প্রদীপ কুমার মজুমদার
গ্রন্থোল্লিখিত বিবরণের সঙ্গে এই মতের পরিপূর্ণ সামজন্য আছে। কিন্তু প্রথম আর্যভট সম্পর্কে এঁরা নীরব। এঁদের বক্তব্য থেকে এই ধারণা করা যায় যে ইনি একজন প্রাচীনতম গ্রন্থকার। ক্যে কিন্তু এ মতের সমর্থক নন। তিনি বলেন আর্যভটায়ের গণিত অংশটি পৃথকভাবে দশম শতাব্দীর কুহুমপুরের আর্যভটের রচনা।
গ্রন্থের বাকী অংশটুকু আলবিরূণী উল্লিখিত প্রথম আর্যভটের (৪৭৬ খ্রীঃ) রচনা বলে ক্যে স্বীকার করেছেন। আপতদৃষ্টিতে মনে হয় ক্যে’র অনুমান সঠিক কিন্তু সূক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ করলে এ মত যুক্তিগ্রাহ্ন নয়। এর দ্বারা সমস্যাটিকে জটিলতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আর্যভটের রচনা আর্যাছন্দে রচিত ১০৮টি শ্লোকে নিবদ্ধ হওয়ায় তাঁর পরবর্তী গ্রন্থকারেরা এটিকে আর্যাষ্টশত নামে অভিহিত করেছেন। আর্যভট নিজে এই নাম দেন নি।
ভারতবর্ষে যত পুঁথি পাওয়া গেছে তার সবগুলিতেই গণিত অংশ সমেত ১০৮টি শ্লোক দেখতে পাওয়া যায়। এটি বিশেষ ইঙ্গিতবাহী। ব্রহ্মগুপ্তের রচনা যদি পাঠ করা যায় তাহলে দেখা যাবে তিনি (ব্রহ্মগুপ্ত) স্পষ্টই গণিত অংশটি আর্যভটের রচনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটির সমালোচনাও করেছেন।
সবকিছু খুঁটিয়ে বিচার করে দেখলে আমরা মোটামুটি দুটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে পারি।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)