১২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

শিল্প এলাকার ৬৭% কারখানায় ঈদ বোনাস পরিশোধ হয়নি

সমকালের একটি শিরোনাম “বরিশালে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর, আহত ১০”

রংপুরে চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে শনিবার নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া গতকাল বিকেলে বরিশালে জাপার প্রতিবাদ মিছিলে হামলা হয়েছে। এ সময় জাপার পাল্টা হামলায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা এবং মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

এদিকে হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী রাতে শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে। মিছিলটি ফকিরবাড়ি সড়কে ঢুকে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।

আহত পাঁচজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন– জেলা সভাপতি শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ফরহাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজি ও কেন্দ্রীয় মানবধিকারবিষয়ক সম্পাদক মিরাজ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাপার শতাধিক নেতাকর্মীর মিছিলটি ফকিরবাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। কিছুদূর অগ্রসর হলে ফকিরবাড়ি ও সদর রোড সংযোগমুখে কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে মিছিলের ওপর হামলা করে। জাপা কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়লে হামলাকারীরা দৌড়ে পালায়। কয়েকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে পড়ে। জাপা কর্মীরা ওইসব দোকানে ঢুকে হামলাকারীদের বেদম পেটায়। পরে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও মহানগর আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, হামলাকারীরা জাতীয় নাগরিক পার্টির লোকজন। তারা শান্তিপূর্ণ মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। বরিশালে এনসিপিকে থাকতে দেওয়া হবে না।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক তৌফিস আহমেদ সাব্বির বলেন, তারা সড়কের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়া জাপার মিছিল থেকে তাদের ওপর হামলা হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “থাকছে না নতুন মেগা প্রকল্প”

অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বৈশ্বিক চাপ মোকাবিলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তৈরি হয়েছে ব্যতিক্রমী সংযমে। এবার মাত্র ২৮টি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার একটিও মেগা প্রকল্প নয়; বরং চলমান বড় প্রকল্পগুলোয় খরচ কমিয়ে দিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আসছে অর্থবছরের এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ১৭১টি। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মাত্র ২৮টি, যা মোট প্রকল্পের মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তার মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে বাদ পড়া প্রকল্প রয়েছে পাঁচটি। বাকি ২৩ প্রকল্প সম্পূর্ণ নতুন। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিগত শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে নেওয়া ১ হাজার ১৪৩টি প্রকল্পকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। বাজেট ছোট হলেও বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য হবে। বাজেটে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে খুবই কম। পুরোনো প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি ও অনিয়ম দেখা হচ্ছে, অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো হচ্ছে।

জানতে চাইলে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলমান যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলো শেষ হতে আরও তিন-চার বছর লাগবে। এসব প্রকল্পে রয়েছে ৩৩ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণের বোঝা। এ অবস্থায় নতুন প্রকল্প না নিয়ে ঋণ পরিশোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা সরকারের ভালো দিক।

চলমান মেগা প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে—পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা ম্যাস ট্র্যানজিট কোম্পানি প্রকল্প এবং দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের নিকটবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় সংশোধন করা হয়েছে। ফলে চার মেগা প্রকল্পে সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা অপচয় রোধ হয়েছে। আর শীর্ষ ১০ প্রকল্পে খরচ কমেছে ৬ হাজার কোটি টাকা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিল্প এলাকার ৬৭% কারখানায় ঈদ বোনাস পরিশোধ হয়নি”

এর ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহার আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ পরিস্থিতিও নজরদারিতে রেখেছে সংস্থাটি। তাদের হিসাবে, দেশের আট শিল্প এলাকায় গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৬৭ শতাংশ কারখানায় বোনাস পরিশোধ হয়নি।

দেশে শিল্প অধ্যুষিত আট এলাকা—আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটে মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৩। ঈদ সামনে রেখে পোশাক শ্রমিকদের বোনাস গতকালের মধ্যে পরিশোধের কথা। তবে এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি ৬ হাজার ৪৭১টি বা ৬৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ কারখানা। বোনাস পরিশোধ করেছে ৩ হাজার ২১২টি কারখানা (৩৩ দশমিক ১৭ শতাংশ)।

অন্যদিকে মে মাসের বেতন পরিশোধের কথা ৩ জুনের মধ্যে। শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করেছে মাত্র ৭৮৬টি কারখানা। এ হিসেবে বেতন পরিশোধ করেছে মাত্র ৮ দশমিক ১২ শতাংশ কারখানা। বেতন পরিশোধ করেনি ৮ হাজার ৮৯৭ বা ৯৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ কারখানা।

জানতে চাইলে শিল্প পুলিশের অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল গাজী জসীম উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বড় দুটি সমস্যা ছিল, সেগুলো আমরা নিষ্পত্তি করতে পেরেছি। একটি টিএনজেড গ্রুপ। এটির মালিক দেশের বাইরে চলে গেছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মাহমুদ ফ্যাশনের সমস্যা ছিল, সেটাও সমাধান করা গেছে। এখন যেসব ঝামেলা আছে সেগুলো নিয়ে বড় কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করা যাচ্ছে। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বুঝিয়ে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’

শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল কালিয়াকৈর থানাধীন সূত্রাপুর এলাকায় জিএমএস টেক্সটাইল লিমিটেড ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের সঙ্গে শিল্প পুলিশ আলোচনা করে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিক্ষেপ করতে থাকলে শিল্প পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। সকাল সাড়ে ৮টায় মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩”

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাকাণ্ড কীভাবে বেড়েছে তা উঠে এসেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যমতে, গণঅভ্যুত্থানের মাস গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১৬১ জন। গত বছরের শেষ ৫ মাসে ৯৬ জনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৬৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

আসকের তথ্যমতে, গণঅভ্যুত্থানের মাস আগস্টেই গণপিটুনিতে নিহত হন ২১ জন। পর্যায়ক্রমে সেপ্টেম্বরে ২৮, অক্টোবরে ১৯, নভেম্বরে ১৪, ডিসেম্বরে ১৪, জানুয়ারিতে ১৬, ফেব্রুয়ারিতে ১১, মার্চে ২০ ও এপ্রিলে ১৮ জন নিহত হন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গণপিটুনিতে নিহত হন ১২৮ জন। এরমধ্যে গণঅভ্যুত্থানের আগের ৭ মাসে নিহত হন ৩২ জন। আর পরের পাঁচ মাসে গণপিটুনিতে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়। অথচ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো বছরে গণপিটুনিতে মারা যান মাত্র ৫১ জন। এর আগের বছর ২০২২ সালে মাত্র ৩৬ জন, ২০২১ সালে ২৮ জন ও ২০২০ সালে ৩৫ জন। তথ্যানুযায়ী গত ৯ মাসে শুধুমাত্র গণপিটুনিতে নিহত হওয়াদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা বিভাগে গণপিটুনিতে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ১৩, রাজশাহীতে ১৬, চট্টগ্রামে ২৪, বরিশালে ১৬, ময়মনসিংহে ৫, সিলেটে ৫ জন।

অপরাধবিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশে যখন সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম পর্যায়ে চলে যায় তখনই গণপিটুনির মতো ঘটনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের যখন আইনের আওতায় আনা হয় না তখন এসব ঘটনা আরও বাড়তে থাকে।

 

শিল্প এলাকার ৬৭% কারখানায় ঈদ বোনাস পরিশোধ হয়নি

০৮:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “বরিশালে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর, আহত ১০”

রংপুরে চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে শনিবার নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া গতকাল বিকেলে বরিশালে জাপার প্রতিবাদ মিছিলে হামলা হয়েছে। এ সময় জাপার পাল্টা হামলায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা এবং মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

এদিকে হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী রাতে শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে। মিছিলটি ফকিরবাড়ি সড়কে ঢুকে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।

আহত পাঁচজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন– জেলা সভাপতি শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ফরহাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজি ও কেন্দ্রীয় মানবধিকারবিষয়ক সম্পাদক মিরাজ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাপার শতাধিক নেতাকর্মীর মিছিলটি ফকিরবাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। কিছুদূর অগ্রসর হলে ফকিরবাড়ি ও সদর রোড সংযোগমুখে কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে মিছিলের ওপর হামলা করে। জাপা কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়লে হামলাকারীরা দৌড়ে পালায়। কয়েকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে পড়ে। জাপা কর্মীরা ওইসব দোকানে ঢুকে হামলাকারীদের বেদম পেটায়। পরে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও মহানগর আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, হামলাকারীরা জাতীয় নাগরিক পার্টির লোকজন। তারা শান্তিপূর্ণ মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। বরিশালে এনসিপিকে থাকতে দেওয়া হবে না।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক তৌফিস আহমেদ সাব্বির বলেন, তারা সড়কের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়া জাপার মিছিল থেকে তাদের ওপর হামলা হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “থাকছে না নতুন মেগা প্রকল্প”

অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বৈশ্বিক চাপ মোকাবিলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তৈরি হয়েছে ব্যতিক্রমী সংযমে। এবার মাত্র ২৮টি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার একটিও মেগা প্রকল্প নয়; বরং চলমান বড় প্রকল্পগুলোয় খরচ কমিয়ে দিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আসছে অর্থবছরের এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ১৭১টি। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মাত্র ২৮টি, যা মোট প্রকল্পের মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তার মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে বাদ পড়া প্রকল্প রয়েছে পাঁচটি। বাকি ২৩ প্রকল্প সম্পূর্ণ নতুন। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিগত শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে নেওয়া ১ হাজার ১৪৩টি প্রকল্পকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। বাজেট ছোট হলেও বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য হবে। বাজেটে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে খুবই কম। পুরোনো প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি ও অনিয়ম দেখা হচ্ছে, অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো হচ্ছে।

