০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের আগে শতাধিক আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড়

সমকালের একটি শিরোনাম “রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্রে প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইন চালু”

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইন চালু হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন শুরু হলে গ্রিডে যুক্ত হবে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ। সোমবার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি।

পাওয়ায় গ্রিড বাংলাদেশ জানায়, রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন সফলভাবে চালু করার মধ্য দিয়ে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন সক্ষমতার মাইলফলক স্পর্শ করল। এর মাধ্যমে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে সঞ্চালনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলো।

রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার ও টাওয়ার সংখ্যা ৪১৪টি।

এর আগে প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপের জন্য আরও দুটি হাইভোল্টেজ লাইন প্রস্তুত করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩০ জুন ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ এবং ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ চালু করা হয়। রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন চালুর মধ্য দিয়ে মোট তিনটি লাইন প্রস্তুত হলো, যার প্রতিটির সঞ্চালন সক্ষমতা ২ হাজার মেগাওয়াট।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “নোবেলসহ ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ করমুক্ত”

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নোবেল পুরস্কারসহ মোট ১০ ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থকে আয়করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি কোনো করদাতা এসব পুরস্কারের অর্থ তাঁর মোট আয় থেকে বাদ দিতে পারবেন। সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই তথ্য জানান।

নোবেল পুরস্কার ছাড়া অন্য পুরস্কারগুলো হলো— র‍্যামন ম্যাগসাইসাই, বুকার, পুলিৎজার, সাইমন বলিভার, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্রামি, এমি, গোল্ডেন গ্লোব, কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং আরও কয়েকজন বাংলাদেশি র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার অর্জন করেছেন।

আয়কর আইনের ষষ্ঠ তফসিলে নির্দিষ্ট কিছু খাতের আয়কে মোট আয় থেকে বাদ দেওয়ার বিধান রয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সেখানে সংশোধন এনে এসব আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থকে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যমান আয়কর আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে কোনো আয় যদি রেমিট্যান্সের শর্ত মেনে দেশে আনা হয়, তাহলে তা করমুক্ত। তবে আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ কীভাবে আয়করের আওতায় আসবে বা করমুক্ত থাকবে কি না, সে বিষয়ে আইনে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। নতুন প্রস্তাবের মাধ্যমে এই অস্পষ্টতা দূর করা হলো।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের আগে শতাধিক আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড়”

বাংলাদেশের রফতানি পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় গতকাল এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, আমদানি পণ্যের শুল্ক কর হার পর্যায়ক্রমে কমানো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার ও ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা পণ্যের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুতা, পারমাণবিক চুল্লি ও এর বিভিন্ন অংশ, বয়লার, হাইড্রোলিক টার্বাইন ও গ্যাস টার্বাইন, দুধ দোহনের যন্ত্র, মিল্কিং মেশিন, দুগ্ধ খামারের যন্ত্র ও কিছু যন্ত্রাংশ, ওয়াইন-সেডার ও ফলের রস উৎপাদনের যন্ত্র, চিনি কলের যন্ত্র, হাঁস-মুরগির ডিম ফোটানোর যন্ত্র (ইনকিউবেটর), ব্রুডার ও এগুলোর যন্ত্রাংশ, স্পিনিং মিল ও বেকারি যন্ত্র এবং এমআরআই যন্ত্র।

এছাড়া যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, হাওইটজার (এক ধরনের কামান), মর্টার ইত্যাদি। বিদায়ী অর্থবছরে এসব যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি শুল্ক রয়েছে ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এ আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

রকেট লঞ্চার, ফ্লেইম থ্রোয়ারস, গ্রেনেড লাঞ্চার, টর্পেডো টিউব ও এ ধরনের অস্ত্র আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য অস্ত্রের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপিসহ অনেক দল”

অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠক শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সংস্কারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে ওঠে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে বিএনপিসহ অনেক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তুলেছে। অন্যদিকে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা দূর করতে জামায়াত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি করেছে। বাকি দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইলেও জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার স্পষ্ট বিরোধিতা করেছে নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি। অন্যদিকে সরকারপ্রধান সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে পারার আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন। সংস্কার ইস্যুতে তিনি বলেন, আমরা যেন এ সুযোগ হারিয়ে না ফেলি।

গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দলগুলো সরকারকে বলেছে সংস্কারের নামে যেন সময়ক্ষেপণ করা না হয়। এছাড়াও সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়। আর জুলাই সনদ তৈরি করে সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হয়। এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন দ্রুত সম্পন্ন করার। দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধনী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

একই স্থানে আজ ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবে। যেটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
সোমবার বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে পারবো। সরকার আশা করে যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব হবে। প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমি খুব খুশি যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে কী হবে তা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ?অনেকগুলো বিষয় কাছাকাছি এসে গেছে। আরেকটু হলে আমাদের তালিকায় আরেকটি সুপারিশ যুক্ত হবে, সেটা হচ্ছে ঐকমত্যের সুপারিশ। সেই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আমাদের জুলাই সনদের যতগুলো বিষয় আছে তাতে যদি আরও কিছু যুক্ত করতে পারি, দেখতে সুন্দর লাগবে। জাতীয় একটা সনদ হলো, অনেকগুলো বিষয়ে আমরা এক হতে পেরেছি, জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমরা দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের আগে শতাধিক আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড়

