১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত হলো ৬৪ জেলার নতুন এসপি চবি শিক্ষার্থীর স্ট্রোকে মৃত্যু বাউল আবুল সরকারের অনুসারীদের ওপর হামলা: ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, কারো নাম উল্লেখ নয় মোহাম্মদপুরে বাড়ির সামনে হামলা: ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা আশঙ্কাজনক বাউল আবুল সরকার গ্রেপ্তার ও সমর্থকদের ওপর হামলায় উদ্বেগ জানাল টিআইবি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চাইলেন যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ পুরুষদের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্ম ঘোস্টবাস্টারস–রাশ আওয়ার–রজার র‌্যাবিট—যে তিন ছবিতে না করে আফসোসে আছেন এডি মারফি ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে ইকোফ্লোর দামে ধস, ব্যাকআপ পাওয়ার এখন মূলধারায় ট্রাম্পের রিয়াদ সফর: বৈশ্বিক পুনর্বিন্যাসের সংকেত

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 75

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এই আর্য-সিদ্ধান্তটির বয়স নিয়ে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেন্টলী সাহেব চতুর্দশ শতাব্দীতে এটি রচনা করা হয়েছে বলে মনে করেন। সীওয়েল মনে করেন এটি ১৫০ খ্রীষ্টাব্দে রচিত। ডঃ দত্ত বলেন ভট্টোৎপল এই গ্রন্থটির উল্লেখ করেন নি।

আলবিরূণী সংস্কৃত গ্রন্থ ও গ্রন্থকারদের যে তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন তাতেও এই গ্রন্থটির উল্লেখ নেই। এই অনুল্লেখকে যদি তাঁর কাল নিরূপণের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসাবে ধরা যায় তাহলে বলতে হবে তিনি (আর্থ-সিদ্ধান্তের লেখক) আলবিরূণীর পরবর্তী কালের লোক।

আলবিরূণীর উল্লিখিত দুইজন আর্যভট, আর্যভটীয় গ্রন্থের লেখক আর্যভট এবং আর্যসিদ্ধান্তের আর্যভট ও বৃদ্ধ আর্যভট, এদের মধ্যেকার সম্পর্ক নির্ণয় করা সহজসাধ্য নয়। পূর্ববর্তী কোন লেখকই এই বিচিত্র গ্রহেলিকাটির সমাধান করতে যথাযথ মনোযোগ দেন নি।

কেউ কেউ এব্যাপারে সামার সাফল্যমণ্ডিত হলেও কেউই এটির শেষ পর্যন্ত অগ্রসর হন নি। আলবিরূণীর রচনা থেকে জানা যে আর্যভটীয় গ্রন্থটি দুই জন আর্যভটের একজনের লেখা। ভাদাউদী, বেনড, কার্ন, বেবর, ভিনতেরনিৎস প্রমুখেরা বলেছেন ঐ গ্রন্থটি আলবিন্ধণী উল্লিখিত কুসুমপুরের আর্যভটের রচনা।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত হলো ৬৪ জেলার নতুন এসপি

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৭)

০৩:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এই আর্য-সিদ্ধান্তটির বয়স নিয়ে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেন্টলী সাহেব চতুর্দশ শতাব্দীতে এটি রচনা করা হয়েছে বলে মনে করেন। সীওয়েল মনে করেন এটি ১৫০ খ্রীষ্টাব্দে রচিত। ডঃ দত্ত বলেন ভট্টোৎপল এই গ্রন্থটির উল্লেখ করেন নি।

আলবিরূণী সংস্কৃত গ্রন্থ ও গ্রন্থকারদের যে তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন তাতেও এই গ্রন্থটির উল্লেখ নেই। এই অনুল্লেখকে যদি তাঁর কাল নিরূপণের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসাবে ধরা যায় তাহলে বলতে হবে তিনি (আর্থ-সিদ্ধান্তের লেখক) আলবিরূণীর পরবর্তী কালের লোক।

আলবিরূণীর উল্লিখিত দুইজন আর্যভট, আর্যভটীয় গ্রন্থের লেখক আর্যভট এবং আর্যসিদ্ধান্তের আর্যভট ও বৃদ্ধ আর্যভট, এদের মধ্যেকার সম্পর্ক নির্ণয় করা সহজসাধ্য নয়। পূর্ববর্তী কোন লেখকই এই বিচিত্র গ্রহেলিকাটির সমাধান করতে যথাযথ মনোযোগ দেন নি।

কেউ কেউ এব্যাপারে সামার সাফল্যমণ্ডিত হলেও কেউই এটির শেষ পর্যন্ত অগ্রসর হন নি। আলবিরূণীর রচনা থেকে জানা যে আর্যভটীয় গ্রন্থটি দুই জন আর্যভটের একজনের লেখা। ভাদাউদী, বেনড, কার্ন, বেবর, ভিনতেরনিৎস প্রমুখেরা বলেছেন ঐ গ্রন্থটি আলবিন্ধণী উল্লিখিত কুসুমপুরের আর্যভটের রচনা।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)