০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া: মিয়ানমার ও কলকাতা থেকে বাংলাদেশ কূটনীতিক প্রত্যাহার

কূটনৈতিক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ মিয়ানমারে নিযুক্ত তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ভারতের কলকাতায় অবস্থিত মিশন থেকেও এক সিনিয়র কূটনীতিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সামরিক অ্যাটাশেকে বহিষ্কার

মিয়ানমারের সেনা সরকার ১৩ মে বাংলাদেশি সামরিক অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আফতাব হোসেনকে কূটনৈতিক রীতিনীতি পরিপন্থী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করলে দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা চরমে ওঠে। এর জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেয়। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মোহাম্মদ ইউনূস দাবি করেন, আফতাব হোসেনকে ‘অপ্রিয় ব্যক্তি’ (persona non grata) ঘোষণা করা হয়নি।

ঈদ কোরবানির নির্দেশনার জেরে কলকাতা থেকে কূটনীতিক প্রত্যাহার

এক পৃথক ঘটনায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শাওব-বিন আহমেদ নামের একজন সিনিয়র কূটনীতিককে কলকাতায় উপ-হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ স্থগিত করে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কলকাতায় কনস্যুলেট ভবনে পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করে তিনি একটি নির্দেশনা জারি করেন, যা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের ‘স্থানীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান’ দেখানোর কারণ দেখিয়ে প্রকাশিত হয়। নির্দেশনাটি বিতর্কের জন্ম দেয় এবং তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।

আঞ্চলিক বাস্তবতা ও কূটনৈতিক প্রভাব

এই কূটনৈতিক টানাপড়েনের পেছনে রয়েছে জটিল আঞ্চলিক বাস্তবতা। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্তমানে আরাকান আর্মিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে টানাপড়েন তীব্র হয়েছে। এর পাশাপাশি, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর চালুর বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতিগত দ্বন্দ্বও পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।

কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া: মিয়ানমার ও কলকাতা থেকে বাংলাদেশ কূটনীতিক প্রত্যাহার

০৪:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

কূটনৈতিক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ মিয়ানমারে নিযুক্ত তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ভারতের কলকাতায় অবস্থিত মিশন থেকেও এক সিনিয়র কূটনীতিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সামরিক অ্যাটাশেকে বহিষ্কার

মিয়ানমারের সেনা সরকার ১৩ মে বাংলাদেশি সামরিক অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আফতাব হোসেনকে কূটনৈতিক রীতিনীতি পরিপন্থী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করলে দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা চরমে ওঠে। এর জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেয়। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মোহাম্মদ ইউনূস দাবি করেন, আফতাব হোসেনকে ‘অপ্রিয় ব্যক্তি’ (persona non grata) ঘোষণা করা হয়নি।

ঈদ কোরবানির নির্দেশনার জেরে কলকাতা থেকে কূটনীতিক প্রত্যাহার

এক পৃথক ঘটনায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শাওব-বিন আহমেদ নামের একজন সিনিয়র কূটনীতিককে কলকাতায় উপ-হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ স্থগিত করে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কলকাতায় কনস্যুলেট ভবনে পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করে তিনি একটি নির্দেশনা জারি করেন, যা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের ‘স্থানীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান’ দেখানোর কারণ দেখিয়ে প্রকাশিত হয়। নির্দেশনাটি বিতর্কের জন্ম দেয় এবং তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।

আঞ্চলিক বাস্তবতা ও কূটনৈতিক প্রভাব

এই কূটনৈতিক টানাপড়েনের পেছনে রয়েছে জটিল আঞ্চলিক বাস্তবতা। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্তমানে আরাকান আর্মিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে টানাপড়েন তীব্র হয়েছে। এর পাশাপাশি, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর চালুর বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতিগত দ্বন্দ্বও পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।