০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৬) চিতা-বাঘের শেষ আলোঝলক ঢাকা শহরের বাস সেবা: আধুনিকায়নের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মন্দির আর প্রসাদ বিতরণ নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গে? মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ও গঙ্গা জলচুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বড় একটি ভুল, প্রতিশোধ বনাম সংস্কার সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অমর কিংবদন্তি বাংলা নাটকের সুপারস্টার অপূর্বের জন্মদিন আজ

পাঁচ বছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩%, জ্বালানিতে ৩১১ শতাংশ

সমকালের একটি শিরোনাম “শেখ মুজিবসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল”

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে প্রকাশ করা অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নন, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রথম শ্রেণিতে রয়েছেন যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন; দ্বিতীয় শ্রেণিতে যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন; তৃতীয় শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং চতুর্থ শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২’-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রবাসী সরকারের এমএনএ, এমপিএ এবং উল্লিখিত চার শ্রেণির সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। নতুন অধ্যাদেশে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী করা হয়েছে। এর ফলে তাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গেল।

জামুকা আইন সংশোধনের চূড়ান্ত খসড়াসহ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্র গত ১০ মার্চ স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এ নিয়ে ২১ মার্চ ‘মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে না শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার’ শিরোনামে সমকালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়। এর পর খসড়াটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কয়েক দফা আলোচনা হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “শুল্কমুক্ত সোনা বছরে একবারই আনতে পারবেন বিদেশফেরত যাত্রীর”

বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এত দিন শুল্ক ছাড়াই বছরে একাধিকবার সোনা আনার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে সেটি সীমিত করা হচ্ছে বছরে মাত্র একবার। একই সঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। নতুন নিয়ে অনুসারে যাত্রীরা সর্বোচ্চ দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। এ ছাড়া বিনা শুল্কে নতুন মোবাইল আনতে পারবেন একটি, তবে বছরে একবার।

জানা যায়, বর্তমান নিয়মে একজন যাত্রী বছরে যতবার খুশি ততবার শুল্ক ছাড়াই ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার বা ২০০ গ্রাম রুপার অলংকার আনতে পারেন। এ ছাড়া শুল্ক দিয়ে ১১৭ গ্রাম বা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনার সুযোগ রয়েছে, যার জন্য প্রতি ভরিতে দিতে হয় চার হাজার টাকা শুল্ক। তবে সে নিয়ম আর থাকছে না। নতুন নিয়মানুসারে, বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম ও শুল্ক দিয়ে ১১৭ গ্রাম সোনা আনা যাবে বছরে একবার।

নতুন নিয়ম অনুসারে, বুকিং, হ্যান্ডকেরিসহ লাগেজে পণ্য আনা যাবে সর্বোচ্চ ৬৫ কেজি। এর বেশি হলে শুল্ক দিতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীকেই এখন থেকে ব্যাগেজের ঘোষণা ফরম পূরণ করতে হবে। সেটি অনলাইনেও করা যাবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পাঁচ বছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩%, জ্বালানিতে ৩১১ শতাংশ”

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সক্ষমতা বাড়াতে দেশী-বিদেশী বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ দুই খাতে ব্যাপকভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও ভর্তুকি কমানো যায়নি। বিগত পাঁচ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা এবং ৬৮ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে গ্যাস ও জ্বালানির অন্যান্য খাতে। ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর সময়কালে এ পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। অর্থবছর ধরে ভর্তুকির পরিমাণ বিবেচনায় নিলে দেখা যায় এ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতে ৩১০ শতাংশ।

জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ভুল মহাপরিকল্পনায় একপেশেভাবে এ দুই খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ সময় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে। অন্যদিকে অবহেলিত ছিল জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা। যে কারণে ব্যয়বহুল জ্বালানি আমদানি করে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দিতে হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুতে বিপিডিবিকে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভর্তুকি ৩ হাজার ১৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেয়া হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভর্তুকি দেয়া হয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ সংশোধিত অর্থবছরে বিপিডিবির ভর্তুকি ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা। বিগত পাঁচ অর্থবছরের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিদ্যুতের ভর্তুকি পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে ৫৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা বেড়েছে। এ ভর্তুকি বৃদ্ধি বিবেচনা করলে এ সময়কালে বিদ্যুতে ভর্তুকি ৫৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “চার বিষয়ে দলগুলোর হ্যাঁ”

