সারাক্ষণ রিপোর্ট
নিউইয়র্ক সিটিতে এক প্রো-লাইফ রিপোর্টারকে ঘুষি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ব্রঙ্কসের বাসিন্দা ব্রিয়ানা রিভার্সের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ওই ঘটনার মূল কারণ ছিল “প্ররোচনা”। ভুক্তভোগী সাবান্না ক্রাভেন আনতাও—যিনি প্রো-লাইফ সমর্থক গোষ্ঠী (লাইভ অ্যাকশন)-এর হয়ে কাজ করেন—রাস্তার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এই হামলার শিকার হন।
ঘটনার সংক্ষিপ্তসার
- ব্রিয়ানা রিভার্স স্বীকার করেছেন যে সাবান্না ক্রাভেন আনতাও-কে ঘুষি মারা ছিল তার ভুল।
- তিনি দাবি করেন, সাবান্না ক্রাভেন আনতাও ইচ্ছাকৃতভাবে “উস্কানিমূলক আচরণ” করছিলেন।
- রিভার্সের বক্তব্য অনুযায়ী, সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে উস্কানির গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেখানো হয়নি।
আসামিপক্ষের বক্তব্য
ব্রিয়ানা রিভার্স একটি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন যে, সাবান্না ক্রাভেন আনতাও বারবার তার বক্তব্য থামিয়ে “উস্কানিমূলক মন্তব্য” করেছেন। রিভার্সের অভিযোগ—পুরো ঘটনা না দেখিয়ে শুধু আক্রমণের অংশ প্রদর্শন করা হয়েছে, যা একতরফাভাবে ব্যাপারটি প্রকাশ করেছে।
রিভার্সের ভাষ্য
- রিভার্স বলেছেন, “আমি স্বীকার করি, কাউকে আক্রমণ করা উচিত হয়নি। তবে সাবান্না পুরো সত্য গোপন রাখছেন।”
- তিনি আরও বলেন, “তিনি একজন ‘পেশাদার উস্কানিদাতা’, সাধারণ রিপোর্টার নন।”
- নিজের স্বভাব সম্পর্কে রিভার্সের মন্তব্য, “আমি স্বাভাবিকভাবে শান্ত মানুষ। মতের অমিল হলেই আমি কাউকে ঘুষি মারার পক্ষে নই।”
সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ
হারলেম এলাকায়, সাবান্না ক্রাভেন আনতাও তখন প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ও গর্ভপাত-বিরোধী মতামত নিয়ে জনমত যাচাই করছিলেন। তিনি রিভার্সকে প্রশ্ন করেন—যদি অবাঞ্ছিত শিশুরা ফোস্টার কেয়ারে থাকে, তাদের “মেরে ফেলা” উচিত কি না। রিভার্স ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “কেন নয়?”, কারণ তার বিশ্বাস বহু ফোস্টার শিশুকে নিপীড়ন ও শোষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
সংঘর্ষের মুহূর্ত
- সাবান্না ক্রাভেন আনতাও বারবার তার কথার মধ্যে ঢুকে গর্ভপাতকে “শিশুহত্যা” বলে উল্লেখ করেন।
- একপর্যায়ে কথাবার্তা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে, ভিডিওতে দেখা যায় রিভার্স হঠাৎ আনতাও-কে কয়েকটি ঘুষি মারছেন।
- ঘটনার পরে রিভার্স দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করেন।
পুলিশি পদক্ষেপ ও বর্তমান অবস্থা
হামলার অভিযোগে সাবান্না ক্রাভেন আনতাও পুলিশে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, রিভার্সকে কিছুটা “প্ররোচনা” দিয়েছিলেন। তবে এখনো রিভার্সকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আনতাওয়ের বক্তব্য
- আনতাও জানান, হামলার কারণে তার চোখে কালশিটে দাগ পড়েছে, ভ্রুর নিচে দুটি সেলাই করতে হয়েছে এবং নাকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে।
- মানসিকভাবেও তিনি চাপে আছেন—ঘটনার ভিডিও বারবার দেখার ফলে তিনি আতঙ্কে ভুগছেন।
উপসংহার
ঘটনার দুই পক্ষই একে অপরের ওপর দোষ চাপালেও, সম্পূর্ণ ভিডিওর অনুপস্থিতি সত্যতা নির্ণয়কে জটিল করে তুলছে। রিভার্সের দাবি—উস্কানির কারণে তিনি সহিংস হয়েছিলেন; অন্যদিকে আনতাও শারীরিক নিগ্রহের শিকার বলে অভিযোগ করছেন। পুলিশি তদন্তের ফলাফলই ঠিক করবে, আসলে কী ঘটেছিল এবং এর নেপথ্যের কারণ কী।