০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৬) চিতা-বাঘের শেষ আলোঝলক ঢাকা শহরের বাস সেবা: আধুনিকায়নের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মন্দির আর প্রসাদ বিতরণ নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গে? মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ও গঙ্গা জলচুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বড় একটি ভুল, প্রতিশোধ বনাম সংস্কার সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অমর কিংবদন্তি বাংলা নাটকের সুপারস্টার অপূর্বের জন্মদিন আজ

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২৯৬)

১৭৭২ খৃঃ অব্দে রাজ্যশাসন-নিয়ামক-বিধি (Regulating Act) বিধিবদ্ধ হইলে, ক্লেভারিং, মন্সন ও ফ্রান্সিস্ বিলাত হইতে সদস্য নিযুক্ত হইয়া আসেন; কেবল বারওয়েল সাহেব ভারতবর্ষ হইতে মনোনীত হন। গঙ্গাগোবিন্দের উৎকোচ গ্রহণের কথা ক্রমে ক্রমে, কাউন্সিলের সভ্যগণের কর্ণগোচর হইল এবং তিনি সরকারের ন্যস্ত অর্থেরও অপহরণ করিয়াছেন বলিয়া দোষী হইলেন। কাউন্সিলের সভ্যেরা ১৭৭৫ খৃঃ অব্দের ১২ ই মের সভায় গঙ্গাগোবিন্দের পদচ্যুতিসম্বন্ধে তর্ক বিতর্ক করেন।
ইজারদার কমল উদ্দীন খাঁ গঙ্গাগোবিন্দের নামে ২২ হাজার টাকা উৎকোচগ্রহণের অভিযোগ করে। ফ্রান্সিস্ কমল উদ্দীনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করিয়াও বলেন যে, আমি ক্রমাগত শুনিয়াঃ আসিতেছি যে, গঙ্গাগোবিন্দের চরিত্র অতীব নিন্দনীয় এবং গঙ্গাগোবিন্দ স্বকৃত কার্য্যের কথা যাহা প্রকাশ করিয়াছে, তাহা হইতে তাহার চরিত্র সম্বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণ হইতেছে।
এরূপ লোককে বিশ্বাস করিয়া কোম্পানীর কার্য্যে রাখা কদাচ যুক্তিযুক্ত নহে। মন্দন গঙ্গাগোবিন্দের ধনলালসা ও অত্যাচারের কথা উল্লেখ করিয়া, তাঁহার পদচ্যুতির ইচ্ছা করেন, ক্লেভারিংও তাহাতে মত দেন। কেবল বারওয়েল ও গবর্ণর জেনারেল হেষ্টিংস গঙ্গাগোবিন্দের পক্ষ হইয়া, তাঁহার পদচ্যুতির বিরুদ্ধে তর্ক বিতর্ক করিতে থাকেন।
তাঁহারা উভয়ে অনেক দিন ভারতবর্ষে থাকায়, গঙ্গাগোবিন্দের সহিত বিশেষরূপ পরিচিত ছিলেন এবং গঙ্গা-গোবিন্দের পদচ্যুতি ঘাটলে, আপনাদের যথেষ্ট ক্ষতি হইবে বিবেচনায়, তাঁহাকে স্বপদে রাখিতে অনেক চেষ্টা করেন। বারওয়েল বলিয়া উঠিলেন যে, গঙ্গাগোবিন্দের অসচ্চরিত্রের কথা আমি এই প্রথম
 শুনিলাম; আমি কখনও তাঁহার দুর্নাম শুনি নাই; আমি তাঁহার পদ-চ্যুতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে।

ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২৯৬)

১১:০০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
১৭৭২ খৃঃ অব্দে রাজ্যশাসন-নিয়ামক-বিধি (Regulating Act) বিধিবদ্ধ হইলে, ক্লেভারিং, মন্সন ও ফ্রান্সিস্ বিলাত হইতে সদস্য নিযুক্ত হইয়া আসেন; কেবল বারওয়েল সাহেব ভারতবর্ষ হইতে মনোনীত হন। গঙ্গাগোবিন্দের উৎকোচ গ্রহণের কথা ক্রমে ক্রমে, কাউন্সিলের সভ্যগণের কর্ণগোচর হইল এবং তিনি সরকারের ন্যস্ত অর্থেরও অপহরণ করিয়াছেন বলিয়া দোষী হইলেন। কাউন্সিলের সভ্যেরা ১৭৭৫ খৃঃ অব্দের ১২ ই মের সভায় গঙ্গাগোবিন্দের পদচ্যুতিসম্বন্ধে তর্ক বিতর্ক করেন।
ইজারদার কমল উদ্দীন খাঁ গঙ্গাগোবিন্দের নামে ২২ হাজার টাকা উৎকোচগ্রহণের অভিযোগ করে। ফ্রান্সিস্ কমল উদ্দীনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করিয়াও বলেন যে, আমি ক্রমাগত শুনিয়াঃ আসিতেছি যে, গঙ্গাগোবিন্দের চরিত্র অতীব নিন্দনীয় এবং গঙ্গাগোবিন্দ স্বকৃত কার্য্যের কথা যাহা প্রকাশ করিয়াছে, তাহা হইতে তাহার চরিত্র সম্বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণ হইতেছে।
এরূপ লোককে বিশ্বাস করিয়া কোম্পানীর কার্য্যে রাখা কদাচ যুক্তিযুক্ত নহে। মন্দন গঙ্গাগোবিন্দের ধনলালসা ও অত্যাচারের কথা উল্লেখ করিয়া, তাঁহার পদচ্যুতির ইচ্ছা করেন, ক্লেভারিংও তাহাতে মত দেন। কেবল বারওয়েল ও গবর্ণর জেনারেল হেষ্টিংস গঙ্গাগোবিন্দের পক্ষ হইয়া, তাঁহার পদচ্যুতির বিরুদ্ধে তর্ক বিতর্ক করিতে থাকেন।
তাঁহারা উভয়ে অনেক দিন ভারতবর্ষে থাকায়, গঙ্গাগোবিন্দের সহিত বিশেষরূপ পরিচিত ছিলেন এবং গঙ্গা-গোবিন্দের পদচ্যুতি ঘাটলে, আপনাদের যথেষ্ট ক্ষতি হইবে বিবেচনায়, তাঁহাকে স্বপদে রাখিতে অনেক চেষ্টা করেন। বারওয়েল বলিয়া উঠিলেন যে, গঙ্গাগোবিন্দের অসচ্চরিত্রের কথা আমি এই প্রথম
 শুনিলাম; আমি কখনও তাঁহার দুর্নাম শুনি নাই; আমি তাঁহার পদ-চ্যুতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে।