১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত: ট্রাম্পের তথ্য

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৫০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 26

সারাক্ষণ রিপোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তিনি ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান, টো লামের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ করেছেন। এটি তাঁর এশিয়ার একজন নেতার সাথে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা। পূর্বে ৪৯% পর্যন্ত “পারস্পরিক” শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর, এই ফোনালাপটি পদক্ষেপগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ন।

ফোনালাপের মূল বক্তব্য

  • দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা:
    ফোনালাপে, টো লাম নিশ্চিত করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতার ভিত্তিতে, ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের শুল্ক কমাতে ইচ্ছুক।
  • পরবর্তী বৈঠকের অপেক্ষা:
    ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, ভবিষ্যতে এক বৈঠকে সাক্ষাৎ হবে।

শুল্ক আরোপ ও আলোচনার পটভূমি

  • ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ:
    সাম্প্রতিককালে, ট্রাম্প প্রশাসন ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশের উপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে ভিয়েতনামের পণ্যের উপর প্রায় ৪৬% শুল্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল।
  • পারস্পরিক শুল্ক কাঠামো:
    এই উদ্যোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে “পারস্পরিক” শুল্ক কাঠামো প্রতিষ্ঠার একটি প্রয়াস।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন

  • বাণিজ্য সম্প্রসারণ:
    উভয় নেতাই বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সহজতর করার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের জন্য ভিয়েতনামে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
  • দ্বিমুখী শুল্ক প্রস্তাব:
    ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের শুল্ক কমাতে প্রস্তুত থাকায়, একইভাবে উভয় পক্ষ একে অপরের পণ্যের উপর সমান শুল্ক হার প্রয়োগের প্রস্তাবও সামনে এসেছে।

ভবিষ্যতের চুক্তি ও পরিকল্পনা

  • দ্বিপাক্ষিক চুক্তি:
    উভয় নেতা একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা শুল্ক কমানোর এই উদ্যোগকে কার্যকর করবে।
  • ভিয়েতনাম সফরের সম্ভাবনা:
    ট্রাম্প টো লামের আমন্ত্রণে ভিয়েতনাম সফরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হতে পারে।

শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া

  • বাজারের সাড়া:
    ফোনালাপের খবর শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ও ক্রীড়াসামগ্রী খাতে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ভিয়েতনাম:
    বর্তমান সময়ে, ভিয়েতনাম পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে, যা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

ভিয়েতনামের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ

  • শুল্ক হ্রাসের উদ্যোগ:
    ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে আমেরিকান পণ্যের শুল্ক কিছুটা কমিয়ে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হ্রাসের চেষ্টা করেছে।
  • কারখানা স্থানান্তর:
    একইসাথে, চীনা কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এড়াতে ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশে কারখানা স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে।

পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা

  • যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা:
    আগামী সপ্তাহে, ভিয়েতনামের উপপ্রধানমন্ত্রী হো ডাক ফোক একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন।
  • বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনা:
    এই দলের মধ্যে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা থাকবেন, যারা মার্কিন বাজারে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
  • দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশা:
    উভয় দেশ শুল্কসংক্রান্ত ইস্যু দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে প্রস্তুত বলে জানা গেছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত: ট্রাম্পের তথ্য

০৬:৫০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তিনি ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান, টো লামের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ করেছেন। এটি তাঁর এশিয়ার একজন নেতার সাথে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা। পূর্বে ৪৯% পর্যন্ত “পারস্পরিক” শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর, এই ফোনালাপটি পদক্ষেপগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ন।

ফোনালাপের মূল বক্তব্য

  • দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা:
    ফোনালাপে, টো লাম নিশ্চিত করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতার ভিত্তিতে, ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের শুল্ক কমাতে ইচ্ছুক।
  • পরবর্তী বৈঠকের অপেক্ষা:
    ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, ভবিষ্যতে এক বৈঠকে সাক্ষাৎ হবে।

শুল্ক আরোপ ও আলোচনার পটভূমি

  • ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ:
    সাম্প্রতিককালে, ট্রাম্প প্রশাসন ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশের উপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে ভিয়েতনামের পণ্যের উপর প্রায় ৪৬% শুল্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল।
  • পারস্পরিক শুল্ক কাঠামো:
    এই উদ্যোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে “পারস্পরিক” শুল্ক কাঠামো প্রতিষ্ঠার একটি প্রয়াস।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন

  • বাণিজ্য সম্প্রসারণ:
    উভয় নেতাই বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সহজতর করার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের জন্য ভিয়েতনামে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
  • দ্বিমুখী শুল্ক প্রস্তাব:
    ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের শুল্ক কমাতে প্রস্তুত থাকায়, একইভাবে উভয় পক্ষ একে অপরের পণ্যের উপর সমান শুল্ক হার প্রয়োগের প্রস্তাবও সামনে এসেছে।

ভবিষ্যতের চুক্তি ও পরিকল্পনা

  • দ্বিপাক্ষিক চুক্তি:
    উভয় নেতা একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা শুল্ক কমানোর এই উদ্যোগকে কার্যকর করবে।
  • ভিয়েতনাম সফরের সম্ভাবনা:
    ট্রাম্প টো লামের আমন্ত্রণে ভিয়েতনাম সফরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হতে পারে।

শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া

  • বাজারের সাড়া:
    ফোনালাপের খবর শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ও ক্রীড়াসামগ্রী খাতে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ভিয়েতনাম:
    বর্তমান সময়ে, ভিয়েতনাম পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে, যা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

ভিয়েতনামের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ

  • শুল্ক হ্রাসের উদ্যোগ:
    ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে আমেরিকান পণ্যের শুল্ক কিছুটা কমিয়ে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হ্রাসের চেষ্টা করেছে।
  • কারখানা স্থানান্তর:
    একইসাথে, চীনা কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এড়াতে ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশে কারখানা স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে।

পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা

  • যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা:
    আগামী সপ্তাহে, ভিয়েতনামের উপপ্রধানমন্ত্রী হো ডাক ফোক একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন।
  • বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনা:
    এই দলের মধ্যে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা থাকবেন, যারা মার্কিন বাজারে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
  • দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশা:
    উভয় দেশ শুল্কসংক্রান্ত ইস্যু দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে প্রস্তুত বলে জানা গেছে।