প্রদীপ কুমার মজুমদার
আলবিরূণী আর্যভট রচিত দশগীতিকা আর্যাঃশত ও তন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে কোনটি কার লেখা (দুই আর্যভটের মধ্যে) সেটি তিনি বলেন নি। আলবিরূণী এক জায়গায় বলেছেন প্রথম গ্রন্থ ছাট তিনি কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারেন নি। যা কিছু জানতে পেরেছেন তা ব্রহ্মগুপ্তের রচনা থেকে। তৃতীয় গ্রন্থটির কথা আলবিরূণীর আগের কোন গণিতবিদই উল্লেখ করেন নি এবং পরবর্তী কালে ঐ গ্রন্থটি সম্বন্ধে জানা যায় না।
ব্রহ্মগুপ্তের পর ভট্টোৎপল (১৬৬খ্রীঃ) পৃথুডক স্বামী, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য, ষোড়শ শতকে আর্যভট অনুপন্থী গণেশ, মুনীশ্বর ও জ্ঞানরাজ আর্যভটের রচনাবলীর উল্লেখ করেন। এঁদের রচনা পড়লে মনে হয় আর্যভটের মূল রচনা এঁদের কাছে ছিল। যাই হোক পরবর্তী কালে সম্ভবতঃ এগুলি নষ্ট হয়ে যায়।
কোলেক্রক সাহেব নানা অসুবিধার মধ্যে দীর্ঘকাল অনুসন্ধান চালিয়ে আর্যভটের বীজগণিতের বা অন্য কোন রচনাংশের সন্ধান পান নি। অবশেষে ভাদাউজি “দশগীতিকা” এবং “আর্যভটীয়” এই গ্রন্থ দুটির পু’থি আবিষ্কার করেন।
আর্যভটীয়ের ‘গণিত’ এবং ‘কালক্রিয়া’ নামক দুটি অংশের প্রথম ও দশম শ্লোক দুটি থেকে জানা যায়, ৪৯৯ খ্রীষ্টাব্দে কুসুমপুরে মাত্র তেইশ বৎসর বয়সে আর্যভট এই গ্রন্থটি রচনা করেন। এ থেকে পণ্ডিতেরা মনে করেন আর্যভট ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। এবং আর্যভটীয় গ্রন্থনামটি রচনাকারের নিজের দেওয়া।
(চলবে)