১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগ

বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি

বিশ্বজুড়ে সংঘাতদুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অর্থনৈতিক ধাক্কা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৫ সালের গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস অনুযায়ী২০২৪ সালে টানা ষষ্ঠ বছরের মতো তীব্র ক্ষুধার পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ২৯৫ মিলিয়ন মানুষ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ভয়াবহ ক্ষুধা (IPC/CH5) ও দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।

গাজায় চরম খাদ্য সংকট

১২ মে প্রকাশিত বিশেষ IPC প্রতিবেদনে বলা হয়েছেগাজা উপত্যকার পুরো জনগোষ্ঠীই এখন তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ মানুষঅর্থাৎ প্রতি পাঁচজনের একজনদুর্ভিক্ষের মুখে। অক্টোবরে প্রকাশিত পূর্ববর্তী বিশ্লেষণ অপেক্ষা বর্তমান পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির ধারা

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ীনিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ। নিম্ন আয়ের ৮৭.৫% দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫% এর বেশিযা এপ্রিলের তুলনায় ৮.৬ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। একইসঙ্গে নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৫০% দেশে এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের ৪৭% দেশে মূল্যস্ফীতির হার অনেকটাই উদ্বেগজনক। ১৫৭টি দেশের মধ্যে ৬১% দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে গেছে।

বাজার পরিস্থিতি ও পণ্যমূল্য প্রবণতা

এপ্রিলের পর বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গমভুট্টা ও চালের দাম গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২০%১% ও ৩০% কমেছে। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারির তুলনায় ভুট্টার দাম ১৭% বেড়েছেগম ৭% কমেছে এবং চাল ৩% বেড়েছে।

নীতিনির্ধারকদের জন্য নির্দেশনা

বিশ্বব্যাংকবিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) যৌথভাবে ‘Strengthening Strategic Grain Reserves to Enhance Food Security’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে সরকারি খাদ্য মজুদ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা ও নীতিগত দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা: বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার

বিশ্বব্যাংক বর্তমানে ৯০টি দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা কর্মসূচি পরিচালনা করছেযার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৩২৭ মিলিয়ন মানুষের উপকার নিশ্চিত করা। কিছু উদাহরণ:

·       হন্ডুরাস: ‘COMRURAL II & III’ প্রকল্পে প্রায় ৬,২৮৭ জন কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারী১৫% তরুণ এবং ১১% আদিবাসী। খাদ্য শৃঙ্খলে তারা উন্নত প্রযুক্তি ও বাজার সংযোগ পাচ্ছেন।

·       মালাউই: AGCOM প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক কৃষি পণ্য ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার লক্ষ্যে $৯৫ মিলিয়ন বরাদ্দ।

·       মাদাগাস্কার: $২০০ মিলিয়ন IDA অনুদানে পানি সরবরাহ উন্নয়নসেবা বিকেন্দ্রীকরণ এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার।

·       বুরুন্ডি: $৬০ মিলিয়ন অনুদানে উদ্বাস্তু ও স্থানীয়দের খাদ্য নিরাপত্তাঅবকাঠামো ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তা।

·       সাহেল অঞ্চল: $১৭৫ মিলিয়ন ব্যয়ে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ছয় দেশের ১.৩ লাখ কৃষকের সহায়তা।

·       মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র: $৫০ মিলিয়ন প্রকল্পে ৩.২৯ লাখ কৃষককে বীজকৃষিযন্ত্র ও প্রশিক্ষণ।

·       গিনি বিসাউ: $১৫ মিলিয়ন জরুরি প্রকল্পে ৭২ হাজার কৃষককে খরা সহনশীল বীজ ও সারের সহায়তা এবং ৮ হাজার পরিবারকে নগদ সহায়তা।

·       পশ্চিম আফ্রিকা: $৭৬৬ মিলিয়ন প্রকল্পে খাদ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতি ও ডিজিটাল পরামর্শসেবা উন্নয়ন। অতিরিক্ত $৩৪৫ মিলিয়ন প্রস্তুত হচ্ছে সেনেগালসিয়েরা লিওন ও টোগোর জন্য।

