১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
মিষ্টি পানীয় কর থেকে প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞা—২০২৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসছে ছয়টি নতুন নিয়ম দুবাইয়ে মৃত্যুবরণ করলেন আমিরাতপ্রবাসী ভারতীয় ‘সুপারম্যান’ দেবেশ মিস্ত্রি সংযুক্ত আরব আমিরাতে গুরুতর অনিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি বাতিল জিন সম্পাদনায় বিশ্বে প্রথম: বিরল রোগ থেকে অলৌকিকভাবে রক্ষা পেল শিশু কেজে চীনা যুদ্ধবিমান রাডার লক্ষ্য করল জাপানি এসডিএফ জেটকে: টোকিওর অভিযোগ জামাত খুলনায় নতুন এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়োগ দিয়েছে, আর কিছু বলব না: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সুমাত্রায় ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত শত গ্রামের হাহাকার: ত্রাণ পৌঁছায়নি বহু এলাকায় সুন্দরবন থেকে ৭ জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার এখনও অচল, আন্তঃব্যাংক লেনদেন প্ল্যাটফর্ম বন্ধ সোনামসজিদ হয়ে ভারতে থেকে পেঁয়াজ আনছে বাংলাদেশ

ইউএসএইড বন্ধ হওয়ায় হওয়ায় সংকটে মায়ানমারের সাংবাদিকরা

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৪০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • 69

সারাক্ষণ রিপোর্ট

নির্বাসনে থাকা মায়ানমার সাংবাদিকদের মধ্যে, বিশেষ করে থাইল্যান্ডে কর্মরত সাংবাদিকরা, ট্রাম্পের বিদেশী সহায়তা বন্ধের ফলে কঠিন আর্থিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। এরা তাঁদের কাজকে “ঐতিহাসিক গুরুত্ব”পূর্ণ মনে করছেন, বিশেষ করে যখন সাম্প্রতিক একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৩,৬০০ এরও বেশি প্রাণহার হয়েছে—এবং দেশের অভ্যন্তরে চলমান গণযুদ্ধ ও সহিংসতার খবর প্রচারের প্রয়োজন আরও বেড়ে গেছে।

সাংবাদিকদের বর্তমান পরিস্থিতি

  • আর্থিক সংকট:
    অনেক প্রতিষ্ঠান যেমন CJ Platform, Mizzima এবং Narinjara News, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর আমেরিকান সহায়তার অভাবে গুরুতর আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে।

  • প্রচারের ব্যাঘাত:
    পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানগুলো USAID থেকে প্রাপ্ত তহবিলের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ সংবাদ সম্প্রচার করতো, যা এখন ব্যাহত হয়ে গেছে।
  • বেতন সংক্রান্ত সমস্যা:
    CJ Platform-এর ক্ষেত্রে বেতনের আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে, ১৯ জন সাংবাদিকের মধ্যে মাত্র ৯ জন কর্মরত থাকায় তাদেরকে থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের সীমান্তে ঠিকানা দিয়ে রাখতে হচ্ছে।

সংবাদ প্রচারে অবিচল আস্থা

  • কর্মজীবনে অবিচল প্রতিশ্রুতি:
    বেতন না পেলেও সাংবাদিকরা তাঁদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকছেন না। এক রিপোর্টার জানিয়েছেন, “বেতন বা অতিরিক্ত পারিশ্রমিক না থাকলেও আমরা ঠিক সংবাদ পৌঁছানোর অঙ্গীকার বজায় রাখি।”
  • সময় ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত:
    Mizzima-এর একজন ভিডিও রিপোর্টারের মতে, বড় ভূমিকম্পের পর প্রতি মুহূর্তের গুরুত্ব দ্বিগুণ হয়ে গেছে, যা তাঁদের কাজের গুরত্বকে আরও বেশি তুলে ধরেছে।

আর্থিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

  • তহবিলের অভাব:
    CJ Platform, যা ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পুরাপুরি USAID তহবিলে নির্ভরশীল ছিল, এখন ঋণের জটিলতার সম্মুখীন যখন প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরত আসেনি।
  • বিকল্প অর্থায়ন:
    ২০২১ সালের সামরিক বিদ্রোহের পর Mizzima-এর বিজ্ঞাপন আয় কমে যাওয়ার ফলে প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক দাতাদের সহযোগিতায় ভরসা করছে।
  • নতুন আয় উৎসের সন্ধান:
    প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প অর্থ উৎস অনুসন্ধান করছে:

    • Mizzima: নিজস্ব রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা
    • DVB: সামাজিক মাধ্যম অনুসারীদের থেকে অর্থায়নের সুযোগ
    • The Irrawaddy: ব্যক্তিগত অনুদান ও ক্রাউডফান্ডিং উদ্যোগ

সামাজিক ও সামরিক প্রেক্ষাপট

  • অতিরিক্ত কাজের চাপ:
    সাংবাদিকরা রিপোর্টিং ছাড়াও অতিরিক্ত কাজ যেমন মোটরসাইকেল ডেলিভারি বা পুরাতন পোশাক পুনর্বিক্রয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত উপার্জনের চেষ্টা করছেন।
  • মিডিয়ার পরিবর্তনশীল চাহিদা:
    DVB, যা স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় সমর্থন করে, মহিলাদের পরিচালিত টিভি প্রোগ্রাম বাতিল করার এবং অন্যান্য সুবিধা কমানোর চিন্তাভাবনা করছে।
  • সত্য ও মানবাধিকার রক্ষায় অটল সংকল্প:
    এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সাংবাদিকরা তাঁদের লেখf ও প্রচারের মাধ্যমে সত্য প্রকাশে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করছেন।

