১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ট্রাম্প তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা প্রধানের পদত্যাগ ২৮ হাজার ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিতে, অবৈধ অস্ত্র রোধের সুপারিশ সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪২)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • 55

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

যুদ্ধবন্দী দাস

নানা প্রথা আচার: লোকাচার উৎসর্গপ্রথার অন্য একটি দিকও উল্লেখ করার মত। এই লোকরীতিটি গড়ে উঠেছে যুদ্ধবন্দীদের কেন্দ্র করে। আজতেক জনগোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবন্দীদের খুব উঁচু স্তরের উৎসর্গ বলে মনে করা হয়। যতটা সম্মান উঁচু স্তরের ততটাই কম উৎসর্গ করা হয় তাদের।

সাধারণভাবে অনাড়ম্বর ও ছোটখাটো উৎসবে এই দাসদের উৎসর্গ করা হয়। এছাড়া মেয়ে এবং শিশুদের উর্বরতা উৎসবে উৎসর্গ করার রীতি আছে। তবে খুবই কম অনুষ্ঠানে এদের বলি দেওয়া হয়। এছাড়া মাঝে মধ্যে নরবলি দেওয়াও হয়। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন যে এই বলি দেওয়া মানুষের রক্ত বা মাংস খেলে খাদকের মধ্যে খাদ্যের সব ভাল গুণ প্রবেশ করে যায়।

এই বিশ্বাসকে লোকাচারের মধ্যে সীমিত না রেখে সহানুভূতি জাদুবিদ্যা বলা যায়। তবে আজতেক সমাজে এই জাদু লোকরীতি বা আচারকে খারাপ বা অমঙ্গলসূচক বলা হয় না। আবার বলি বা উৎসর্গীকৃত প্রাণী বা মানুষের নিজের শরীর থেকে তাজা রক্ত ঝরানোও এক লোকরীতি। অনেক সময় গরীব, রোগগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত সাধারণ মানুষ নিজের শরীরের জিভ, নাক কেটে রক্ত দেবতাকে স্মরণ করে উৎসর্গ করে।

এই ধরনের প্রথা বা লোকাচার-এর অর্থ হল এর ফলে দেবতারা খুব সন্তুষ্ট ও খুশী হন। রোগ, বিপদ সব কিছু থেকে মুক্ত করেন। এই ধরনের অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক বিশ্বাস ছিল আজতেকদের জীবনযাত্রার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪১)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪১)

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪২)

০৭:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

যুদ্ধবন্দী দাস

নানা প্রথা আচার: লোকাচার উৎসর্গপ্রথার অন্য একটি দিকও উল্লেখ করার মত। এই লোকরীতিটি গড়ে উঠেছে যুদ্ধবন্দীদের কেন্দ্র করে। আজতেক জনগোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবন্দীদের খুব উঁচু স্তরের উৎসর্গ বলে মনে করা হয়। যতটা সম্মান উঁচু স্তরের ততটাই কম উৎসর্গ করা হয় তাদের।

সাধারণভাবে অনাড়ম্বর ও ছোটখাটো উৎসবে এই দাসদের উৎসর্গ করা হয়। এছাড়া মেয়ে এবং শিশুদের উর্বরতা উৎসবে উৎসর্গ করার রীতি আছে। তবে খুবই কম অনুষ্ঠানে এদের বলি দেওয়া হয়। এছাড়া মাঝে মধ্যে নরবলি দেওয়াও হয়। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন যে এই বলি দেওয়া মানুষের রক্ত বা মাংস খেলে খাদকের মধ্যে খাদ্যের সব ভাল গুণ প্রবেশ করে যায়।

এই বিশ্বাসকে লোকাচারের মধ্যে সীমিত না রেখে সহানুভূতি জাদুবিদ্যা বলা যায়। তবে আজতেক সমাজে এই জাদু লোকরীতি বা আচারকে খারাপ বা অমঙ্গলসূচক বলা হয় না। আবার বলি বা উৎসর্গীকৃত প্রাণী বা মানুষের নিজের শরীর থেকে তাজা রক্ত ঝরানোও এক লোকরীতি। অনেক সময় গরীব, রোগগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত সাধারণ মানুষ নিজের শরীরের জিভ, নাক কেটে রক্ত দেবতাকে স্মরণ করে উৎসর্গ করে।

এই ধরনের প্রথা বা লোকাচার-এর অর্থ হল এর ফলে দেবতারা খুব সন্তুষ্ট ও খুশী হন। রোগ, বিপদ সব কিছু থেকে মুক্ত করেন। এই ধরনের অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক বিশ্বাস ছিল আজতেকদের জীবনযাত্রার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪১)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪১)