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্নকক্ষে নারী আসন, সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছেন দলগুলো। কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার প্রথম বৈঠকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অধিকাংশ দল এসব ইস্যুতে কাছাকাছি মত দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতভিন্নতা থাকলেও সেটিও সমাধানযোগ্য বলে মনে করছেন তারা। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থাভোট ও সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন বলে একমত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল। এ ছাড়াও সংসদের স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থেকে কতোজন সভাপতি হবেন সে বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয় বৈঠকে। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ দল ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিটিতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি করার ওপর মত দিয়েছে। বিদ্যমান স্থায়ী কমিটিগুলো ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রধানও বিরোধী দল থেকে করার প্রস্তাব উঠে আসে বৈঠকে। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ৫টি ছাড়াও আরও কয়েকটি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধী দল থেকে দেয়া যেতে পারে। নিম্ন কক্ষে নারী আসন ২৫ শতাংশ করার পক্ষে বেশির ভাগ দলই মত দিয়েছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে কারও মত আসেনি।

গতকাল রাজধানীর বেইলী রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সুনির্দিষ্ট চারটি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, আস্থা ভোট, অর্থ বিল ও সংবিধান সংশোধন ব্যতীত অন্যান্য সকল বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত ও ভোটদানের সুযোগ থাকা উচিত। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সংসদ সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না এ বিষয়ে বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই তিনটি বিষয়ের ওপর প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। সংসদের সকল স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ বিরোধী দলের হাতে দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। কিছু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নিয়োগের বিষয়ে প্রায় সকল দল একমত পোষণ করেছে। কিন্তু কতোটি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে। পিছিয়ে পড়া নারী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি চাকরিতে বিশেষ বিধান করা উচিত বলে বিএনপি মনে করে। সংরক্ষিত আসনে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ১০০ করার সুপারিশ করেছি। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা

পাঁচ বছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩%, জ্বালানিতে ৩১১ শতাংশ

০৮:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “শেখ মুজিবসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল”

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে প্রকাশ করা অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নন, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রথম শ্রেণিতে রয়েছেন যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন; দ্বিতীয় শ্রেণিতে যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন; তৃতীয় শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং চতুর্থ শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২’-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রবাসী সরকারের এমএনএ, এমপিএ এবং উল্লিখিত চার শ্রেণির সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। নতুন অধ্যাদেশে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী করা হয়েছে। এর ফলে তাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গেল।

জামুকা আইন সংশোধনের চূড়ান্ত খসড়াসহ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্র গত ১০ মার্চ স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এ নিয়ে ২১ মার্চ ‘মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে না শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার’ শিরোনামে সমকালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়। এর পর খসড়াটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কয়েক দফা আলোচনা হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “শুল্কমুক্ত সোনা বছরে একবারই আনতে পারবেন বিদেশফেরত যাত্রীর”

বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এত দিন শুল্ক ছাড়াই বছরে একাধিকবার সোনা আনার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে সেটি সীমিত করা হচ্ছে বছরে মাত্র একবার। একই সঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। নতুন নিয়ে অনুসারে যাত্রীরা সর্বোচ্চ দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। এ ছাড়া বিনা শুল্কে নতুন মোবাইল আনতে পারবেন একটি, তবে বছরে একবার।

জানা যায়, বর্তমান নিয়মে একজন যাত্রী বছরে যতবার খুশি ততবার শুল্ক ছাড়াই ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার বা ২০০ গ্রাম রুপার অলংকার আনতে পারেন। এ ছাড়া শুল্ক দিয়ে ১১৭ গ্রাম বা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনার সুযোগ রয়েছে, যার জন্য প্রতি ভরিতে দিতে হয় চার হাজার টাকা শুল্ক। তবে সে নিয়ম আর থাকছে না। নতুন নিয়মানুসারে, বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম ও শুল্ক দিয়ে ১১৭ গ্রাম সোনা আনা যাবে বছরে একবার।

