০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ভবিষ্যতের যুগ শুরুঃ আকাশে গাড়ি, ড্রোন পৌঁছে দিচ্ছে বাড়িতে খাবার

প্রথম উড্ডয়ন: বিমান গাড়িতে প্রথম যাত্রার অভিজ্ঞতা

গুয়াংজু শহরে ইহ্যাং কোম্পানির সদর দফতরে একটি ইভিটল (eVTOL) বা বৈদ্যুতিক উড্ডয়নযানে (আসলে এক ধরনের বিমান গাড়ি) ওঠেন এক সাংবাদিক। ১৬টি প্রপেলার ঘুরতে শুরু করে, ধীরে ধীরে আকাশে উঠে যায় যানটি। প্রায় ৫০ মিটার উচ্চতায় উঠে শহরের ক্রেন আর ডকইয়ার্ডের ওপর দিয়ে উড়ে আবার মাটিতে নামে। এটি এখন পরীক্ষামূলক হলেও ইহ্যাং ইতিমধ্যে বিশ্বে প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী ইভিটল পরিচালনার লাইসেন্স পেয়েছে। শিগগিরই গুয়াংজু ও হেফেই শহরে সাধারণ যাত্রী পরিবহন শুরু করবে তারা।

চীনে ইতিমধ্যে ড্রোন দিয়ে খাবার সরবরাহ

ড্রোন প্রযুক্তি শুধু বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতেই সীমাবদ্ধ নয়; চীনে তা ইতিমধ্যেই বাস্তবতা। শেনজেন শহরে খাবার সরবরাহকারী মেইতুয়ান অ্যাপের কিয়স্কে ক্রেতারা ড্রোনে আসা খাবার সংগ্রহ করছেন। ক্রেতারা মোবাইল নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা প্রবেশ করিয়ে খাবার সংগ্রহ করেন, আর উপরে ড্রোনের মাধ্যমে আসে বাবল টি, নুডলস ও চিকেন রাইস। ২০২৪ সালে শুধু মেইতুয়ানই দুই লাখের বেশি খাবারের অর্ডার ড্রোনে সরবরাহ করেছে।

নিম্ন-আকাশ অর্থনীতি: চীনের নতুন অর্থনৈতিক খাত

চীনা সরকার এটিকে ‘লো-অলটিচিউড ইকোনমি’ বা নিম্ন-আকাশ অর্থনীতির অংশ হিসেবে দেখছে। ২০২৪ সালে এর বাজার মূল্য ১.৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে যা দাঁড়াবে ৩.৫ ট্রিলিয়নে। সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে ১০০০ মিটারের নিচে বিভিন্ন ডিভাইস দিয়ে মালামাল ও যাত্রী পরিবহনের বিস্তৃত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকল) শিল্পে চীনের আধিপত্যের মতোই এই নতুন শিল্পেও বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে চায় তারা।

ড্রোনের বিস্তার

চীনে বর্তমানে প্রায় ২২ লাখ বেসামরিক ড্রোন সক্রিয় রয়েছে, যা গত পাঁচ বছরে ৪৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে ডাক পরিবহন, চিকিৎসার রক্ত ও নমুনা পরিবহন, কৃষিক্ষেতে কীটনাশক ছিটানো, অগ্নি নির্বাপণ, সীমান্ত নজরদারি ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

সরকারি সমর্থন ও নীতিগত ছাড়

প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং ২০২৩ সালে বার্ষিক নীতিনির্ধারণী রিপোর্টে নিম্ন-আকাশ অর্থনীতিকে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর সরকারি পরিকল্পনা কমিশন এ খাতের জন্য আলাদা বিভাগ খোলে। বর্তমানে শেনজেনসহ ছয়টি শহরকে ৬০০ মিটারের নিচে বাণিজ্যিকভাবে আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সরকারগুলোও ব্যাপকভাবে এতে বিনিয়োগে আগ্রহী। উদাহরণস্বরূপ, শানডং প্রদেশের পিংইন কাউন্টি ‘লো-অলটিচিউড ইকোনমি ফ্র্যাঞ্চাইজি রাইটস’ নিলামে তোলে যা বিতর্ক সৃষ্টি করে।

শেনজেন: লো-অলটিচিউড ইকোনমির অগ্রণী শহর

শেনজেন শহর ইতিমধ্যে ২৫০টি ড্রোন ডেলিভারি রুট অনুমোদন করেছে এবং প্রায় ৫০০টি টার্মিনাল তৈরি করেছে। ড্রোনের জন্য ৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে শহরটিতে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজারের বেশি ড্রোন ডেলিভারি সম্পন্ন হয়। মেইতুয়ানের ড্রোন বিভাগের প্রধান মাও ইয়িনিয়ান জানান, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারির পরিমাণ মোট সরবরাহের ১০% এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডেলিভারির অটোমেশন ও দক্ষতা

বর্তমানে ড্রোনে খাবার পাঠানোর আগে মেইতুয়ানের কর্মীরা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সংগ্রহ করে, ওজন মেপে ড্রোনে বোঝাই করেন। ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া আরও স্বয়ংক্রিয় করার পরিকল্পনা আছে। মাও জানান, ড্রোন পাইলটরা দিনে শত শত অর্ডার পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, যা স্কুটার চালকদের পক্ষে সম্ভব নয়।

ফ্লাইং কারে বিনিয়োগ

ড্রোনের পাশাপাশি চীনে ফ্লাইং কারও তৈরি হচ্ছে। এক্সপেং কোম্পানি ছয় চাকার ইভি তৈরি করেছে যার পেছনে ইভিটল রাখা যায়। তারা জানিয়েছে, আগামী বছর এটি ২০ লাখ ইউয়ানের নিচে মূল্যে বাজারে আসবে। ইতিমধ্যে ৪ হাজারের বেশি অর্ডার পেয়েছে তারা। এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত গাড়ি কোম্পানিগুলোও ইভিটল তৈরিতে যোগ দিয়েছে। হংকির তৈরি ‘তিয়াননিয়ান ১’ বিলাসবহুল ফ্লাইং কার তার মধ্যে অন্যতম।

তিন মাত্রার স্বাধীনতার স্বপ্ন

ইহ্যাং এর সিইও হু হুয়াঝি বলেন, স্থলভাগের যানবাহনকে তিনি ‘০.৫ ডাইমেনশনাল’ বলেন কারণ ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ঘুরে ঘুরে যেতে হয়। তার মতে, বেইজিংয়ের পাঁচ নম্বর রিং রোডে ৩০ কিমি যেতে গাড়িতে এক ঘণ্টা লাগে, কিন্তু আকাশে মাত্র ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যায়। তবে রাজধানীর আকাশপথ অনেক বেশি সুরক্ষিত হওয়ায় এখনও শুধুমাত্র ট্যুরিস্টিক ফ্লাইট চালাচ্ছে তারা।

নিম্ন-আকাশ অর্থনীতির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

চীনের এই খাত বিকাশের পেছনে রয়েছে দেশের বিদ্যুৎচালিত যান ও ব্যাটারি উৎপাদনে শক্ত অবস্থান। শেনজেনে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ড্রোন প্রস্তুতকারক ডিজেআই এবং ইভি নির্মাতা বিওয়াইডি। চীনা সরকারের নমনীয় ও দ্রুতগতির নীতিগত সমর্থনও এই খাতকে এগিয়ে নিচ্ছে। মেইতুয়ানের কর্মকর্তারা জানান, এখন নীতিনির্ধারকরা নিজেরাই নতুন রুট চালুর প্রস্তাব দেন।

তবে এ খাত অতিরিক্ত উদ্দীপনা পাচ্ছে কি না তা নিয়ে সরকার চিন্তিত। পরিকল্পনা কমিশন সতর্ক করে দিয়েছে যাতে স্থানীয় সরকারগুলো অতিরিক্ত বিনিয়োগে না যায়। ইতোমধ্যে পশ্চিমা অনেক ইভিটল কোম্পানি দেউলিয়া হয়েছে। চীনে এই খাত মূলত রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগেই এগিয়ে চলছে।

ভবিষ্যতের যুগ শুরু হয়ে গেছে

ইহ্যাং এর হু হুয়াঝি বলেন, “আমরা এখন যে যুগে আছি, সেটাই সেই ভবিষ্যতের যুগ যা আগে কল্পবিজ্ঞান সিনেমায় দেখা যেত।”

