প্রদীপ কুমার মজুমদার
আলবিরূণী তাঁর গ্রন্থে আর্যভট ও তাঁর শিষ্যগণের প্রশংসা করেন এবং ব্রহ্মগুপ্তের আর্যভট সম্পর্কে কঠোর সমালোচনাকেই দোষারোপ করেছেন। বলভদ্র কর্তৃক উদ্ধৃত আর্যভটের রচনাংশ উল্লেখ করে আলবিরূণী বলভদ্রকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি (আলবিরূণী) ব্রহ্মগুপ্ত সম্পর্কে বলেছেন বিজ্ঞানকে পুরাণের অলীক গল্প এবং প্রচলিত কুসংস্কারের মিশ্রণ ঘটিয়ে বিজ্ঞানকে বলি দিয়েছেন। পণ্ডিতেরা অনুমান করেন হয়তো এ সব কারণেই আলবিরূণী ব্রহ্মগুপ্ত কর্তৃক আর্য’ ভটের রচনার উদ্ধৃতি সঠিক ছিল কিনা সংশয় প্রকাশ করেন।
কারণ ব্রহ্মগুপ্তের উদ্ধৃতির উপর নির্ভর করে আর্যভট সম্বন্ধে আলোচনা কালে তিনবার তিনি আর্যভটের মূল গ্রন্থ না পাবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভট রচিত একটি গ্রন্থের কথা কয়েকবার এমনভাবে বলেছেন যা থেকে অনুমান করা যেতে পারে গ্রন্থটির অনুলিপি বোধ হয় তাঁব কাছে ছিল।
সাচাউ (Sachau) মনে করেন এটি পরবর্তী আর্যভটের রচিত একটি সংস্কৃত গ্রন্থ। কিন্তু এখানে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে।
(চলবে)