নতুন নিয়ম অনুসারে, বুকিং, হ্যান্ডকেরিসহ লাগেজে পণ্য আনা যাবে সর্বোচ্চ ৬৫ কেজি। এর বেশি হলে শুল্ক দিতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীকেই এখন থেকে ব্যাগেজের ঘোষণা ফরম পূরণ করতে হবে। সেটি অনলাইনেও করা যাবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পাঁচ বছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩%, জ্বালানিতে ৩১১ শতাংশ”

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সক্ষমতা বাড়াতে দেশী-বিদেশী বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ দুই খাতে ব্যাপকভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও ভর্তুকি কমানো যায়নি। বিগত পাঁচ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা এবং ৬৮ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে গ্যাস ও জ্বালানির অন্যান্য খাতে। ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর সময়কালে এ পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। অর্থবছর ধরে ভর্তুকির পরিমাণ বিবেচনায় নিলে দেখা যায় এ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বিদ্যুতে ভর্তুকি বেড়েছে ৫৯৩ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতে ৩১০ শতাংশ।

জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ভুল মহাপরিকল্পনায় একপেশেভাবে এ দুই খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ সময় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে। অন্যদিকে অবহেলিত ছিল জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা। যে কারণে ব্যয়বহুল জ্বালানি আমদানি করে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দিতে হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুতে বিপিডিবিকে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভর্তুকি ৩ হাজার ১৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেয়া হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভর্তুকি দেয়া হয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ সংশোধিত অর্থবছরে বিপিডিবির ভর্তুকি ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা। বিগত পাঁচ অর্থবছরের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিদ্যুতের ভর্তুকি পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে ৫৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা বেড়েছে। এ ভর্তুকি বৃদ্ধি বিবেচনা করলে এ সময়কালে বিদ্যুতে ভর্তুকি ৫৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “চার বিষয়ে দলগুলোর হ্যাঁ”

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্নকক্ষে নারী আসন, সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছেন দলগুলো। কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার প্রথম বৈঠকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অধিকাংশ দল এসব ইস্যুতে কাছাকাছি মত দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতভিন্নতা থাকলেও সেটিও সমাধানযোগ্য বলে মনে করছেন তারা। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থাভোট ও সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন বলে একমত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল। এ ছাড়াও সংসদের স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থেকে কতোজন সভাপতি হবেন সে বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয় বৈঠকে। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ দল ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিটিতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি করার ওপর মত দিয়েছে। বিদ্যমান স্থায়ী কমিটিগুলো ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রধানও বিরোধী দল থেকে করার প্রস্তাব উঠে আসে বৈঠকে। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ৫টি ছাড়াও আরও কয়েকটি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধী দল থেকে দেয়া যেতে পারে। নিম্ন কক্ষে নারী আসন ২৫ শতাংশ করার পক্ষে বেশির ভাগ দলই মত দিয়েছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে কারও মত আসেনি।

গতকাল রাজধানীর বেইলী রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সুনির্দিষ্ট চারটি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, আস্থা ভোট, অর্থ বিল ও সংবিধান সংশোধন ব্যতীত অন্যান্য সকল বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত ও ভোটদানের সুযোগ থাকা উচিত। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সংসদ সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না এ বিষয়ে বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই তিনটি বিষয়ের ওপর প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। সংসদের সকল স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ বিরোধী দলের হাতে দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। কিছু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নিয়োগের বিষয়ে প্রায় সকল দল একমত পোষণ করেছে। কিন্তু কতোটি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে। পিছিয়ে পড়া নারী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি চাকরিতে বিশেষ বিধান করা উচিত বলে বিএনপি মনে করে। সংরক্ষিত আসনে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ১০০ করার সুপারিশ করেছি। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।