০৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

শরণার্থী শিবিরের অর্থনীতি: ৯ ডলারের প্রশ্ন

  • Sarakhon Report
  • ১১:০০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 27

সারাক্ষণ রিপোর্ট

মালাওয়ির ড্যাজালেকা শরণার্থী শিবিরটি ১৯৯৪ সাল থেকে মধ্য আফ্রিকার যুদ্ধ ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের আশ্রয় দিচ্ছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৫২,০০০ শরণার্থী বসবাস করছে, যাদের অনেকেই জন্মগতভাবে এই শিবিরের বাসিন্দা। মালাওয়ির আইন অনুযায়ী, শরণার্থীদের বৈধভাবে বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ এবং শিবিরের বাইরে যাওয়াও সীমিত। প্রতিটি বাসিন্দা মাসে জাতিসংঘের কাছ থেকে মাত্র ৯ ডলার পায়, যা তাদের জীবনযাপনের মূল ভিত্তি। এই অর্থনৈতিক নিয়ম ও সীমিত আয়ের মাঝে ড্যাজালেকায় এক অদ্ভুত অর্থব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

সমান আয়ের চ্যালেঞ্জ

ধারণা করা হয়, মানুষ কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে ও তা ব্যয় করে নিজের চাহিদা মেটায়। কিন্তু ড্যাজালেকায় বেশির ভাগ মানুষ কাজের সুযোগ পায় না, আর সবার আয় প্রায় সমান (মাসিক ৯ ডলার এবং মাঝে-মধ্যে ত্রাণসামগ্রী)। সামান্য বাড়তি আয় আসে ছোটখাটো কাজ থেকে—যেমন বাজারে জিনিসপত্র ওঠানো-নামানো বা দোকান সামলানো। স্বাভাবিক অর্থনীতিতে মানুষ কাজ আর অবসরের মাঝে ভারসাম্য রাখে, কিন্তু এখানে কাজের সুযোগ ও বৈচিত্র্য অতি অল্প। তবু প্রত্যেকে তাদের ৯ ডলার ব্যবহার করে, আর সেখান থেকেই ছোট-বড় ব্যবসায়িক লেনদেন ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড গড়ে ওঠে।

ধর্মবিনোদন ও সামাজিক জীবন

শিবিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বিনোদন বড় ভূমিকা রাখে। মূল রাস্তার দুপাশে রয়েছে গির্জা, স্পোর্টস বার ও ছোট থিয়েটার। মেনোনি গির্জা, কানাডিয়ান মিশনের প্রেসবাইটেরিয়ান গির্জা ও ব্যাপ্টিস্ট গির্জা—প্রত্যেকেই তাদের অনুসারী বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। বিশেষ করে ব্যাপ্টিস্টদের ধর্মীয় শিক্ষা ও সম্পদ লাভের প্রতিশ্রুতি অনেককে আকৃষ্ট করছে। এছাড়া বিয়ে, খেলাধুলা, কনসার্টসহ নানা আয়োজনের ফলে আমন্ত্রণপত্র মুদ্রণ, চুল কাটার স্যালোন, খেলাধুলার প্রশিক্ষণ, বুকমেকিং, খাবার বিক্রি—সকলই এই সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবনে অবদান রাখছে।

শিক্ষা ও ব্যক্তিগত উন্নয়ন

যদিও শরণার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিবিরের বাইরে চাকরি করতে পারে না বা স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাসের সুযোগ পায় না, তবু অনেকে আশাবাদী যে নিয়ম একদিন বদলাবে অথবা তারা অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ পাবে। তাই শিবিরে নানা ধরণের প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও শিক্ষা-কেন্দ্র বেশ জনপ্রিয়। এসবের মাধ্যমে তারা নিজেদের দক্ষতা বাড়াচ্ছে ও সম্ভাব্য ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ক্যাম্পে শ্রম ও ব্যবসা