জানতে চাইলে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলমান যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলো শেষ হতে আরও তিন-চার বছর লাগবে। এসব প্রকল্পে রয়েছে ৩৩ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণের বোঝা। এ অবস্থায় নতুন প্রকল্প না নিয়ে ঋণ পরিশোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা সরকারের ভালো দিক।

চলমান মেগা প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে—পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা ম্যাস ট্র্যানজিট কোম্পানি প্রকল্প এবং দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের নিকটবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় সংশোধন করা হয়েছে। ফলে চার মেগা প্রকল্পে সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা অপচয় রোধ হয়েছে। আর শীর্ষ ১০ প্রকল্পে খরচ কমেছে ৬ হাজার কোটি টাকা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিল্প এলাকার ৬৭% কারখানায় ঈদ বোনাস পরিশোধ হয়নি”

এর ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহার আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ পরিস্থিতিও নজরদারিতে রেখেছে সংস্থাটি। তাদের হিসাবে, দেশের আট শিল্প এলাকায় গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৬৭ শতাংশ কারখানায় বোনাস পরিশোধ হয়নি।

দেশে শিল্প অধ্যুষিত আট এলাকা—আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটে মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৩। ঈদ সামনে রেখে পোশাক শ্রমিকদের বোনাস গতকালের মধ্যে পরিশোধের কথা। তবে এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি ৬ হাজার ৪৭১টি বা ৬৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ কারখানা। বোনাস পরিশোধ করেছে ৩ হাজার ২১২টি কারখানা (৩৩ দশমিক ১৭ শতাংশ)।

অন্যদিকে মে মাসের বেতন পরিশোধের কথা ৩ জুনের মধ্যে। শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করেছে মাত্র ৭৮৬টি কারখানা। এ হিসেবে বেতন পরিশোধ করেছে মাত্র ৮ দশমিক ১২ শতাংশ কারখানা। বেতন পরিশোধ করেনি ৮ হাজার ৮৯৭ বা ৯৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ কারখানা।

জানতে চাইলে শিল্প পুলিশের অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল গাজী জসীম উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বড় দুটি সমস্যা ছিল, সেগুলো আমরা নিষ্পত্তি করতে পেরেছি। একটি টিএনজেড গ্রুপ। এটির মালিক দেশের বাইরে চলে গেছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মাহমুদ ফ্যাশনের সমস্যা ছিল, সেটাও সমাধান করা গেছে। এখন যেসব ঝামেলা আছে সেগুলো নিয়ে বড় কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করা যাচ্ছে। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বুঝিয়ে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’

শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল কালিয়াকৈর থানাধীন সূত্রাপুর এলাকায় জিএমএস টেক্সটাইল লিমিটেড ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের সঙ্গে শিল্প পুলিশ আলোচনা করে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিক্ষেপ করতে থাকলে শিল্প পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। সকাল সাড়ে ৮টায় মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩”

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাকাণ্ড কীভাবে বেড়েছে তা উঠে এসেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যমতে, গণঅভ্যুত্থানের মাস গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১৬১ জন। গত বছরের শেষ ৫ মাসে ৯৬ জনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৬৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

আসকের তথ্যমতে, গণঅভ্যুত্থানের মাস আগস্টেই গণপিটুনিতে নিহত হন ২১ জন। পর্যায়ক্রমে সেপ্টেম্বরে ২৮, অক্টোবরে ১৯, নভেম্বরে ১৪, ডিসেম্বরে ১৪, জানুয়ারিতে ১৬, ফেব্রুয়ারিতে ১১, মার্চে ২০ ও এপ্রিলে ১৮ জন নিহত হন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গণপিটুনিতে নিহত হন ১২৮ জন। এরমধ্যে গণঅভ্যুত্থানের আগের ৭ মাসে নিহত হন ৩২ জন। আর পরের পাঁচ মাসে গণপিটুনিতে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়। অথচ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো বছরে গণপিটুনিতে মারা যান মাত্র ৫১ জন। এর আগের বছর ২০২২ সালে মাত্র ৩৬ জন, ২০২১ সালে ২৮ জন ও ২০২০ সালে ৩৫ জন। তথ্যানুযায়ী গত ৯ মাসে শুধুমাত্র গণপিটুনিতে নিহত হওয়াদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা বিভাগে গণপিটুনিতে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ১৩, রাজশাহীতে ১৬, চট্টগ্রামে ২৪, বরিশালে ১৬, ময়মনসিংহে ৫, সিলেটে ৫ জন।

অপরাধবিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশে যখন সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম পর্যায়ে চলে যায় তখনই গণপিটুনির মতো ঘটনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের যখন আইনের আওতায় আনা হয় না তখন এসব ঘটনা আরও বাড়তে থাকে।