সারাক্ষণ ডেস্ক
সমকালের একটি শিরোনাম “ইসিতে নিবন্ধন পেতে তৎপর নামসর্বস্ব ৬৫ রাজনৈতিক দল”
নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল। এসব দলের কোনোটির নেই কার্যকরী কমিটি; কোনোটি আছে শুধুই কাগজ-কলমে। আবার কোনো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তো দূরের কথা, সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৬৫টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দলই গঠিত হয়েছে গত বছর ৫ আগস্টের পর। এসব দলের অফিস ও ঠিকানা, সাংগঠনিক কার্যক্রম খুঁজে বের করা এবং নথি-সংবলিত সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির কাছে আবেদন করে নিবন্ধন পায়নি ৮৭টি দল। তারাও তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের জন্য ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি।
অন্যদিকে, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৪৬টি দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল আগামী ২২ জুন পর্যন্ত দুই মাস সময় বাড়ায় ইসি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে পরিকল্পনা করবে ইসি।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতদের পুনর্বাসনে হচ্ছে অধ্যাদেশ”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা প্রদান এবং আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে অধ্যাদেশ হচ্ছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরকে এই আইনের আওতায় আনা হবে। এই অধিদপ্তরের মাধ্যমেই শহীদদের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা, আহত ব্যক্তিদের জন্য সঞ্চয়পত্র ক্রয় ও মাসে মাসে ভাতা দেওয়া, তাঁদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তবে সরকারি চাকরিতে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে অধ্যাদেশের খসড়ায় কিছু বলা হয়নি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একটি নীতিমালার খসড়া করেছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই খসড়া অনুমোদন না দিয়ে আইনি কাঠামোর মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে হতাহত ব্যক্তিদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে তড়িঘড়ি করে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন’ অধ্যাদেশের খসড়া করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আন্তমন্ত্রণালয় কমিটিতে গতকাল রোববার খসড়াটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য শিগগিরই এটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করা হবে। যদিও গত ১২ এপ্রিল এই অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার।
গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদেরও ধরনভেদে কীভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে অধ্যাদেশের খসড়ায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আহতদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টিও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবার ও আহতদের সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়া এবং মাসে মাসে ভাতা দেওয়ার বিষয়গুলোও অধ্যাদেশে রাখা হয়েছে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পাঁচ বছরে কৃষিজমি কমেছে ২ শতাংশ, চালের উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ২%”
দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে বাড়ছে না খাদ্যশস্যের উৎপাদন। কৃষিজমি হ্রাস, উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের অভাব, কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং সে অনুপাতে কৃষক আয় করতে না পারাসহ নানা কারণ কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে। আর তাতে গত কয়েক বছর দেশের কৃষি খাত এক প্রকার অচলায়তনে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বড় ধাক্কা লাগতে পারে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ধানের আবাদ হয়েছিল ১ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ হেক্টরে। আর সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবাদকৃত জমি ১ কোটি ১৪ লাখ হেক্টরে নেমে আসে। অর্থাৎ সর্বশেষ পাঁচ বছরে আবাদকৃত জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। এভাবে প্রতি বছরই কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। এর বিপরীতে পাঁচ বছরে হেক্টরপ্রতি ফলন বেড়েছে কেবল ৪ শতাংশ। আর চাল উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের দুই-তিন ফসলি জমি নানাভাবে অকৃষিকাজে ব্যবহার হচ্ছে। অথচ আইনে কৃষিজমিকে অন্য কাজে ব্যবহারের সুযোগ নেই। কিন্তু সে আইনের কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। আর কৃষকের ন্যায্যমূল্যও বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না। সরকারকে উদ্যোগী হয়ে মূল্যসহায়তা দিতে হবে। কেননা সিন্ডিকেটের সঙ্গে কৃষক পেরে ওঠেন না। এতে পরের বছর একই পণ্য উৎপাদনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন তারা।
দেশের কৃষিজমির বিভিন্ন রূপান্তর ও জনপ্রতি এর পরিমাণ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম। তার গবেষণায় কৃষিশুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে প্রতি বছর গড়ে মোট জমির দশমিক ২১ শতাংশ হারে কৃষিজমি কমেছে। অন্যদিকে ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জমি কমেছে দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে। আর ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ সালে প্রতি বছর দশমিক ৯৭ শতাংশ হারে কমেছে কৃষিজমি। অর্থাৎ উল্লেখিত ৩৫ বছর গড়ে কৃষিজমির পরিমাণ কমেছে প্রায় দশমিক ৩৫ শতাংশ হারে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না”
গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র হবে না। গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে, কথা বলতে দিতে হবে, লিখতে দিতে হবে। সংবাদপত্র যেটা বলতে চাইবে সেটাকে গ্রহণ করা বা পছন্দ না হলে বর্জন করা যায়। কিন্তু সে প্রতিষ্ঠানকে উড়িয়ে দেয়া, তার ওপর মব জাস্টিস প্রয়োগ করা কখনো গণতন্ত্রের মানদণ্ড হতে পারে না। আবার রাষ্ট্রের এমন কোনো আইনও থাকা চলবে না, যাতে সরকার গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরতে পারে। স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখেন, সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের সম্পাদক নূরুল কবীর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি’র আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারে থাকি আর না থাকি, নির্দ্বিধায়, দৃঢ়চিত্তে, স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারি। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে নির্যাতন নিপীড়ন হয়েছে এবং যে সমস্ত আইনকানুন দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল তার বিপক্ষে আমরা লড়াই করেছি। এখনো করছি এবং ভবিষ্যতেও করবো। আমরা কখনো অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেয়া সমর্থন করবো না। আরেকজনের মতের স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেবো। সেটাতে আমাদের বিশ্বাস থাকুক, আর নাই থাকুক। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আমাদের অন্যতম বিষয়। যেটি আমরা আমাদের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচিতেও রেখেছি।
Sarakhon Report 



