ড্যাজালেকায় কর্মসংস্থানের বিকল্প তেমন নেই, তবে বিনোদন ও সামাজিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিশাল এক অনানুষ্ঠানিক বাজার গড়ে উঠেছে। কেউ বিয়ের সাজসজ্জা দেখাশোনা করে, কেউ ইভেন্ট আয়োজন করে, আবার কেউ বা ছোটখাটো নিরাপত্তা ও গেমবেটিং জুয়া নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করে। স্থানীয়রাই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্কুল থেকে শুরু করে নিরাপত্তা টহলের দায়িত্ব নিয়ে স্বনির্ভর কাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করছে।

ঐতিহাসিক তুলনা:

অর্থনীতিবিদরা অনেক দিন ধরেই দেখছেন—সামান্য সম্পদ বা সমান আয়ের মধ্যেও কিভাবে বিনিময়ের ব্যবস্থা তৈরি হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির Stalag VII-A বন্দিশিবিরে বন্দি হওয়া ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা রিচার্ড র‍্যাডফোর্ড দেখিয়েছিলেন, কিভাবে বন্দিরা সিগারেটকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করে একটি গোটা বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। সেখানেও সবার প্রায় সমান রেশন পেতো, বড় কোনো কাজ ছিল না, তবু চাহিদার ভিত্তিতে পণ্যের দাম ঠিক হত। ড্যাজালেকার অবস্থাও একই রকম—আসল উৎপাদনশীল শ্রম নেই, ফলে পণ্যের দাম নির্ভর করে জিনিসটি কতটুকু দুষ্প্রাপ্য এবং মানুষ কিভাবে তা ব্যবহার করতে চায়।

রবিবারের বিশ্রাম ও জীবনযাত্রার ছন্দ

ড্যাজালেকায় অনেকের কাছে রবিবার মানে ধর্মীয় কাজে অংশ নেওয়া বা সারা সপ্তাহের অনুষ্ঠান-উদযাপনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলা। যেহেতু শরণার্থীরা নিয়মিত চাকরি করতে পারে না, তাই সাপ্তাহিক ছুটির ধারণা এখানে কিছুটা ভিন্ন। তবু এই দিনটিতে গির্জায় মানুষের বেশি ভিড় হয়, আর বড় বড় বিনোদনমূলক আয়োজনও চলতে থাকে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও পারিবারিক পরিকল্পনা

ড্যাজালেকায় কর্মসংস্থানের অভাবে অনেকেই পরিবারের সদস্য বাড়ানোর মাধ্যমে জীবনের অর্থ খোঁজে। ফলে সেখানে একজন নারীর গড়ে সন্তান জন্মদানের হার মালাওয়ির সাধারণ হারের চেয়েও বেশি। চিকিৎসাকেন্দ্র নানা পদক্ষেপ নিয়েও জন্মহার খুব একটা কমাতে পারেনি। এর ওপর নতুন শরণার্থী যুক্ত হওয়ায় প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ শিবিরে যোগ হচ্ছে।

ভবিষ্যতের ভাবনা

বর্ধিত জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ড্যাজালেকার অর্থনীতি দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। মানুষ নিজেদের চাহিদা পূরণে বিকল্প পণ্য ও সেবা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে, ছোট ছোট কমিটি গঠন করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করছে। তবু আইনি নিয়মকানুন ও কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা অনেককেই চাহিদামতো জীবনযাপন থেকে আটকে রাখছে। একসময় যুদ্ধের দুর্দশা থেকে বাঁচতে আসা এই মানুষগুলোই আজ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না পেয়ে এক ধরনের বঞ্চনা অনুভব করছে।

উপসংহার

ড্যাজালেকার উদাহরণ আমাদের শেখায় যে, সামান্য আয় বা প্রায় সমান সম্পদের মাঝেও কিভাবে একটি সমাজ ও অর্থব্যবস্থা বিকশিত হতে পারে। শিক্ষা, বিনোদন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, নিয়মিত কাজের দুনিয়া তাদের নাগালের বাইরে। এই শরণার্থী শিবিরের গল্প একদিকে মানবিক সংকট তুলে ধরে, অন্যদিকে অর্থনীতির মৌলিক নিয়মগুলোর ওপর নতুনভাবে চিন্তা করার সুযোগ সৃষ্টি করে।

