প্রদীপ কুমার মজুমদার
ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে কুড়িটি পরিকর্ম ও আটটি ব্যবহার নিয়েই আলোচনা করা। হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মগুপ্ত গণিঅধ্যায়ের দ্বাদশতম শ্লোকে বলেছেন:পরিকর্ম বিংশতিং যঃ সঙ্কলিতাদ্যাং পৃথক বিজানাতি।
অষ্টৌ চ ব্যবহারান ছায়ান্তান্ ভবতি গনকঃ সঃ।
অর্থাৎ যিনি কুড়িটি পরিকর্ম ও ছায়াসহ আটটি ব্যবহার জানবেন তিনিই গণিতজ্ঞ হবেন।’ এই ২০টি পরিকর্ম হচ্ছে:
(১) সংকলিত (২) ব্যবকলিত, (৩) গুণন, (৪) ভাগ, (৫) বর্গ,(৬) বর্গমূল, (৭) ঘন, (৮) ঘনমূল, (৯-১৩) পঞ্চজাতি, (১৪) ত্রৈরাশিক, (১৫) ব্যস্ত ত্রৈরাশিক, (১৬) পঞ্চরাশি, (১৭) সপ্তরাশি, (১৮) নবরাশি, (১৯) একাদশ রাশি, (২০) বন্দ-প্রতিবন্দ।
আটটি ব্যবহার হচ্ছে:
(১) মিশ্রক, (২) শ্রেঢ়ী, (৩) ক্ষেত্র, (৪) খাট, (৫) চিতি,(৬)ক্রাকশিক, (৭) রাশি, (৮) ছায়া।
কোন কোন গণিতবিদ উপযুক্ত সবগুলিকেই যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন তা নয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে কতকগুলি বিষয় অত্যন্ত সহজ হওয়ায় তাঁরা (গণিতবিদেরা) এড়িয়ে গিয়েছেন। যাই হোক এবার এক এক করে উপরোক্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা যাক। অবশ্য এর পূর্বে প্রথম আর্যভট গণিত গ্রন্থকার হিসাবে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করছি।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪২)