০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন ‘আমাদের কণ্ঠ কেউ বন্ধ করতে পারবে না’—মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ উত্তর জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ও রেল চলাচলে বিঘ্ন”

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩০)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • 104

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

আমরা জামা বদলাবদলি করে নিলুম। দাঁও কষতে পেরে দু-জনেই খুব খুশি। তারপর এতদিনে লাল ফৌজের এক সত্যিকার সিপাইয়ের মতো পোশাক পরে কাঁধে রাইফেল ঝুলিয়ে আমি যখন চলে আসছি, তখন শুনলুম উনি ভাস্কাকে বলছেন:

‘সুবিধে পেলেই এটারে দেশে গিন্নির কাচে পাঠিয়ে দেব। আচ্ছা, ছোঁড়া ওভারকোটটা লিয়ে করবে কী? গুলিগোলা নাগলে তো পুরো কোটটাই বরবাদ হয়ে যাবে। আচ্ছা, কোটটা পেয়ে গিন্নি ভারি খুশি হবে, তাই না?’

রাত্রে যেতে-যেতে প্রথম যে-খামারবাড়ি আমাদের পথে পড়ল সেখান থেকে ফেদিয়া পথ দেখানোর জন্যে জনাদুই গাইড সংগ্রহ করে ফেলল। পাছে আমাদের বাহিনীকে ভুল রাস্তায় চালান করে শত্রুর মুখোমুখি ফেলে দেয় এই ভয়ে একজনের জায়গায় দু-জনকে ঠিক করা হল।

গাইড দু-জন আলাদা আলাদা ভাবে চলল, আর যখন কোনো একটা চৌমাথায় এসে একজন বলল বাঁদিকে যেতে হবে আমরা তখন আলাদাভাবে আরেক জনের মত নিতে লাগলুম। যেক্ষেত্রে দু-জনে একই দিক দেখাতে লাগল একমাত্র সেখানেই আমরা দু-জনের দেখানো পথে যেতে লাগলুম।

প্রথম দিকে আমরা দু-জন দু-জন করে সারি বেঁধে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে লাগলুম আর পদে-পদে ধাক্কা খেতে লাগলুম সামনের লোকের সঙ্গে। ফেদিয়া সিভ আগেই হুকুম দিয়েছিল ঘোড়াদের খুরগুলো কাপড়ে মুড়ে নিতে।

সকাল হতে আমরা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলের মধ্যে একটা ফাঁকা জায়গায় চলে এলুম। ঠিক করলুম, ওইখানেই সারাদিন বিশ্রাম নেব, কারণ দিনের বেলায় ওভাবে এগোনো নিরাপদ ছিল না। রাস্তার পাশে রাসপবেরি-ঝোপের মধ্যে খবরাখবর শোনার জন্যে লোক মোতায়েন করে এলুম আমরা। দুপুরের দিকে পশ্চিমা বাতাস বইতে আরম্ভ করায় কাছাকাছি কোথা থেকে কামানের লড়াইয়ের ভারি গুমগুম শব্দ কানে এল। আমাদের পাশ দিয়ে শেবালভকে চিন্তিতভাবে যেতে দেখলুম। ও’র পাশে-পাশে হাঁটছিল ফেদিয়া, শক্ত পায়ে একটু লাফিয়ে লাফিয়ে আর কথা বলে যাচ্ছিল দ্রুতলয়ে। ও’রা দু-জন গিয়ে সুখারেভের কাছে দাঁড়ালেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা”

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩০)

০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

আমরা জামা বদলাবদলি করে নিলুম। দাঁও কষতে পেরে দু-জনেই খুব খুশি। তারপর এতদিনে লাল ফৌজের এক সত্যিকার সিপাইয়ের মতো পোশাক পরে কাঁধে রাইফেল ঝুলিয়ে আমি যখন চলে আসছি, তখন শুনলুম উনি ভাস্কাকে বলছেন:

‘সুবিধে পেলেই এটারে দেশে গিন্নির কাচে পাঠিয়ে দেব। আচ্ছা, ছোঁড়া ওভারকোটটা লিয়ে করবে কী? গুলিগোলা নাগলে তো পুরো কোটটাই বরবাদ হয়ে যাবে। আচ্ছা, কোটটা পেয়ে গিন্নি ভারি খুশি হবে, তাই না?’

রাত্রে যেতে-যেতে প্রথম যে-খামারবাড়ি আমাদের পথে পড়ল সেখান থেকে ফেদিয়া পথ দেখানোর জন্যে জনাদুই গাইড সংগ্রহ করে ফেলল। পাছে আমাদের বাহিনীকে ভুল রাস্তায় চালান করে শত্রুর মুখোমুখি ফেলে দেয় এই ভয়ে একজনের জায়গায় দু-জনকে ঠিক করা হল।

গাইড দু-জন আলাদা আলাদা ভাবে চলল, আর যখন কোনো একটা চৌমাথায় এসে একজন বলল বাঁদিকে যেতে হবে আমরা তখন আলাদাভাবে আরেক জনের মত নিতে লাগলুম। যেক্ষেত্রে দু-জনে একই দিক দেখাতে লাগল একমাত্র সেখানেই আমরা দু-জনের দেখানো পথে যেতে লাগলুম।

প্রথম দিকে আমরা দু-জন দু-জন করে সারি বেঁধে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে লাগলুম আর পদে-পদে ধাক্কা খেতে লাগলুম সামনের লোকের সঙ্গে। ফেদিয়া সিভ আগেই হুকুম দিয়েছিল ঘোড়াদের খুরগুলো কাপড়ে মুড়ে নিতে।

সকাল হতে আমরা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলের মধ্যে একটা ফাঁকা জায়গায় চলে এলুম। ঠিক করলুম, ওইখানেই সারাদিন বিশ্রাম নেব, কারণ দিনের বেলায় ওভাবে এগোনো নিরাপদ ছিল না। রাস্তার পাশে রাসপবেরি-ঝোপের মধ্যে খবরাখবর শোনার জন্যে লোক মোতায়েন করে এলুম আমরা। দুপুরের দিকে পশ্চিমা বাতাস বইতে আরম্ভ করায় কাছাকাছি কোথা থেকে কামানের লড়াইয়ের ভারি গুমগুম শব্দ কানে এল। আমাদের পাশ দিয়ে শেবালভকে চিন্তিতভাবে যেতে দেখলুম। ও’র পাশে-পাশে হাঁটছিল ফেদিয়া, শক্ত পায়ে একটু লাফিয়ে লাফিয়ে আর কথা বলে যাচ্ছিল দ্রুতলয়ে। ও’রা দু-জন গিয়ে সুখারেভের কাছে দাঁড়ালেন।