সারাক্ষণ রিপোর্ট
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের ৭ বিলিয়ন ডলারের বর্ধিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) কর্মসূচির প্রথম পর্যালোচনা অনুমোদন করেছে। এতে সঙ্গে সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়। এর ফলে কর্মসূচিটির আওতায় মোট ছাড় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাল।
মূল সিদ্ধান্ত
• আইএমএফ বোর্ড ৭ বিলিয়ন ডলারের ইএফএফ‑এর প্রথম পর্যালোচনা পাস করে।
• একই বৈঠকে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)‑ও নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
• মোট নতুন আর্থিক প্রতিশ্রুতি দাঁড়ায় ২.৩ বিলিয়ন ডলার।
ভারতের আপত্তি
ভারত বৈঠকে ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে লিখিত আপত্তি তুলেছে। দিল্লির দাবি— পাকিস্তানের ‘সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদে’ সমর্থনের কারণে আইএমএফ ঋণ সামরিক বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হতে পারে, যা দাতাদের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই অনুমোদনে ‘আর্থিক স্থিতি’ ও ‘উন্নয়নের পথে অগ্রগতি’ উল্লেখ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তার দপ্তরের ভাষায়, ঋণের প্রথম কিস্তি গত মাসের পাহলগাম হামলার পর ভারত‑পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক নীতির প্রতি আস্থা প্রমাণ করে।
প্রেক্ষাপট
• আইএমএফ ও পাকিস্তানের মধ্যে কর্মসূচির স্টাফ‑স্তরের সমঝোতা ভারতের সাম্প্রতিক আপত্তির আগেই সম্পন্ন হয়েছিল।
• আন্তর্জাতিক সংস্থাটি অনুমোদনের পর সাংবাদিকদের কোনো মন্তব্য দেয়নি।
• পাহলগাম হামলার (২২ এপ্রিল) জেরে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, যার কূটনৈতিক তরঙ্গ IMF বোর্ডেও পৌঁছেছে।
আগামীর চ্যালেঞ্জ
বিশ্লেষকদের মতে, তহবিল ছাড় সত্ত্বেও—
পাকিস্তানের রাজস্ব ঘাটতি, সংকুচিত রিজার্ভ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে কাঠামোগত সংস্কার ত্বরান্বিত করতে হবে।
ভারতের আপত্তি আন্তর্জাতিক দাতাদের মাঝে আস্থার প্রশ্ন তুলতে পারে; সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ছাড়া এই শঙ্কা কাটানো কঠিন।
আঞ্চলিক উত্তেজনা ইস্কেলেট হলে আর্থিক স্থিতিশীলতা ফের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
আইএমএফ‑এর ১ বিলিয়ন ডলারের তাত্ক্ষণিক ছাড় পাকিস্তানকে শ্বাস ফেলার সুযোগ দিলেও ঋণপ্রবাহের স্থায়িত্ব নির্ভর করবে কাঠামোগত সংস্কার, সন্ত্রাসবাদ‑বিরোধী পদক্ষেপ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর। ভারতের বিরোধিতা এড়িয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে ইসলামাবাদকে এসব ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে হবে।