তার পর হিউ এনচাঙ গঙ্গাতীরে ইরিনপর্বতে এলেন। বর্তমান মুঙ্গেরের নাম ছিল ইরিন বা অনুর্বর পর্বত। সে সময়ে এখানে দশটা সঙ্ঘারাম আর হীনযানের সর্বাস্তবাদিন শাখার দশ হাজার ভিক্ষু ছিলেন। ৬৩৮ খৃস্টাব্দের গ্রীষ্মকালটা হিউএনচাঙ এই মত শিক্ষা করবার জন্যে এখানে ছিলেন।
বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্যে নদীপথই সবচেয়ে সুবিধার ছিল। মুঙ্গের থেকে হিউ এনচাঙ নিশ্চয়ই নৌকা-যোগেই বাংলা দেশে এসেছিলেন। মুঙ্গের ছেড়ে তিনি প্রথমে এলেন চম্পাদেশে (আধুনিক ভাগলপুর)।
চম্পার দক্ষিণে এ সময়ে গহন বন ছিল আর তাতে শত শত হাতী, গণ্ডার, নেকড়ে বাঘ আর কালো চিতাবাঘ বিচরণ করত। এই প্রসঙ্গে হিউ-এনচাঙ বলেন যে, বাংলাদেশের রাজাদের শত শত যুদ্ধহস্তী ছিল।
চম্পা থেকে নদীপথে নব্বই মাইল ভাটিতে আধুনিক রাজমহলের কাছে কজঙ্গল নামে এক নগর ছিল। এখানে মহারাজা হর্ষবর্ধনের একটি প্রাসাদ ছিল। তিনি অনেক সময়ে এখানে থাকতেন।
(চলবে)