০৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২২)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 85

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

আজতেক জনগোষ্ঠী জীবনযাত্রার বাস্তবতা, মঙ্গল, বিচারবোধকে মেনে চলত। সেই কারণে মানবজাতির রক্ষাকবচ, রক্ষক, স্বর্গ-নরক বা কাজের দোষে পাকা এমন কোন বিশ্বাস তাদের মধ্যে ছিল না। আজতেকদের বর্তমান প্রজন্ম এবং পূর্বপুরুষ সবাই একথাই মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে যে প্রকৃতি (Nature)-ই ভাল বা মন্দর জন্য সক্রিয় থাকে।

এই প্রকৃতির ইচ্ছা অনিচ্ছার সঙ্গে জগাৎজীবনের ভাল-মন্দ সম্পর্কিত থাকার জন্য আজতেকরা এই ভাল মন্দর উপাদান শক্তিকেই দেব-দেবী হিসেবে বিশ্বাস করত। প্রকৃতির উপর এই দৃঢ় বিশ্বাস থাকার জন্য তারা এমনও মনে করে যে বাস্তবজীবনের ঘটনাগুলি আবারও ঘটে যায় এবং এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির মধ্য থেকে এক ধরনের ছন্দ বা শৃঙ্খলা গড়ে ওঠে।

জন্ম, মৃত্যু নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘটে যায়। ঘটতে থাকে তার নিজস্ব স্বাভাবিক নিয়মকে অনুসরণ করে। রাত্রির অবসানে দিন এবং দিনের শেষে সন্ধ্যা, রাত্রিও অমোঘ নিয়মে এসে যায়। এই অন্তহীন প্রকৃতির পরিবর্তন-এর পেছনে থাকে একটি অতিপ্রাকৃত শক্তি। প্রকৃতি এবং তার স্বাভাবিক শক্তির অনিবার্যতা বিচার করে বিশেষজ্ঞ এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানীরা বলেন যে আজতেকদের ধর্ম হল কার্যত প্রাকৃতিক শক্তির সম্পর্কে ভয়।

বলা যায় তার ভয়াবহতার প্রতি এক ধরনের স্বীকৃতি। আধার অনাদিক থেকে বলা হয় যে মানুষ কীভাবে কি প্রক্রিয়ায় এই শক্তিকে মোকাবিলা বা অস্বীকার করে সেই বিষয়টিও ধর্মের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে মানুষ কীভাবে সংস্কৃতি, শিল্প, যন্ত্র, যান্ত্রিক শক্তি, সামাজিক সংগঠন-এর ধারাবাহিক মান নির্ণয় করে বা বিবর্তনকে চিহ্নিত করে সেই কাজটিও ধর্মীয় বিশ্বাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২১)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২১)

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে মাইডাস ও ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২২)

০৭:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

আজতেক জনগোষ্ঠী জীবনযাত্রার বাস্তবতা, মঙ্গল, বিচারবোধকে মেনে চলত। সেই কারণে মানবজাতির রক্ষাকবচ, রক্ষক, স্বর্গ-নরক বা কাজের দোষে পাকা এমন কোন বিশ্বাস তাদের মধ্যে ছিল না। আজতেকদের বর্তমান প্রজন্ম এবং পূর্বপুরুষ সবাই একথাই মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে যে প্রকৃতি (Nature)-ই ভাল বা মন্দর জন্য সক্রিয় থাকে।

এই প্রকৃতির ইচ্ছা অনিচ্ছার সঙ্গে জগাৎজীবনের ভাল-মন্দ সম্পর্কিত থাকার জন্য আজতেকরা এই ভাল মন্দর উপাদান শক্তিকেই দেব-দেবী হিসেবে বিশ্বাস করত। প্রকৃতির উপর এই দৃঢ় বিশ্বাস থাকার জন্য তারা এমনও মনে করে যে বাস্তবজীবনের ঘটনাগুলি আবারও ঘটে যায় এবং এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির মধ্য থেকে এক ধরনের ছন্দ বা শৃঙ্খলা গড়ে ওঠে।

জন্ম, মৃত্যু নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘটে যায়। ঘটতে থাকে তার নিজস্ব স্বাভাবিক নিয়মকে অনুসরণ করে। রাত্রির অবসানে দিন এবং দিনের শেষে সন্ধ্যা, রাত্রিও অমোঘ নিয়মে এসে যায়। এই অন্তহীন প্রকৃতির পরিবর্তন-এর পেছনে থাকে একটি অতিপ্রাকৃত শক্তি। প্রকৃতি এবং তার স্বাভাবিক শক্তির অনিবার্যতা বিচার করে বিশেষজ্ঞ এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানীরা বলেন যে আজতেকদের ধর্ম হল কার্যত প্রাকৃতিক শক্তির সম্পর্কে ভয়।

বলা যায় তার ভয়াবহতার প্রতি এক ধরনের স্বীকৃতি। আধার অনাদিক থেকে বলা হয় যে মানুষ কীভাবে কি প্রক্রিয়ায় এই শক্তিকে মোকাবিলা বা অস্বীকার করে সেই বিষয়টিও ধর্মের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে মানুষ কীভাবে সংস্কৃতি, শিল্প, যন্ত্র, যান্ত্রিক শক্তি, সামাজিক সংগঠন-এর ধারাবাহিক মান নির্ণয় করে বা বিবর্তনকে চিহ্নিত করে সেই কাজটিও ধর্মীয় বিশ্বাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২১)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২১)