প্রদীপ কুমার মজুমদার
আলবিরূণী কর্তৃক উদ্ধৃত সকল রচনাংশগুলিরই সঙ্গে সামঞ্জস্থাপূর্ণ অংশ আর্যভটীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে বাক্যগুলি অভিন্ন। বলা যেতে পারে এই অংশগুলি আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভটের গ্রন্থ থেকে নিয়েছেন। অন্যান্য উৎসের উদ্ধৃতি গুলি ঠিক মেলে না। অনেক সময় আলবিরুণী নিজের ব্যাখ্যাও উদ্ধৃতির মধ্যে প্রবিষ্ট করিয়েছিলেন।
দু এক জায়গায় কিছু ভুলও রয়ে গেছে। কুসুমপুরের আর্যভাটের গ্রন্থে যাকে কোটিপদ্ম ও পরপদ্ম বলা হয়েছে আর্যভটীয়তে কোটি ও অর্বুদ বলা হয়েছে। কয়েকটি উদ্ধৃতি ভ্রান্তিমিশ্রিত সে যুগেই ছিল একথা আলবিরূণীও বলে গিয়েছেন।
এ সব ভুল আলবিরূণী ব্যবহৃত আকর গ্রন্থের বা আরবী অনুবাদকের বা লিপিকারের যে কোন একজনের হতে পারে। আলবিরূণী এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিছু কিছু অবশ্য নিজে ঠিক করেছেন। আর্যভটীয় গ্রন্থের সঙ্গে একটি উদ্ধৃতির মিল নেই।
এছাড়া বাকি কুড়িটির যথাযথ মিল আছে। এ থেকে বলা যেতে পারে যদিও আলবিরূণী বিভিন্ন উৎস থেকে আর্যভট সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তবু তার মূল ছিল আর্যভটীয় গ্রন্থের উপর।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬২)