১৪ জুলাই অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল

শরণার্থী শিবিরের অর্থনীতি: ৯ ডলারের প্রশ্ন

১১:০০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

মালাওয়ির ড্যাজালেকা শরণার্থী শিবিরটি ১৯৯৪ সাল থেকে মধ্য আফ্রিকার যুদ্ধ ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের আশ্রয় দিচ্ছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৫২,০০০ শরণার্থী বসবাস করছে, যাদের অনেকেই জন্মগতভাবে এই শিবিরের বাসিন্দা। মালাওয়ির আইন অনুযায়ী, শরণার্থীদের বৈধভাবে বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ এবং শিবিরের বাইরে যাওয়াও সীমিত। প্রতিটি বাসিন্দা মাসে জাতিসংঘের কাছ থেকে মাত্র ৯ ডলার পায়, যা তাদের জীবনযাপনের মূল ভিত্তি। এই অর্থনৈতিক নিয়ম ও সীমিত আয়ের মাঝে ড্যাজালেকায় এক অদ্ভুত অর্থব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

সমান আয়ের চ্যালেঞ্জ

ধারণা করা হয়, মানুষ কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে ও তা ব্যয় করে নিজের চাহিদা মেটায়। কিন্তু ড্যাজালেকায় বেশির ভাগ মানুষ কাজের সুযোগ পায় না, আর সবার আয় প্রায় সমান (মাসিক ৯ ডলার এবং মাঝে-মধ্যে ত্রাণসামগ্রী)। সামান্য বাড়তি আয় আসে ছোটখাটো কাজ থেকে—যেমন বাজারে জিনিসপত্র ওঠানো-নামানো বা দোকান সামলানো। স্বাভাবিক অর্থনীতিতে মানুষ কাজ আর অবসরের মাঝে ভারসাম্য রাখে, কিন্তু এখানে কাজের সুযোগ ও বৈচিত্র্য অতি অল্প। তবু প্রত্যেকে তাদের ৯ ডলার ব্যবহার করে, আর সেখান থেকেই ছোট-বড় ব্যবসায়িক লেনদেন ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড গড়ে ওঠে।

ধর্মবিনোদন ও সামাজিক জীবন

শিবিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বিনোদন বড় ভূমিকা রাখে। মূল রাস্তার দুপাশে রয়েছে গির্জা, স্পোর্টস বার ও ছোট থিয়েটার। মেনোনি গির্জা, কানাডিয়ান মিশনের প্রেসবাইটেরিয়ান গির্জা ও ব্যাপ্টিস্ট গির্জা—প্রত্যেকেই তাদের অনুসারী বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। বিশেষ করে ব্যাপ্টিস্টদের ধর্মীয় শিক্ষা ও সম্পদ লাভের প্রতিশ্রুতি অনেককে আকৃষ্ট করছে। এছাড়া বিয়ে, খেলাধুলা, কনসার্টসহ নানা আয়োজনের ফলে আমন্ত্রণপত্র মুদ্রণ, চুল কাটার স্যালোন, খেলাধুলার প্রশিক্ষণ, বুকমেকিং, খাবার বিক্রি—সকলই এই সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবনে অবদান রাখছে।

শিক্ষা ও ব্যক্তিগত উন্নয়ন

যদিও শরণার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিবিরের বাইরে চাকরি করতে পারে না বা স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাসের সুযোগ পায় না, তবু অনেকে আশাবাদী যে নিয়ম একদিন বদলাবে অথবা তারা অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ পাবে। তাই শিবিরে নানা ধরণের প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও শিক্ষা-কেন্দ্র বেশ জনপ্রিয়। এসবের মাধ্যমে তারা নিজেদের দক্ষতা বাড়াচ্ছে ও সম্ভাব্য ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ক্যাম্পে শ্রম ও ব্যবসা