০৮:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্রে প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইন চালু”

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইন চালু হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন শুরু হলে গ্রিডে যুক্ত হবে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ। সোমবার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি।

পাওয়ায় গ্রিড বাংলাদেশ জানায়, রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন সফলভাবে চালু করার মধ্য দিয়ে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন সক্ষমতার মাইলফলক স্পর্শ করল। এর মাধ্যমে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে সঞ্চালনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলো।

রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার ও টাওয়ার সংখ্যা ৪১৪টি।

এর আগে প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপের জন্য আরও দুটি হাইভোল্টেজ লাইন প্রস্তুত করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩০ জুন ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ এবং ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ চালু করা হয়। রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন চালুর মধ্য দিয়ে মোট তিনটি লাইন প্রস্তুত হলো, যার প্রতিটির সঞ্চালন সক্ষমতা ২ হাজার মেগাওয়াট।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “নোবেলসহ ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ করমুক্ত”

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নোবেল পুরস্কারসহ মোট ১০ ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থকে আয়করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি কোনো করদাতা এসব পুরস্কারের অর্থ তাঁর মোট আয় থেকে বাদ দিতে পারবেন। সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই তথ্য জানান।

নোবেল পুরস্কার ছাড়া অন্য পুরস্কারগুলো হলো— র‍্যামন ম্যাগসাইসাই, বুকার, পুলিৎজার, সাইমন বলিভার, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্রামি, এমি, গোল্ডেন গ্লোব, কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং আরও কয়েকজন বাংলাদেশি র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার অর্জন করেছেন।

আয়কর আইনের ষষ্ঠ তফসিলে নির্দিষ্ট কিছু খাতের আয়কে মোট আয় থেকে বাদ দেওয়ার বিধান রয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সেখানে সংশোধন এনে এসব আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থকে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যমান আয়কর আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে কোনো আয় যদি রেমিট্যান্সের শর্ত মেনে দেশে আনা হয়, তাহলে তা করমুক্ত। তবে আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ কীভাবে আয়করের আওতায় আসবে বা করমুক্ত থাকবে কি না, সে বিষয়ে আইনে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। নতুন প্রস্তাবের মাধ্যমে এই অস্পষ্টতা দূর করা হলো।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের আগে শতাধিক আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড়”

বাংলাদেশের রফতানি পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় গতকাল এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, আমদানি পণ্যের শুল্ক কর হার পর্যায়ক্রমে কমানো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার ও ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা পণ্যের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুতা, পারমাণবিক চুল্লি ও এর বিভিন্ন অংশ, বয়লার, হাইড্রোলিক টার্বাইন ও গ্যাস টার্বাইন, দুধ দোহনের যন্ত্র, মিল্কিং মেশিন, দুগ্ধ খামারের যন্ত্র ও কিছু যন্ত্রাংশ, ওয়াইন-সেডার ও ফলের রস উৎপাদনের যন্ত্র, চিনি কলের যন্ত্র, হাঁস-মুরগির ডিম ফোটানোর যন্ত্র (ইনকিউবেটর), ব্রুডার ও এগুলোর যন্ত্রাংশ, স্পিনিং মিল ও বেকারি যন্ত্র এবং এমআরআই যন্ত্র।

এছাড়া যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, হাওইটজার (এক ধরনের কামান), মর্টার ইত্যাদি। বিদায়ী অর্থবছরে এসব যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি শুল্ক রয়েছে ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এ আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

রকেট লঞ্চার, ফ্লেইম থ্রোয়ারস, গ্রেনেড লাঞ্চার, টর্পেডো টিউব ও এ ধরনের অস্ত্র আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য অস্ত্রের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপিসহ অনেক দল”

অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠক শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সংস্কারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে ওঠে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে বিএনপিসহ অনেক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তুলেছে। অন্যদিকে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা দূর করতে জামায়াত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি করেছে। বাকি দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইলেও জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার স্পষ্ট বিরোধিতা করেছে নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি। অন্যদিকে সরকারপ্রধান সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে পারার আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন। সংস্কার ইস্যুতে তিনি বলেন, আমরা যেন এ সুযোগ হারিয়ে না ফেলি।

গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দলগুলো সরকারকে বলেছে সংস্কারের নামে যেন সময়ক্ষেপণ করা না হয়। এছাড়াও সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়। আর জুলাই সনদ তৈরি করে সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হয়। এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন দ্রুত সম্পন্ন করার। দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধনী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

একই স্থানে আজ ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবে। যেটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
সোমবার বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে পারবো। সরকার আশা করে যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব হবে। প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমি খুব খুশি যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে কী হবে তা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ?অনেকগুলো বিষয় কাছাকাছি এসে গেছে। আরেকটু হলে আমাদের তালিকায় আরেকটি সুপারিশ যুক্ত হবে, সেটা হচ্ছে ঐকমত্যের সুপারিশ। সেই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আমাদের জুলাই সনদের যতগুলো বিষয় আছে তাতে যদি আরও কিছু যুক্ত করতে পারি, দেখতে সুন্দর লাগবে। জাতীয় একটা সনদ হলো, অনেকগুলো বিষয়ে আমরা এক হতে পেরেছি, জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমরা দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি।