০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

তামাক কোম্পানির প্রভাব ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের ওপরও পড়ছে

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • 73

সমকালের একটি শিরোনাম “তামাক কোম্পানির প্রভাব ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের ওপরও পড়ছে”

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী  (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, সকল নেশার প্রবেশদ্বার হচ্ছে ধূমপান। তামাক কোম্পানিগুলো গবেষণা করে তাদের বাজার তৈরি করে, অথচ আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষায় তেমন উদ্যোগ নিচ্ছি না। ধূমপানবিরোধী লড়াইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় তামাকবিরোধী বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, পাঠ্যপুস্তকে একটি প্যারাগ্রাফও নেই- এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আট-দশ বছর বয়স থেকেই শিশুদের শেখাতে হবে, ধূমপান শরীরে কী ধরনের ক্ষতি করে। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানির প্রভাব ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের ওপরও পড়ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্ত অবস্থান নিতে হবে। শনিবার সকালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রোগ প্রতিরোধে নজর দিতে হলে তামাকমুক্ত দেশ গড়তেই হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে যে রাজস্ব দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ আমাদের ব্যয় করতে হয় স্বাস্থ্য খাতে। তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার যদি আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে ক্যান্সারসহ তামাকজনিত যে সব রোগ হয়, সেগুলোর পেছনে আমাদের এত ব্যয় করতে হবে না। রোগ প্রতিরোধে নজর দিতে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ আমাদের গড়তেই হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন’ এ আমরা স্বাক্ষর করেছি, অথচ একইসঙ্গে তামাক কোম্পানিগুলোর বোর্ডেও সরকার আছে যাতে তাদের ব্যবসা ভালোভাবে চলে। এই বৈপরীত্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের এসব কথা স্পষ্টভাবে বলা উচিত। এখন যদি আমরা এসব বলতে না পারি, তাহলে আর কখনও পারব না।

তামাক কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের শোষণ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, তারা আমাদের শ্রমিকদের শোষণ করে, দেশের মাটি, আলো-বাতাসে বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা আমরা কখনও মেনে নিতে পারি না।

তামাকের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে কার্যকর করতে হলে সংশোধন করতে হবে। এ নিয়ে কাজ চলছে। তামাক কোম্পানিগুলো কোমলপ্রাণ কিশোর-তরুণদের নানা উপায়ে তাদের পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করছে, নানা রকম বাধা সৃষ্টি করছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এসব বাধা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে দেশকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের পক্ষে একটিও যুক্তি থাকলে সরকার প্রকাশ করুক: সালাহউদ্দিন”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ডিসেম্বরের পর নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে একটি যুক্তি থাকলেও তা যেন সরকার প্রকাশ করে। আজ শনিবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীতে কৃষক দলের এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

সংস্কারের নামে কলা ঝোলানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে, এটা জনগণের দাবি। ডিসেম্বরের পর নির্বাচন দেওয়ার কোনো কারণ নাই। ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের জন্য একটি যুক্তি থাকলেও তা যেন সরকার প্রকাশ করে।’

আগামী ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আলোচনার জন্য আনুষ্ঠানিকতার কমতি নেই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই নেই তাদের।’

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যারা নির্বাচন চায় না, তারা বিএনপি নেতাদের দেশদ্রোহী ও অন্য দেশের এজেন্ট বলছে। ১৭ বছরের ত্যাগের প্রতিদান দিচ্ছে একটি মহল।’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, নির্বাসনে, নির্যাতনে, কারাবাসে, আয়নাঘরে যারা ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছে, তাদের দেশদ্রোহী বানানো হচ্ছে। বিএনপির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই অপপ্রচার, গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে কলঙ্কিত করে।

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ফাটল ধরাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা উঠেপড়ে লেগেছে। একটি গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে অথবা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাচ্ছে। নির্বাচনের কথা বললেও নারাজ হন প্রধান উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, সবশেষ গত শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি ও জামায়াত। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পতিত সরকারের প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ”

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে সে দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি বা রাজনীতিকরাই গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে এসেছেন। নগর থেকে গ্রাম—সব ক্ষেত্রেই এ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়িত হয় ছোট-বড় নানা প্রকল্প। আর এসব প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ। মূলত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে নেয়ারও অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। একই পথে হাঁটছে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়া অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রণালয়টিতে পতিত আওয়ামী লীগ আমলে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪—টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনার সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় অর্থাৎ ২০০৯ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন দলটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর দপ্তরটির দায়িত্ব পান দলটির তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও শেখ হাসিনার সাবেক বেয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মন্ত্রণালয়টির সবশেষ মন্ত্রী ছিলেন তাজুল ইসলাম, যিনি বিগত সরকারপ্রধানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান মন্ত্রী হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলান। কেবল আওয়ামী লীগ আমলেই নয়, সব রাজনৈতিক শাসনামলেই সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠজনরা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়টির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপি আমলেও মন্ত্রণালয়টি পরিচালনা করেছেন দলের প্রভাবশালী নেতারা। ২০০১ সালে দলটি ক্ষমতায় আসার পর সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হয় তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়াকে। এর আগে ১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়টির দায়িত্ব সামলেছেন বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার।

এদিকে গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ। তার মৃত্যুর পর দায়িত্ব দেয়া হয় শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে, যিনি আগের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের প্রকল্পগুলোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিগত সরকারের বাজেট ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নিয়ে চলছে। অথচ এগুলো নীতিগতভাবে সংশোধন, পরিমার্জন ও পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন ছিল। সেই সঙ্গে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া প্রকল্পগুলোকে বদলানোর কথাও বলছেন তারা। পাশাপাশি এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা কমানোর ওপরও জোর দেন বিশ্লেষকরা, যাতে উচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা কাজগুলো করা যায়।

তামাক কোম্পানির প্রভাব ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের ওপরও পড়ছে

০৪:৩৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “তামাক কোম্পানির প্রভাব ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের ওপরও পড়ছে”

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী  (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, সকল নেশার প্রবেশদ্বার হচ্ছে ধূমপান। তামাক কোম্পানিগুলো গবেষণা করে তাদের বাজার তৈরি করে, অথচ আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষায় তেমন উদ্যোগ নিচ্ছি না। ধূমপানবিরোধী লড়াইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় তামাকবিরোধী বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, পাঠ্যপুস্তকে একটি প্যারাগ্রাফও নেই- এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আট-দশ বছর বয়স থেকেই শিশুদের শেখাতে হবে, ধূমপান শরীরে কী ধরনের ক্ষতি করে। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানির প্রভাব ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের ওপরও পড়ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্ত অবস্থান নিতে হবে। শনিবার সকালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রোগ প্রতিরোধে নজর দিতে হলে তামাকমুক্ত দেশ গড়তেই হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে যে রাজস্ব দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ আমাদের ব্যয় করতে হয় স্বাস্থ্য খাতে। তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার যদি আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে ক্যান্সারসহ তামাকজনিত যে সব রোগ হয়, সেগুলোর পেছনে আমাদের এত ব্যয় করতে হবে না। রোগ প্রতিরোধে নজর দিতে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ আমাদের গড়তেই হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন’ এ আমরা স্বাক্ষর করেছি, অথচ একইসঙ্গে তামাক কোম্পানিগুলোর বোর্ডেও সরকার আছে যাতে তাদের ব্যবসা ভালোভাবে চলে। এই বৈপরীত্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের এসব কথা স্পষ্টভাবে বলা উচিত। এখন যদি আমরা এসব বলতে না পারি, তাহলে আর কখনও পারব না।

তামাক কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের শোষণ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, তারা আমাদের শ্রমিকদের শোষণ করে, দেশের মাটি, আলো-বাতাসে বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা আমরা কখনও মেনে নিতে পারি না।

তামাকের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে কার্যকর করতে হলে সংশোধন করতে হবে। এ নিয়ে কাজ চলছে। তামাক কোম্পানিগুলো কোমলপ্রাণ কিশোর-তরুণদের নানা উপায়ে তাদের পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করছে, নানা রকম বাধা সৃষ্টি করছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এসব বাধা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে দেশকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের পক্ষে একটিও যুক্তি থাকলে সরকার প্রকাশ করুক: সালাহউদ্দিন”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ডিসেম্বরের পর নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে একটি যুক্তি থাকলেও তা যেন সরকার প্রকাশ করে। আজ শনিবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীতে কৃষক দলের এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

সংস্কারের নামে কলা ঝোলানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে, এটা জনগণের দাবি। ডিসেম্বরের পর নির্বাচন দেওয়ার কোনো কারণ নাই। ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের জন্য একটি যুক্তি থাকলেও তা যেন সরকার প্রকাশ করে।’

আগামী ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আলোচনার জন্য আনুষ্ঠানিকতার কমতি নেই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই নেই তাদের।’

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যারা নির্বাচন চায় না, তারা বিএনপি নেতাদের দেশদ্রোহী ও অন্য দেশের এজেন্ট বলছে। ১৭ বছরের ত্যাগের প্রতিদান দিচ্ছে একটি মহল।’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, নির্বাসনে, নির্যাতনে, কারাবাসে, আয়নাঘরে যারা ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছে, তাদের দেশদ্রোহী বানানো হচ্ছে। বিএনপির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই অপপ্রচার, গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে কলঙ্কিত করে।

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ফাটল ধরাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা উঠেপড়ে লেগেছে। একটি গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে অথবা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাচ্ছে। নির্বাচনের কথা বললেও নারাজ হন প্রধান উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, সবশেষ গত শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি ও জামায়াত। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পতিত সরকারের প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ”

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে সে দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি বা রাজনীতিকরাই গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে এসেছেন। নগর থেকে গ্রাম—সব ক্ষেত্রেই এ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়িত হয় ছোট-বড় নানা প্রকল্প। আর এসব প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ। মূলত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে নেয়ারও অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। একই পথে হাঁটছে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়া অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রণালয়টিতে পতিত আওয়ামী লীগ আমলে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪—টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনার সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় অর্থাৎ ২০০৯ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন দলটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর দপ্তরটির দায়িত্ব পান দলটির তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও শেখ হাসিনার সাবেক বেয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মন্ত্রণালয়টির সবশেষ মন্ত্রী ছিলেন তাজুল ইসলাম, যিনি বিগত সরকারপ্রধানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান মন্ত্রী হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলান। কেবল আওয়ামী লীগ আমলেই নয়, সব রাজনৈতিক শাসনামলেই সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠজনরা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়টির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপি আমলেও মন্ত্রণালয়টি পরিচালনা করেছেন দলের প্রভাবশালী নেতারা। ২০০১ সালে দলটি ক্ষমতায় আসার পর সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হয় তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়াকে। এর আগে ১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়টির দায়িত্ব সামলেছেন বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার।

এদিকে গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ। তার মৃত্যুর পর দায়িত্ব দেয়া হয় শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে, যিনি আগের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের প্রকল্পগুলোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিগত সরকারের বাজেট ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নিয়ে চলছে। অথচ এগুলো নীতিগতভাবে সংশোধন, পরিমার্জন ও পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন ছিল। সেই সঙ্গে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া প্রকল্পগুলোকে বদলানোর কথাও বলছেন তারা। পাশাপাশি এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা কমানোর ওপরও জোর দেন বিশ্লেষকরা, যাতে উচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা কাজগুলো করা যায়।