষ হলো! বাংলাদেশ-ভারত শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যকার যেকোনো বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের চেষ্টা চলছে গত সেপ্টেম্বর থেকে। ব্যাংককে বিমসটেক সামিটে উভয়ের দেখা হবে এটি ছিল নিশ্চিত। কিন্তু তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চয়তা। ভারতীয় মিডিয়া ছিল ক্রিটিক্যাল। কিন্তু ঢাকা ও দিল্লির কূটনীতিকরা ছিলেন আশাবাদী। তারা ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছিলেন। বলছিলেন বৈঠকটি হওয়া উচিত এবং হবেও। এ নিয়ে যে উভয়ের প্রস্তুতি ছিল সেটি বৈঠকের ছবি এবং ভিডিওতে দৃশ্যমান। ৮ই আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর শুক্রবারই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে প্রায় ৪০ মিনিট আলোচনা করলেন তারা। দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্কে নানা ইস্যু থাকে, এটি আছেও। কিন্তু সেই বৈঠকে মুখ্য আলোচ্য হয়ে উঠে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি। বিচারের জন্য বাংলাদেশ তাকে ফেরত চাইবে এমনটা অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু এর জবাবে ভারত কী বলেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। আলোচনায় বিষয়টি যে গুরুত্ব পেয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন দিল্লির বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ইউনূস-মোদি বৈঠকে সুনির্দিষ্টভাবে কী আলোচনা হয়েছে তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খোলাসা করেনি কোনো পক্ষই। তবে ওয়াকিবহাল সূত্র বলছে, হাসিনার ফেরতের বিষয়টি মুখ্য আলোচ্য হয়ে ওঠায় অন্য অনেক ইস্যুতে ফোকাস কমেছে। হাসিনাকে ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে আগেই আনুষ্ঠানিক পত্র পাঠানো হয়। প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লি ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছে।