প্রদীপ কুমার মজুমদার
বহুপণ্ডিত আর্যসিদ্ধান্তের উল্লিখিত বৃদ্ধ আর্যভট ও আর্যভটীয় গ্রন্থের কুসুমপুরের আর্যভটকে অভিন্ন বলতে চান। কিন্তু আর্যসিদ্ধান্তের লেখকই বলেছেন তাঁর রচনা বৃদ্ধ আর্যভটের রচনার পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ। এক্ষেত্রে উভয়ের রচনায় বড় রকমের সাদৃশ্য আশা করলেও পূর্বকথিত মৌলিক পার্থক্যগুলি পাওয়া যাচ্ছে।
আর্যভটীয়ের সংক্ষিপ্ত রচনা পদ্ধতির জন্য মাঝে মঝে দুর্বোধ্য বলে মনে হয়। হয়তো এটি কোন বড় রচনার ক্ষুদ্র সংস্করণ। এটি কি বুদ্ধ আর্যভটের রচনা? ৬২৮ খ্রীষ্টাব্দে ব্রহ্মগুপ্ত রচিত ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে আর্যভটের নিন্দা করা হয়েছে। আবার ৬৬ শ্রীষ্টাব্দে তিনি আর্যভটের গণিতের ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য “করণ” রচনা করেছেন।
বলা হয় জনমতের চাপে তিনি এটি করতে বাধ্য হন। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি দুর্বল যুক্তি। লক্ষণীয় এই যে একটি epicycle এর পরিমাণ [২] ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ৩৩, ১১১,
দেখা যাচ্ছে আলবিরূণী প্রদত্ত বেশীর ভাগ উদ্ধৃতিই সরাসরি প্রথম বা দ্বিতীয় আর্যভটের থেকে নেওয়া হয় নি।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬১)