১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছ ধরা এবং পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যাতে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধি পায়।
প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য সিজনাল নিষেধাজ্ঞা
সুন্দরবন বন বিভাগ প্রতিবছর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে, যা মৎস্য ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বাড়াতে এবং পরিবেশ দূষণ কমাতে সহায়ক। এই বছরের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
কঠোর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা
২৪ মে থেকে সুন্দরবনে মৎস্যজীবী, মধু সংগ্রহকারী এবং পর্যটকদের জন্য প্রবেশ পারমিট ইস্যু বন্ধ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী।
স্থানীয় জীবিকা সহায়তার উদ্যোগ
মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবীদের জন্য খাদ্য সহায়তা ও প্রণোদনার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তানজীর হাসান জানান, মাছ চাষী, মধু সংগ্রহকারী, মৌল ও বাওয়ালিদের জন্যও সহায়তা প্রদান করা হবে।
সুন্দরবনের সংরক্ষণে চলমান উদ্যোগ
এই সিজনাল নিষেধাজ্ঞা সুন্দরবনের সংবেদনশীল পরিবেশ রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা সফল প্রজনন চক্র নিশ্চিত করতে এবং মানবজমিনের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।