ভবিষ্যতের যুগ শুরুঃ আকাশে গাড়ি, ড্রোন পৌঁছে দিচ্ছে বাড়িতে খাবার

১১:০০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

প্রথম উড্ডয়ন: বিমান গাড়িতে প্রথম যাত্রার অভিজ্ঞতা

গুয়াংজু শহরে ইহ্যাং কোম্পানির সদর দফতরে একটি ইভিটল (eVTOL) বা বৈদ্যুতিক উড্ডয়নযানে (আসলে এক ধরনের বিমান গাড়ি) ওঠেন এক সাংবাদিক। ১৬টি প্রপেলার ঘুরতে শুরু করে, ধীরে ধীরে আকাশে উঠে যায় যানটি। প্রায় ৫০ মিটার উচ্চতায় উঠে শহরের ক্রেন আর ডকইয়ার্ডের ওপর দিয়ে উড়ে আবার মাটিতে নামে। এটি এখন পরীক্ষামূলক হলেও ইহ্যাং ইতিমধ্যে বিশ্বে প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী ইভিটল পরিচালনার লাইসেন্স পেয়েছে। শিগগিরই গুয়াংজু ও হেফেই শহরে সাধারণ যাত্রী পরিবহন শুরু করবে তারা।

চীনে ইতিমধ্যে ড্রোন দিয়ে খাবার সরবরাহ

ড্রোন প্রযুক্তি শুধু বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতেই সীমাবদ্ধ নয়; চীনে তা ইতিমধ্যেই বাস্তবতা। শেনজেন শহরে খাবার সরবরাহকারী মেইতুয়ান অ্যাপের কিয়স্কে ক্রেতারা ড্রোনে আসা খাবার সংগ্রহ করছেন। ক্রেতারা মোবাইল নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা প্রবেশ করিয়ে খাবার সংগ্রহ করেন, আর উপরে ড্রোনের মাধ্যমে আসে বাবল টি, নুডলস ও চিকেন রাইস। ২০২৪ সালে শুধু মেইতুয়ানই দুই লাখের বেশি খাবারের অর্ডার ড্রোনে সরবরাহ করেছে।

নিম্ন-আকাশ অর্থনীতি: চীনের নতুন অর্থনৈতিক খাত

চীনা সরকার এটিকে ‘লো-অলটিচিউড ইকোনমি’ বা নিম্ন-আকাশ অর্থনীতির অংশ হিসেবে দেখছে। ২০২৪ সালে এর বাজার মূল্য ১.৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে যা দাঁড়াবে ৩.৫ ট্রিলিয়নে। সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে ১০০০ মিটারের নিচে বিভিন্ন ডিভাইস দিয়ে মালামাল ও যাত্রী পরিবহনের বিস্তৃত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকল) শিল্পে চীনের আধিপত্যের মতোই এই নতুন শিল্পেও বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে চায় তারা।

ড্রোনের বিস্তার

চীনে বর্তমানে প্রায় ২২ লাখ বেসামরিক ড্রোন সক্রিয় রয়েছে, যা গত পাঁচ বছরে ৪৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে ডাক পরিবহন, চিকিৎসার রক্ত ও নমুনা পরিবহন, কৃষিক্ষেতে কীটনাশক ছিটানো, অগ্নি নির্বাপণ, সীমান্ত নজরদারি ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

সরকারি সমর্থন ও নীতিগত ছাড়

প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং ২০২৩ সালে বার্ষিক নীতিনির্ধারণী রিপোর্টে নিম্ন-আকাশ অর্থনীতিকে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর সরকারি পরিকল্পনা কমিশন এ খাতের জন্য আলাদা বিভাগ খোলে। বর্তমানে শেনজেনসহ ছয়টি শহরকে ৬০০ মিটারের নিচে বাণিজ্যিকভাবে আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সরকারগুলোও ব্যাপকভাবে এতে বিনিয়োগে আগ্রহী। উদাহরণস্বরূপ, শানডং প্রদেশের পিংইন কাউন্টি ‘লো-অলটিচিউড ইকোনমি ফ্র্যাঞ্চাইজি রাইটস’ নিলামে তোলে যা বিতর্ক সৃষ্টি করে।

