০৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে সেনাসদস্যদের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান হামলার নিশানায় সাহসী কলম—হুমায়ুন আজাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বঙ্গোপসাগরের তলের প্লেট ও বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি—একটি ভয়াবহ সম্ভাবনার দিকচিত্র জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম—বন্দরনগরীর স্থবিরতা ও নাগরিক দুর্ভোগের এক দীর্ঘচিত্র কীভাবে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা টেড কেনেডির প্রেসিডেন্সির স্বপ্ন শেষ করে দেয় বাটার লোকসান: অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত খুচরা বাজার কুয়েতি দম্পতির হাতে গৃহকর্মী নিহত: মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪৬) প্রাইভেট জেট: ভারতের ধনীদের নতুন উড়ান বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের চেয়ে কম শুল্কের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ঈদের ছুটির শুরুতে মহাসড়কে ধীরগতি

সমকালের একটি শিরোনাম “ঈদের ছুটির শুরুতে মহাসড়কে ধীরগতি”

ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হতেই দেশের সব মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে গতকাল বুধবার ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা মোড় থেকে কোনাবাড়ী এবং বাইপাইল পর্যন্ত বিকেল থেকে যানজট তৈরি হয়েছে।

রাত ১০টার দিকে দু’পাশেই প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট ছিল। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথে ছিল ধীরগতি। গাড়ির চাপ বাড়ায় ভোগান্তি ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে।

সবচেয়ে বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে। গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু পারাপার হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৪ যানবাহন। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯ টাকা। পারাপার হওয়া গাড়ি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।

যদিও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

শহরমুখী কোরবানি পশুবাহী গাড়ি এবং মহাসড়কের পাশে হাটের কারণেও ভোগান্তি বাড়ার শঙ্কা রয়েছেও। সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, বিকল গাড়ি, শেষ সময়ে কলকারখানার শ্রমিকবাহী লক্কড়ঝক্কড় বাস-ট্রাক ও দুর্ঘটনায়ও রয়েছে ভোগান্তির ভয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী: অবসর ভাতায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে তহবিল সংকট”

নেত্রকোনার রায়পুর আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাসুদ মিয়া অবসরে গেছেন ২০২২ সালে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। অবসরের পর সেই সুবিধার জন্য আবেদন করে এখনো প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।

একই অবস্থা রাজশাহীর বেসরকারি ভটখালী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনাতুন নেসার। তিনি দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখনো অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।

অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পেতে মানুষ গড়ার এই দুই কারিগর মাঝেমধ্যে ধরনা দিতে আসেন রাজধানীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টে। নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ভবনে এই দুই কার্যালয়। গতকাল রোববারও গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের জমানো টাকা আমাদের দিচ্ছে না, বলেন তো ভাই, কী করি?

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত তহবিল সংকটের কারণে সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরকালীন প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দুই দপ্তরে অনিষ্পন্ন রয়েছে ৮৭ হাজার ৬০০ অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার আবেদন। ফলে নতুন আবেদনকারীদের অপেক্ষা বাড়ছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রেমিট্যান্সে ভর করে কমল বিওপির ঘাটতি”

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) স্থিতিশীলতা ফিরেছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল শেষে বিওপির ঘাটতি নেমে এসেছে ৬৬ কোটি ডলারে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ সূচকে ৬৫৭ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল। আর ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিওপির ঘাটতি ছিল ৮২২ কোটি ডলার।

বিওপির ঘাটতি হলে সেটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে পূরণ করতে হয়। গত তিন অর্থবছর ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এ গুরুত্বপূর্ণ সূচকে বড় ঘাটতিতে বাংলাদেশ। এ কারণে ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়া রিজার্ভ পরবর্তী তিন বছরে অর্ধেকে নেমে আসে। তবে বিওপির ঘাটতি বর্তমানে কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংককে আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে না। এ কারণে স্থিতিশীল রয়েছে দেশের রিজার্ভ।

দেশের ডলার প্রবাহ ও বৈদেশিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে, যা বিওপি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি বিওপির সর্বশেষ প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই (জুলাই-এপ্রিল) প্রবাসীরা রেকর্ড ২ হাজার ৪৯৩ কোটি বা ২৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো এ বাড়তি অর্থেই সরকারের চলতি হিসাবে ও সামগ্রিক লেনদেন ঘাটতি কমেছে।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এপ্রিলের পর মে মাসেও প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি রফতানি খাতও প্রবৃ্দ্ধির ধারায় রয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। সরবরাহ ভালো থাকায় তা স্থিতিশীল রয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ঈদে সরগরম তৃণমূল রাজনীতি, নেতারা ছুটছেন এলাকায়”

ঈদে গ্রাম হবে রাজনীতিমুখী। নেতারা ছুটছেন যার যার এলাকায়। লক্ষ্য নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। একইসঙ্গে ভোটের প্রস্তুতিও রয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। ঈদ ঘিরে চাঙ্গা হবে তৃণমূলের রাজনীতি। এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হলে ভোটের আগে এটিই হবে শেষ ঈদ। এ কারণে ঈদের সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রায় সবাই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন ঈদে।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। দলগুলো দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার রোডম্যাপ না দিলেও দলগুলো ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কোনো কোনো দল তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছে। এসব প্রার্থীরা আগে থেকেই নির্বাচনী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন।

