১২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ট্রাম্প তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা প্রধানের পদত্যাগ ২৮ হাজার ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিতে, অবৈধ অস্ত্র রোধের সুপারিশ সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • 145

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আলবিরূণী কর্তৃক উদ্ধৃত সকল রচনাংশগুলিরই সঙ্গে সামঞ্জস্থাপূর্ণ অংশ আর্যভটীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে বাক্যগুলি অভিন্ন। বলা যেতে পারে এই অংশগুলি আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভটের গ্রন্থ থেকে নিয়েছেন। অন্যান্য উৎসের উদ্ধৃতি গুলি ঠিক মেলে না। অনেক সময় আলবিরুণী নিজের ব্যাখ্যাও উদ্ধৃতির মধ্যে প্রবিষ্ট করিয়েছিলেন।

দু এক জায়গায় কিছু ভুলও রয়ে গেছে। কুসুমপুরের আর্যভাটের গ্রন্থে যাকে কোটিপদ্ম ও পরপদ্ম বলা হয়েছে আর্যভটীয়তে কোটি ও অর্বুদ বলা হয়েছে। কয়েকটি উদ্ধৃতি ভ্রান্তিমিশ্রিত সে যুগেই ছিল একথা আলবিরূণীও বলে গিয়েছেন।

এ সব ভুল আলবিরূণী ব্যবহৃত আকর গ্রন্থের বা আরবী অনুবাদকের বা লিপিকারের যে কোন একজনের হতে পারে। আলবিরূণী এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিছু কিছু অবশ্য নিজে ঠিক করেছেন। আর্যভটীয় গ্রন্থের সঙ্গে একটি উদ্ধৃতির মিল নেই।

এছাড়া বাকি কুড়িটির যথাযথ মিল আছে। এ থেকে বলা যেতে পারে যদিও আলবিরূণী বিভিন্ন উৎস থেকে আর্যভট সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তবু তার মূল ছিল আর্যভটীয় গ্রন্থের উপর।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬২)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৩)

০৩:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আলবিরূণী কর্তৃক উদ্ধৃত সকল রচনাংশগুলিরই সঙ্গে সামঞ্জস্থাপূর্ণ অংশ আর্যভটীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে বাক্যগুলি অভিন্ন। বলা যেতে পারে এই অংশগুলি আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভটের গ্রন্থ থেকে নিয়েছেন। অন্যান্য উৎসের উদ্ধৃতি গুলি ঠিক মেলে না। অনেক সময় আলবিরুণী নিজের ব্যাখ্যাও উদ্ধৃতির মধ্যে প্রবিষ্ট করিয়েছিলেন।

দু এক জায়গায় কিছু ভুলও রয়ে গেছে। কুসুমপুরের আর্যভাটের গ্রন্থে যাকে কোটিপদ্ম ও পরপদ্ম বলা হয়েছে আর্যভটীয়তে কোটি ও অর্বুদ বলা হয়েছে। কয়েকটি উদ্ধৃতি ভ্রান্তিমিশ্রিত সে যুগেই ছিল একথা আলবিরূণীও বলে গিয়েছেন।

এ সব ভুল আলবিরূণী ব্যবহৃত আকর গ্রন্থের বা আরবী অনুবাদকের বা লিপিকারের যে কোন একজনের হতে পারে। আলবিরূণী এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিছু কিছু অবশ্য নিজে ঠিক করেছেন। আর্যভটীয় গ্রন্থের সঙ্গে একটি উদ্ধৃতির মিল নেই।

এছাড়া বাকি কুড়িটির যথাযথ মিল আছে। এ থেকে বলা যেতে পারে যদিও আলবিরূণী বিভিন্ন উৎস থেকে আর্যভট সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তবু তার মূল ছিল আর্যভটীয় গ্রন্থের উপর।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬২)