ড্যাজালেকায় কর্মসংস্থানের বিকল্প তেমন নেই, তবে বিনোদন ও সামাজিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিশাল এক অনানুষ্ঠানিক বাজার গড়ে উঠেছে। কেউ বিয়ের সাজসজ্জা দেখাশোনা করে, কেউ ইভেন্ট আয়োজন করে, আবার কেউ বা ছোটখাটো নিরাপত্তা ও গেমবেটিং জুয়া নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করে। স্থানীয়রাই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্কুল থেকে শুরু করে নিরাপত্তা টহলের দায়িত্ব নিয়ে স্বনির্ভর কাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করছে।

ঐতিহাসিক তুলনা:

অর্থনীতিবিদরা অনেক দিন ধরেই দেখছেন—সামান্য সম্পদ বা সমান আয়ের মধ্যেও কিভাবে বিনিময়ের ব্যবস্থা তৈরি হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির Stalag VII-A বন্দিশিবিরে বন্দি হওয়া ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা রিচার্ড র‍্যাডফোর্ড দেখিয়েছিলেন, কিভাবে বন্দিরা সিগারেটকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করে একটি গোটা বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। সেখানেও সবার প্রায় সমান রেশন পেতো, বড় কোনো কাজ ছিল না, তবু চাহিদার ভিত্তিতে পণ্যের দাম ঠিক হত। ড্যাজালেকার অবস্থাও একই রকম—আসল উৎপাদনশীল শ্রম নেই, ফলে পণ্যের দাম নির্ভর করে জিনিসটি কতটুকু দুষ্প্রাপ্য এবং মানুষ কিভাবে তা ব্যবহার করতে চায়।

রবিবারের বিশ্রাম ও জীবনযাত্রার ছন্দ

ড্যাজালেকায় অনেকের কাছে রবিবার মানে ধর্মীয় কাজে অংশ নেওয়া বা সারা সপ্তাহের অনুষ্ঠান-উদযাপনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলা। যেহেতু শরণার্থীরা নিয়মিত চাকরি করতে পারে না, তাই সাপ্তাহিক ছুটির ধারণা এখানে কিছুটা ভিন্ন। তবু এই দিনটিতে গির্জায় মানুষের বেশি ভিড় হয়, আর বড় বড় বিনোদনমূলক আয়োজনও চলতে থাকে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও পারিবারিক পরিকল্পনা

ড্যাজালেকায় কর্মসংস্থানের অভাবে অনেকেই পরিবারের সদস্য বাড়ানোর মাধ্যমে জীবনের অর্থ খোঁজে। ফলে সেখানে একজন নারীর গড়ে সন্তান জন্মদানের হার মালাওয়ির সাধারণ হারের চেয়েও বেশি। চিকিৎসাকেন্দ্র নানা পদক্ষেপ নিয়েও জন্মহার খুব একটা কমাতে পারেনি। এর ওপর নতুন শরণার্থী যুক্ত হওয়ায় প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ শিবিরে যোগ হচ্ছে।

ভবিষ্যতের ভাবনা

বর্ধিত জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ড্যাজালেকার অর্থনীতি দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। মানুষ নিজেদের চাহিদা পূরণে বিকল্প পণ্য ও সেবা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে, ছোট ছোট কমিটি গঠন করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করছে। তবু আইনি নিয়মকানুন ও কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা অনেককেই চাহিদামতো জীবনযাপন থেকে আটকে রাখছে। একসময় যুদ্ধের দুর্দশা থেকে বাঁচতে আসা এই মানুষগুলোই আজ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না পেয়ে এক ধরনের বঞ্চনা অনুভব করছে।

উপসংহার

ড্যাজালেকার উদাহরণ আমাদের শেখায় যে, সামান্য আয় বা প্রায় সমান সম্পদের মাঝেও কিভাবে একটি সমাজ ও অর্থব্যবস্থা বিকশিত হতে পারে। শিক্ষা, বিনোদন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, নিয়মিত কাজের দুনিয়া তাদের নাগালের বাইরে। এই শরণার্থী শিবিরের গল্প একদিকে মানবিক সংকট তুলে ধরে, অন্যদিকে অর্থনীতির মৌলিক নিয়মগুলোর ওপর নতুনভাবে চিন্তা করার সুযোগ সৃষ্টি করে।