রাজনৈতিক দলের সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি এ বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। সেখানে তারা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এসব কর্মসূচিতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কী কী করবে, তা তুলে ধরবেন নেতারা। একইসঙ্গে নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নে দেবেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। ওদিকে নির্বাচনে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হলেও জামায়াতে ইসলামী প্রায় ৩০০ আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে তারা নির্বাচনী প্রচারণার কাজও করছেন। ঈদেও তারা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও বৈঠক করবেন। এ ছাড়া এনসিপি গত ১০ থেকে ১৫ দিন সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ঈদেও এই কর্মকাণ্ড চলমান থাকবে। ঈদে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় তাদের দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

 

মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে সেনাসদস্যদের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান

ঈদের ছুটির শুরুতে মহাসড়কে ধীরগতি

০৯:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “ঈদের ছুটির শুরুতে মহাসড়কে ধীরগতি”

ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হতেই দেশের সব মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে গতকাল বুধবার ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা মোড় থেকে কোনাবাড়ী এবং বাইপাইল পর্যন্ত বিকেল থেকে যানজট তৈরি হয়েছে।

রাত ১০টার দিকে দু’পাশেই প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট ছিল। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথে ছিল ধীরগতি। গাড়ির চাপ বাড়ায় ভোগান্তি ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে।

সবচেয়ে বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে। গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু পারাপার হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৪ যানবাহন। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯ টাকা। পারাপার হওয়া গাড়ি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।

যদিও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

শহরমুখী কোরবানি পশুবাহী গাড়ি এবং মহাসড়কের পাশে হাটের কারণেও ভোগান্তি বাড়ার শঙ্কা রয়েছেও। সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, বিকল গাড়ি, শেষ সময়ে কলকারখানার শ্রমিকবাহী লক্কড়ঝক্কড় বাস-ট্রাক ও দুর্ঘটনায়ও রয়েছে ভোগান্তির ভয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী: অবসর ভাতায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে তহবিল সংকট”

নেত্রকোনার রায়পুর আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাসুদ মিয়া অবসরে গেছেন ২০২২ সালে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। অবসরের পর সেই সুবিধার জন্য আবেদন করে এখনো প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।

একই অবস্থা রাজশাহীর বেসরকারি ভটখালী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনাতুন নেসার। তিনি দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখনো অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।

অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পেতে মানুষ গড়ার এই দুই কারিগর মাঝেমধ্যে ধরনা দিতে আসেন রাজধানীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টে। নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ভবনে এই দুই কার্যালয়। গতকাল রোববারও গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের জমানো টাকা আমাদের দিচ্ছে না, বলেন তো ভাই, কী করি?

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত তহবিল সংকটের কারণে সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরকালীন প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দুই দপ্তরে অনিষ্পন্ন রয়েছে ৮৭ হাজার ৬০০ অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার আবেদন। ফলে নতুন আবেদনকারীদের অপেক্ষা বাড়ছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রেমিট্যান্সে ভর করে কমল বিওপির ঘাটতি”

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) স্থিতিশীলতা ফিরেছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল শেষে বিওপির ঘাটতি নেমে এসেছে ৬৬ কোটি ডলারে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ সূচকে ৬৫৭ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল। আর ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিওপির ঘাটতি ছিল ৮২২ কোটি ডলার।

বিওপির ঘাটতি হলে সেটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে পূরণ করতে হয়। গত তিন অর্থবছর ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এ গুরুত্বপূর্ণ সূচকে বড় ঘাটতিতে বাংলাদেশ। এ কারণে ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়া রিজার্ভ পরবর্তী তিন বছরে অর্ধেকে নেমে আসে। তবে বিওপির ঘাটতি বর্তমানে কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংককে আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে না। এ কারণে স্থিতিশীল রয়েছে দেশের রিজার্ভ।

দেশের ডলার প্রবাহ ও বৈদেশিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে, যা বিওপি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি বিওপির সর্বশেষ প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই (জুলাই-এপ্রিল) প্রবাসীরা রেকর্ড ২ হাজার ৪৯৩ কোটি বা ২৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো এ বাড়তি অর্থেই সরকারের চলতি হিসাবে ও সামগ্রিক লেনদেন ঘাটতি কমেছে।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এপ্রিলের পর মে মাসেও প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি রফতানি খাতও প্রবৃ্দ্ধির ধারায় রয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। সরবরাহ ভালো থাকায় তা স্থিতিশীল রয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ঈদে সরগরম তৃণমূল রাজনীতি, নেতারা ছুটছেন এলাকায়”

ঈদে গ্রাম হবে রাজনীতিমুখী। নেতারা ছুটছেন যার যার এলাকায়। লক্ষ্য নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। একইসঙ্গে ভোটের প্রস্তুতিও রয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। ঈদ ঘিরে চাঙ্গা হবে তৃণমূলের রাজনীতি। এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হলে ভোটের আগে এটিই হবে শেষ ঈদ। এ কারণে ঈদের সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রায় সবাই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন ঈদে।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। দলগুলো দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার রোডম্যাপ না দিলেও দলগুলো ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কোনো কোনো দল তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছে। এসব প্রার্থীরা আগে থেকেই নির্বাচনী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন।

রাজনৈতিক দলের সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি এ বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। সেখানে তারা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এসব কর্মসূচিতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কী কী করবে, তা তুলে ধরবেন নেতারা। একইসঙ্গে নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নে দেবেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। ওদিকে নির্বাচনে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হলেও জামায়াতে ইসলামী প্রায় ৩০০ আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে তারা নির্বাচনী প্রচারণার কাজও করছেন। ঈদেও তারা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও বৈঠক করবেন। এ ছাড়া এনসিপি গত ১০ থেকে ১৫ দিন সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ঈদেও এই কর্মকাণ্ড চলমান থাকবে। ঈদে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় তাদের দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।