০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন ‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন চীনের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র গ্যাসক্ষেত্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু কেমন ছিলো শুক্রবারের কাঁচাবাজারের আবহাওয়া মাইক্রোক্রেডিটের ভাঙা প্রতিশ্রুতি: কেন কিছু ঋণগ্রহীতা বলছেন “আর না” ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ও পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা আরাকান আর্মির সাথে ‘লড়াইয়ের প্রস্তুতির’ কথা বলছে রোহিঙ্গারা, সরেজমিন প্রতিবেদন ঢাকার খিলক্ষেতে পূজা মণ্ডপ ভাঙা ও উচ্ছেদ নিয়ে কী জানা যাচ্ছে? বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের নদী–নদীতে যেসব হাঙরের রাজত্ব রূপসা নদী: এক খাল কাটা স্বপ্ন থেকে দক্ষিণের প্রবেশদ্বার

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • 30

প্রদীপ কুমার মজুমদার

গ্রন্থোল্লিখিত বিবরণের সঙ্গে এই মতের পরিপূর্ণ সামজন্য আছে। কিন্তু প্রথম আর্যভট সম্পর্কে এঁরা নীরব। এঁদের বক্তব্য থেকে এই ধারণা করা যায় যে ইনি একজন প্রাচীনতম গ্রন্থকার। ক্যে কিন্তু এ মতের সমর্থক নন। তিনি বলেন আর্যভটায়ের গণিত অংশটি পৃথকভাবে দশম শতাব্দীর কুহুমপুরের আর্যভটের রচনা।

গ্রন্থের বাকী অংশটুকু আলবিরূণী উল্লিখিত প্রথম আর্যভটের (৪৭৬ খ্রীঃ) রচনা বলে ক্যে স্বীকার করেছেন। আপতদৃষ্টিতে মনে হয় ক্যে’র অনুমান সঠিক কিন্তু সূক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ করলে এ মত যুক্তিগ্রাহ্ন নয়। এর দ্বারা সমস্যাটিকে জটিলতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আর্যভটের রচনা আর্যাছন্দে রচিত ১০৮টি শ্লোকে নিবদ্ধ হওয়ায় তাঁর পরবর্তী গ্রন্থকারেরা এটিকে আর্যাষ্টশত নামে অভিহিত করেছেন। আর্যভট নিজে এই নাম দেন নি।

ভারতবর্ষে যত পুঁথি পাওয়া গেছে তার সবগুলিতেই গণিত অংশ সমেত ১০৮টি শ্লোক দেখতে পাওয়া যায়। এটি বিশেষ ইঙ্গিতবাহী। ব্রহ্মগুপ্তের রচনা যদি পাঠ করা যায় তাহলে দেখা যাবে তিনি (ব্রহ্মগুপ্ত) স্পষ্টই গণিত অংশটি আর্যভটের রচনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটির সমালোচনাও করেছেন।

সবকিছু খুঁটিয়ে বিচার করে দেখলে আমরা মোটামুটি দুটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে পারি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)

 

কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৮)

০৩:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

গ্রন্থোল্লিখিত বিবরণের সঙ্গে এই মতের পরিপূর্ণ সামজন্য আছে। কিন্তু প্রথম আর্যভট সম্পর্কে এঁরা নীরব। এঁদের বক্তব্য থেকে এই ধারণা করা যায় যে ইনি একজন প্রাচীনতম গ্রন্থকার। ক্যে কিন্তু এ মতের সমর্থক নন। তিনি বলেন আর্যভটায়ের গণিত অংশটি পৃথকভাবে দশম শতাব্দীর কুহুমপুরের আর্যভটের রচনা।

গ্রন্থের বাকী অংশটুকু আলবিরূণী উল্লিখিত প্রথম আর্যভটের (৪৭৬ খ্রীঃ) রচনা বলে ক্যে স্বীকার করেছেন। আপতদৃষ্টিতে মনে হয় ক্যে’র অনুমান সঠিক কিন্তু সূক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ করলে এ মত যুক্তিগ্রাহ্ন নয়। এর দ্বারা সমস্যাটিকে জটিলতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আর্যভটের রচনা আর্যাছন্দে রচিত ১০৮টি শ্লোকে নিবদ্ধ হওয়ায় তাঁর পরবর্তী গ্রন্থকারেরা এটিকে আর্যাষ্টশত নামে অভিহিত করেছেন। আর্যভট নিজে এই নাম দেন নি।

ভারতবর্ষে যত পুঁথি পাওয়া গেছে তার সবগুলিতেই গণিত অংশ সমেত ১০৮টি শ্লোক দেখতে পাওয়া যায়। এটি বিশেষ ইঙ্গিতবাহী। ব্রহ্মগুপ্তের রচনা যদি পাঠ করা যায় তাহলে দেখা যাবে তিনি (ব্রহ্মগুপ্ত) স্পষ্টই গণিত অংশটি আর্যভটের রচনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটির সমালোচনাও করেছেন।

সবকিছু খুঁটিয়ে বিচার করে দেখলে আমরা মোটামুটি দুটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে পারি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)