উপসংহার

নির্বাসনে থাকা মায়ানমার সাংবাদিকরা আর্থিক সংকট ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশের অভ্যন্তরীণ খবর, গণযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রেক্ষাপটে সত্য প্রেরণে অটল। তাঁদের এই সংগ্রাম শুধু একটি পেশাগত বাধ্যবাধকতা নয়, বরং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।

জনপ্রিয় সংবাদ

মিষ্টি পানীয় কর থেকে প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞা—২০২৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসছে ছয়টি নতুন নিয়ম

ইউএসএইড বন্ধ হওয়ায় হওয়ায় সংকটে মায়ানমারের সাংবাদিকরা

০৫:৪০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

নির্বাসনে থাকা মায়ানমার সাংবাদিকদের মধ্যে, বিশেষ করে থাইল্যান্ডে কর্মরত সাংবাদিকরা, ট্রাম্পের বিদেশী সহায়তা বন্ধের ফলে কঠিন আর্থিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। এরা তাঁদের কাজকে “ঐতিহাসিক গুরুত্ব”পূর্ণ মনে করছেন, বিশেষ করে যখন সাম্প্রতিক একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৩,৬০০ এরও বেশি প্রাণহার হয়েছে—এবং দেশের অভ্যন্তরে চলমান গণযুদ্ধ ও সহিংসতার খবর প্রচারের প্রয়োজন আরও বেড়ে গেছে।

সাংবাদিকদের বর্তমান পরিস্থিতি

  • আর্থিক সংকট:
    অনেক প্রতিষ্ঠান যেমন CJ Platform, Mizzima এবং Narinjara News, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর আমেরিকান সহায়তার অভাবে গুরুতর আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে।

  • প্রচারের ব্যাঘাত:
    পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানগুলো USAID থেকে প্রাপ্ত তহবিলের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ সংবাদ সম্প্রচার করতো, যা এখন ব্যাহত হয়ে গেছে।
  • বেতন সংক্রান্ত সমস্যা:
    CJ Platform-এর ক্ষেত্রে বেতনের আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে, ১৯ জন সাংবাদিকের মধ্যে মাত্র ৯ জন কর্মরত থাকায় তাদেরকে থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের সীমান্তে ঠিকানা দিয়ে রাখতে হচ্ছে।

সংবাদ প্রচারে অবিচল আস্থা

  • কর্মজীবনে অবিচল প্রতিশ্রুতি:
    বেতন না পেলেও সাংবাদিকরা তাঁদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকছেন না। এক রিপোর্টার জানিয়েছেন, “বেতন বা অতিরিক্ত পারিশ্রমিক না থাকলেও আমরা ঠিক সংবাদ পৌঁছানোর অঙ্গীকার বজায় রাখি।”
  • সময় ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত:
    Mizzima-এর একজন ভিডিও রিপোর্টারের মতে, বড় ভূমিকম্পের পর প্রতি মুহূর্তের গুরুত্ব দ্বিগুণ হয়ে গেছে, যা তাঁদের কাজের গুরত্বকে আরও বেশি তুলে ধরেছে।

আর্থিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

  • তহবিলের অভাব:
    CJ Platform, যা ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পুরাপুরি USAID তহবিলে নির্ভরশীল ছিল, এখন ঋণের জটিলতার সম্মুখীন যখন প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরত আসেনি।
  • বিকল্প অর্থায়ন:
    ২০২১ সালের সামরিক বিদ্রোহের পর Mizzima-এর বিজ্ঞাপন আয় কমে যাওয়ার ফলে প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক দাতাদের সহযোগিতায় ভরসা করছে।
  • নতুন আয় উৎসের সন্ধান:
    প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প অর্থ উৎস অনুসন্ধান করছে:

    • Mizzima: নিজস্ব রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা
    • DVB: সামাজিক মাধ্যম অনুসারীদের থেকে অর্থায়নের সুযোগ
    • The Irrawaddy: ব্যক্তিগত অনুদান ও ক্রাউডফান্ডিং উদ্যোগ

সামাজিক ও সামরিক প্রেক্ষাপট

  • অতিরিক্ত কাজের চাপ:
    সাংবাদিকরা রিপোর্টিং ছাড়াও অতিরিক্ত কাজ যেমন মোটরসাইকেল ডেলিভারি বা পুরাতন পোশাক পুনর্বিক্রয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত উপার্জনের চেষ্টা করছেন।
  • মিডিয়ার পরিবর্তনশীল চাহিদা:
    DVB, যা স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় সমর্থন করে, মহিলাদের পরিচালিত টিভি প্রোগ্রাম বাতিল করার এবং অন্যান্য সুবিধা কমানোর চিন্তাভাবনা করছে।
  • সত্য ও মানবাধিকার রক্ষায় অটল সংকল্প:
    এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সাংবাদিকরা তাঁদের লেখf ও প্রচারের মাধ্যমে সত্য প্রকাশে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করছেন।

উপসংহার

নির্বাসনে থাকা মায়ানমার সাংবাদিকরা আর্থিক সংকট ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশের অভ্যন্তরীণ খবর, গণযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রেক্ষাপটে সত্য প্রেরণে অটল। তাঁদের এই সংগ্রাম শুধু একটি পেশাগত বাধ্যবাধকতা নয়, বরং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।