বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৬)

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৩.০৪ এএম

প্রদীপ কুমার মজুমদার

ডঃ দত্ত’ মনে করেন নাচাই, গ্রন্থনামের সঠিক পাঠোদ্ধার করতে পারেন নি এবং এটিকে AL-ntf বলে ধরে নিয়েছেন। এ হয়তো কোন গ্রন্থের আরবী অনুবাদ যার মূল সংস্কৃত গ্রন্থ আয়ও পাওয়া যায়নি। ডা হত এরপর বলেছেন কুহুমপুরের আর্যভট্টের রচনার যে উদ্ধৃতি আনবিরণী দিয়েছেন তা সবই এই বই থেকে দেওয়া কিনা তা আমরা জানি না।

অন্ততঃ একটি উদ্ধৃতি বলভদ্রের থেকে দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয়। উপরোক্ত মন্তব্যের পর দত্ত বলেছেন “আলবিরণী গ্রন্থটিকে ইতস্ততঃ পরিমার্জিত করেছেন, এবং এ থেকে প্রমাণিত হয় অনুবাদ কানে সাত নকলে আসল খাস্তা হয়ে গিয়েছিল।”

আর্থসিদ্ধান্ত নামে একটি গ্রন্থ দেখতে পাওয়া যায় যেটির রচয়িতা হিসাবে আর্যভটের নাম দেখা যায়। এটি অত্যন্ত বৃহৎ বলে মহা-আর্যসিদ্ধান্ত সংক্ষেপে আর্থ-সিদ্ধান্ত নামেও প্রচলিত ছিল।

আর্যসিদ্ধান্তের দুটি প্রমাদপূর্ণ পুঁ’খি দেখে হল বলেন, “যেহেতু আর্য-সিদ্ধান্ত গ্রন্থে বৃদ্ধ আর্যভটের উল্লেখ আছে। অতএব মনে হয় আর্যভট নামে ছলন গণিতবিদ ছিলেন। কার্ণ (Karn) এ মতের সমর্থক এবং মন্তব্য করেন -হয়তো কোন তরুণ গণিতবিদ গৌরবার্থে আর্যভট নামটি ব্যবহার করেছেন।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৫)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024