ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
তবে এই জেলবন্দী বা যুদ্ধাপরাধীদের বলিদান সম্পর্কে আজতেক সংবাদবিশেষজ্ঞ বেরনারদিনো দে সাগুন (Bernardino Do Sahgun) নরবলি প্রথাকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁর মতে এই নরবলি প্রথা ইউরোপীয়দের যুদ্ধ করার থেকে খুব একটা পৃথক নয়। কেন না ইউরোপীয়রা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেনা যোদ্ধাদের হত্যা করে।
আর আজতেক প্রথায় যুদ্ধের পর বন্দীদের হত্যা করে। আবার অন্যভাবে একথাও বলা হয় যে বিশেষ করে স্প্যানিশ আক্রমণের সময় কেউ কেউ নিজেকে উৎসর্গ করাটাকে সম্মানজনক মনে করত।
লোকগল্প বলছে যোদ্ধাবীর তাইইকোলে (Tlahuicole) কে আজতেকরা প্রথমে মুক্ত করে দিয়েছিল কিন্তু পরে তিনি নিজের ইচ্ছায় বলিদান প্রথাকে সম্মান জানিয়ে আত্মত্যাগ করেছিলেন। স্প্যানিশদের কাছে পরাজিত হবার পরেও এবং খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ করার পরেও ধর্মীয়। আত্মত্যাগ প্রথা আজতেকদের মধ্যে প্রচলিত ছিল।
আজতেক ধর্মীয় বিশ্বাস লোকগল্প ও লোকাচার-এর উৎস ও প্রকার নানা দিকে হড়িয়ে আছে। বিশিষ্ট ফরাসী নৃতাত্বিক লোরেত সজোন (Lourelte Sejourne) আজতেক এবং মেসোআমেরিকা আধ্যাত্মিকতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। সজোন।
মনে করেন যে আজতেকদের ধর্মপ্রাণ মন খুবই শক্তিশালী ছিল। সজোর্ন এর বিশ্লেষণ এত তীক্ষ্ম ও যুক্তিনির্ভর যে তার লেখা থেকে একটি ধর্মীয়তত্ত্ব তৈরি করা যায়। তাঁর বিশ্লেষণের কিছু অংশ ধর্মের গুঢ়তত্ত্বের সমর্থকরা গ্রহণ করেছিল।
(চলবে)