শেনজেন: লো-অলটিচিউড ইকোনমির অগ্রণী শহর

শেনজেন শহর ইতিমধ্যে ২৫০টি ড্রোন ডেলিভারি রুট অনুমোদন করেছে এবং প্রায় ৫০০টি টার্মিনাল তৈরি করেছে। ড্রোনের জন্য ৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে শহরটিতে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজারের বেশি ড্রোন ডেলিভারি সম্পন্ন হয়। মেইতুয়ানের ড্রোন বিভাগের প্রধান মাও ইয়িনিয়ান জানান, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারির পরিমাণ মোট সরবরাহের ১০% এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডেলিভারির অটোমেশন ও দক্ষতা

বর্তমানে ড্রোনে খাবার পাঠানোর আগে মেইতুয়ানের কর্মীরা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সংগ্রহ করে, ওজন মেপে ড্রোনে বোঝাই করেন। ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া আরও স্বয়ংক্রিয় করার পরিকল্পনা আছে। মাও জানান, ড্রোন পাইলটরা দিনে শত শত অর্ডার পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, যা স্কুটার চালকদের পক্ষে সম্ভব নয়।

ফ্লাইং কারে বিনিয়োগ

ড্রোনের পাশাপাশি চীনে ফ্লাইং কারও তৈরি হচ্ছে। এক্সপেং কোম্পানি ছয় চাকার ইভি তৈরি করেছে যার পেছনে ইভিটল রাখা যায়। তারা জানিয়েছে, আগামী বছর এটি ২০ লাখ ইউয়ানের নিচে মূল্যে বাজারে আসবে। ইতিমধ্যে ৪ হাজারের বেশি অর্ডার পেয়েছে তারা। এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত গাড়ি কোম্পানিগুলোও ইভিটল তৈরিতে যোগ দিয়েছে। হংকির তৈরি ‘তিয়াননিয়ান ১’ বিলাসবহুল ফ্লাইং কার তার মধ্যে অন্যতম।

তিন মাত্রার স্বাধীনতার স্বপ্ন

ইহ্যাং এর সিইও হু হুয়াঝি বলেন, স্থলভাগের যানবাহনকে তিনি ‘০.৫ ডাইমেনশনাল’ বলেন কারণ ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ঘুরে ঘুরে যেতে হয়। তার মতে, বেইজিংয়ের পাঁচ নম্বর রিং রোডে ৩০ কিমি যেতে গাড়িতে এক ঘণ্টা লাগে, কিন্তু আকাশে মাত্র ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যায়। তবে রাজধানীর আকাশপথ অনেক বেশি সুরক্ষিত হওয়ায় এখনও শুধুমাত্র ট্যুরিস্টিক ফ্লাইট চালাচ্ছে তারা।

নিম্ন-আকাশ অর্থনীতির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

চীনের এই খাত বিকাশের পেছনে রয়েছে দেশের বিদ্যুৎচালিত যান ও ব্যাটারি উৎপাদনে শক্ত অবস্থান। শেনজেনে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ড্রোন প্রস্তুতকারক ডিজেআই এবং ইভি নির্মাতা বিওয়াইডি। চীনা সরকারের নমনীয় ও দ্রুতগতির নীতিগত সমর্থনও এই খাতকে এগিয়ে নিচ্ছে। মেইতুয়ানের কর্মকর্তারা জানান, এখন নীতিনির্ধারকরা নিজেরাই নতুন রুট চালুর প্রস্তাব দেন।

তবে এ খাত অতিরিক্ত উদ্দীপনা পাচ্ছে কি না তা নিয়ে সরকার চিন্তিত। পরিকল্পনা কমিশন সতর্ক করে দিয়েছে যাতে স্থানীয় সরকারগুলো অতিরিক্ত বিনিয়োগে না যায়। ইতোমধ্যে পশ্চিমা অনেক ইভিটল কোম্পানি দেউলিয়া হয়েছে। চীনে এই খাত মূলত রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগেই এগিয়ে চলছে।

ভবিষ্যতের যুগ শুরু হয়ে গেছে

ইহ্যাং এর হু হুয়াঝি বলেন, “আমরা এখন যে যুগে আছি, সেটাই সেই ভবিষ্যতের যুগ যা আগে কল্পবিজ্ঞান সিনেমায় দেখা যেত।”