·       মিশর: $৫০০ মিলিয়ন সহায়তা দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত ও পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়ন।

·       তিউনিসিয়া: $১৩০ মিলিয়নের ঋণে যুদ্ধ-সংক্রান্ত খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় গম ও বার্লি আমদানি।

·       ইয়েমেন: $১৫০ মিলিয়ন অনুদানে খাদ্য সংকট মোকাবেলা ও জীবিকা রক্ষা।

·       জর্ডান: $১২৫ মিলিয়ন প্রকল্পে কৃষিতে প্রতিযোগিতাজলবায়ু সহনশীলতা ও অন্তর্ভুক্তি।

·       বলিভিয়া: $৩০০ মিলিয়ন প্রকল্পে জলবায়ু উপযোগী কৃষি ও বাজার সংযোগ।

·       চাদঘানা ও সিয়েরা লিওন: $৩১৫ মিলিয়ন ঋণে খাদ্য ব্যবস্থা জোরদার।

·       CGIAR সহযোগিতায় AICCRA প্রকল্পপ্রায় ৩০ লাখ কৃষক জলবায়ু উপযোগী কৃষি প্রযুক্তিতে উপকৃত হয়েছেন।

বৈশ্বিক জোট ও সমন্বিত পদক্ষেপ

২০২২ সালে বিশ্বব্যাংক ও G7 প্রেসিডেন্সির নেতৃত্বে গঠিত ‘Global Alliance for Food Security’ এখন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা একটি উন্মুক্ত ড্যাশবোর্ড তৈরি করেছেযা খাদ্য সংকটে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।

FAO, IMF, বিশ্বব্যাংক, WTO ও WFP প্রধানরা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেনবিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট রোধে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল তুলে ধরা হয়েছে:

১. ক্ষুধাপীড়িত অঞ্চলগুলোকে রক্ষা
২. বাণিজ্য সহজতর ও বাজারের কার্যকারিতা নিশ্চিত
৩. অনুৎপাদনশীল ভর্তুকি সংস্কার ও লক্ষ্যভিত্তিক বরাদ্দ

খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগ

১২:৩০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি

বিশ্বজুড়ে সংঘাতদুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অর্থনৈতিক ধাক্কা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৫ সালের গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস অনুযায়ী২০২৪ সালে টানা ষষ্ঠ বছরের মতো তীব্র ক্ষুধার পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ২৯৫ মিলিয়ন মানুষ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ভয়াবহ ক্ষুধা (IPC/CH5) ও দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।

গাজায় চরম খাদ্য সংকট

১২ মে প্রকাশিত বিশেষ IPC প্রতিবেদনে বলা হয়েছেগাজা উপত্যকার পুরো জনগোষ্ঠীই এখন তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ মানুষঅর্থাৎ প্রতি পাঁচজনের একজনদুর্ভিক্ষের মুখে। অক্টোবরে প্রকাশিত পূর্ববর্তী বিশ্লেষণ অপেক্ষা বর্তমান পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির ধারা

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ীনিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ। নিম্ন আয়ের ৮৭.৫% দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫% এর বেশিযা এপ্রিলের তুলনায় ৮.৬ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। একইসঙ্গে নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৫০% দেশে এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের ৪৭% দেশে মূল্যস্ফীতির হার অনেকটাই উদ্বেগজনক। ১৫৭টি দেশের মধ্যে ৬১% দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে গেছে।

বাজার পরিস্থিতি ও পণ্যমূল্য প্রবণতা

এপ্রিলের পর বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গমভুট্টা ও চালের দাম গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২০%১% ও ৩০% কমেছে। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারির তুলনায় ভুট্টার দাম ১৭% বেড়েছেগম ৭% কমেছে এবং চাল ৩% বেড়েছে।

নীতিনির্ধারকদের জন্য নির্দেশনা

বিশ্বব্যাংকবিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) যৌথভাবে ‘Strengthening Strategic Grain Reserves to Enhance Food Security’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে সরকারি খাদ্য মজুদ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা ও নীতিগত দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা: বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার

বিশ্বব্যাংক বর্তমানে ৯০টি দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা কর্মসূচি পরিচালনা করছেযার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৩২৭ মিলিয়ন মানুষের উপকার নিশ্চিত করা। কিছু উদাহরণ:

·       হন্ডুরাস: ‘COMRURAL II & III’ প্রকল্পে প্রায় ৬,২৮৭ জন কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারী১৫% তরুণ এবং ১১% আদিবাসী। খাদ্য শৃঙ্খলে তারা উন্নত প্রযুক্তি ও বাজার সংযোগ পাচ্ছেন।

·       মালাউই: AGCOM প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক কৃষি পণ্য ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার লক্ষ্যে $৯৫ মিলিয়ন বরাদ্দ।

·       মাদাগাস্কার: $২০০ মিলিয়ন IDA অনুদানে পানি সরবরাহ উন্নয়নসেবা বিকেন্দ্রীকরণ এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার।

·       বুরুন্ডি: $৬০ মিলিয়ন অনুদানে উদ্বাস্তু ও স্থানীয়দের খাদ্য নিরাপত্তাঅবকাঠামো ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তা।

·       সাহেল অঞ্চল: $১৭৫ মিলিয়ন ব্যয়ে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ছয় দেশের ১.৩ লাখ কৃষকের সহায়তা।

·       মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র: $৫০ মিলিয়ন প্রকল্পে ৩.২৯ লাখ কৃষককে বীজকৃষিযন্ত্র ও প্রশিক্ষণ।

·       গিনি বিসাউ: $১৫ মিলিয়ন জরুরি প্রকল্পে ৭২ হাজার কৃষককে খরা সহনশীল বীজ ও সারের সহায়তা এবং ৮ হাজার পরিবারকে নগদ সহায়তা।

·       পশ্চিম আফ্রিকা: $৭৬৬ মিলিয়ন প্রকল্পে খাদ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতি ও ডিজিটাল পরামর্শসেবা উন্নয়ন। অতিরিক্ত $৩৪৫ মিলিয়ন প্রস্তুত হচ্ছে সেনেগালসিয়েরা লিওন ও টোগোর জন্য।

·       মিশর: $৫০০ মিলিয়ন সহায়তা দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত ও পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়ন।

·       তিউনিসিয়া: $১৩০ মিলিয়নের ঋণে যুদ্ধ-সংক্রান্ত খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় গম ও বার্লি আমদানি।

·       ইয়েমেন: $১৫০ মিলিয়ন অনুদানে খাদ্য সংকট মোকাবেলা ও জীবিকা রক্ষা।

·       জর্ডান: $১২৫ মিলিয়ন প্রকল্পে কৃষিতে প্রতিযোগিতাজলবায়ু সহনশীলতা ও অন্তর্ভুক্তি।

·       বলিভিয়া: $৩০০ মিলিয়ন প্রকল্পে জলবায়ু উপযোগী কৃষি ও বাজার সংযোগ।

·       চাদঘানা ও সিয়েরা লিওন: $৩১৫ মিলিয়ন ঋণে খাদ্য ব্যবস্থা জোরদার।

·       CGIAR সহযোগিতায় AICCRA প্রকল্পপ্রায় ৩০ লাখ কৃষক জলবায়ু উপযোগী কৃষি প্রযুক্তিতে উপকৃত হয়েছেন।

বৈশ্বিক জোট ও সমন্বিত পদক্ষেপ

২০২২ সালে বিশ্বব্যাংক ও G7 প্রেসিডেন্সির নেতৃত্বে গঠিত ‘Global Alliance for Food Security’ এখন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা একটি উন্মুক্ত ড্যাশবোর্ড তৈরি করেছেযা খাদ্য সংকটে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।

FAO, IMF, বিশ্বব্যাংক, WTO ও WFP প্রধানরা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেনবিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট রোধে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল তুলে ধরা হয়েছে:

১. ক্ষুধাপীড়িত অঞ্চলগুলোকে রক্ষা
২. বাণিজ্য সহজতর ও বাজারের কার্যকারিতা নিশ্চিত
৩. অনুৎপাদনশীল ভর্তুকি সংস্কার ও লক্ষ্যভিত্তিক বরাদ্দ