০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 24

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এই আর্য-সিদ্ধান্তটির বয়স নিয়ে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেন্টলী সাহেব চতুর্দশ শতাব্দীতে এটি রচনা করা হয়েছে বলে মনে করেন। সীওয়েল মনে করেন এটি ১৫০ খ্রীষ্টাব্দে রচিত। ডঃ দত্ত বলেন ভট্টোৎপল এই গ্রন্থটির উল্লেখ করেন নি।

আলবিরূণী সংস্কৃত গ্রন্থ ও গ্রন্থকারদের যে তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন তাতেও এই গ্রন্থটির উল্লেখ নেই। এই অনুল্লেখকে যদি তাঁর কাল নিরূপণের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসাবে ধরা যায় তাহলে বলতে হবে তিনি (আর্থ-সিদ্ধান্তের লেখক) আলবিরূণীর পরবর্তী কালের লোক।

আলবিরূণীর উল্লিখিত দুইজন আর্যভট, আর্যভটীয় গ্রন্থের লেখক আর্যভট এবং আর্যসিদ্ধান্তের আর্যভট ও বৃদ্ধ আর্যভট, এদের মধ্যেকার সম্পর্ক নির্ণয় করা সহজসাধ্য নয়। পূর্ববর্তী কোন লেখকই এই বিচিত্র গ্রহেলিকাটির সমাধান করতে যথাযথ মনোযোগ দেন নি।

কেউ কেউ এব্যাপারে সামার সাফল্যমণ্ডিত হলেও কেউই এটির শেষ পর্যন্ত অগ্রসর হন নি। আলবিরূণীর রচনা থেকে জানা যে আর্যভটীয় গ্রন্থটি দুই জন আর্যভটের একজনের লেখা। ভাদাউদী, বেনড, কার্ন, বেবর, ভিনতেরনিৎস প্রমুখেরা বলেছেন ঐ গ্রন্থটি আলবিন্ধণী উল্লিখিত কুসুমপুরের আর্যভটের রচনা।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)

 

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)

০৩:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এই আর্য-সিদ্ধান্তটির বয়স নিয়ে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেন্টলী সাহেব চতুর্দশ শতাব্দীতে এটি রচনা করা হয়েছে বলে মনে করেন। সীওয়েল মনে করেন এটি ১৫০ খ্রীষ্টাব্দে রচিত। ডঃ দত্ত বলেন ভট্টোৎপল এই গ্রন্থটির উল্লেখ করেন নি।

আলবিরূণী সংস্কৃত গ্রন্থ ও গ্রন্থকারদের যে তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন তাতেও এই গ্রন্থটির উল্লেখ নেই। এই অনুল্লেখকে যদি তাঁর কাল নিরূপণের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসাবে ধরা যায় তাহলে বলতে হবে তিনি (আর্থ-সিদ্ধান্তের লেখক) আলবিরূণীর পরবর্তী কালের লোক।

আলবিরূণীর উল্লিখিত দুইজন আর্যভট, আর্যভটীয় গ্রন্থের লেখক আর্যভট এবং আর্যসিদ্ধান্তের আর্যভট ও বৃদ্ধ আর্যভট, এদের মধ্যেকার সম্পর্ক নির্ণয় করা সহজসাধ্য নয়। পূর্ববর্তী কোন লেখকই এই বিচিত্র গ্রহেলিকাটির সমাধান করতে যথাযথ মনোযোগ দেন নি।

কেউ কেউ এব্যাপারে সামার সাফল্যমণ্ডিত হলেও কেউই এটির শেষ পর্যন্ত অগ্রসর হন নি। আলবিরূণীর রচনা থেকে জানা যে আর্যভটীয় গ্রন্থটি দুই জন আর্যভটের একজনের লেখা। ভাদাউদী, বেনড, কার্ন, বেবর, ভিনতেরনিৎস প্রমুখেরা বলেছেন ঐ গ্রন্থটি আলবিন্ধণী উল্লিখিত কুসুমপুরের আর্যভটের রচনা।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)