১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের স্বাস্থ্য নির্ধারণে পেশি, চর্বি ও রক্ত পরীক্ষা  

সহজ রক্ত পরীক্ষাতেই মিলে যাচ্ছে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সংকেত

সিঙ্গাপুরে মধ্যবয়সী নারীদের ওপর পরিচালিত এক দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। রক্তের এক সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা সম্ভব, কোন নারীরা ভবিষ্যতে পেশিশক্তি হারাতে পারেন এবং ধীরগতিতে হাঁটার সমস্যায় ভুগতে পারেন।

বর্তমানে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) বা মাংসপেশির শক্তি নির্ধারণের পরীক্ষাকে স্বর্ণমান বলা হলেও, এই রক্ত পরীক্ষাটি তার চেয়ে অনেক সহজ, সাশ্রয়ী ও সময়-সাশ্রয়ী।

রক্তে সিসিআর সূচক: স্বাস্থ্যহানির পূর্বাভাস

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল (NUH) এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর গবেষকেরা দেখতে পেয়েছেন, যেসব নারীর ক্রিয়েটিনিন-টু-সিস্টাটিন সি অনুপাত (CCR) কম, তাদের শরীরের পেশি তুলনামূলকভাবে কম এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটার গতি কমে যায়।

ক্রিয়েটিনিন মূলত পেশির স্বাভাবিক কার্যকলাপের একটি উপজাত এবং এর বেশি মাত্রা মানে পেশির পরিমাণ বেশি অথবা কিডনির কার্যকারিতায় সমস্যা হতে পারে। অপরদিকে, সিস্টাটিন সি একটি প্রোটিন, যা শরীরের কোষে তৈরি হয় এবং কিডনি দ্বারা ছেঁকে ফেলা হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত কিডনির স্বাভাবিক কাজের ইঙ্গিত দেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, CCR যদি ৮.১৬-এর নিচে থাকে, তাহলে উরুর পেশি গড়ে ০.৩৫ লিটার কম হয় এবং হাঁটার গতি প্রতি সেকেন্ডে ০.০৪৯ মিটার কমে যায়।

এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে CCR হতে পারে বয়সভিত্তিক পেশিশক্তি হ্রাসের পূর্বাভাস, যা পড়ে গিয়ে আহত হওয়া, দুর্বলতা ও জীবনের গুণগত মান কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এই গবেষণাটি ‘Menopause’ নামক আন্তর্জাতিক পর্যালোচিত সাময়িকীতে মার্চ মাসে প্রকাশিত হয়।

সিঙ্গাপুরের মধ্যবয়সী নারীদের স্বাস্থ্যচিত্র

NUH এবং NUS ইয়ং লু লিন স্কুল অব মেডিসিনের ইন্টিগ্রেটেড উইমেনস হেলথ প্রোগ্রাম (IWHP) মূলত ৪৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ১,২০০ চীনা, মালয় এবং ভারতীয় নারীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ট্র্যাক করার জন্য ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে শুরু হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশই তখন মেনোপজ-পরবর্তী অবস্থায় ছিলেন।

এই গোষ্ঠীর প্রথম গবেষণা, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ‘Maturitas’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায়, নারীদের মধ্যে গাঁটব্যথা ও পেশি-ব্যথা সবচেয়ে বেশি জানানো উপসর্গ, যার প্রভাব ছিল মোট অংশগ্রহণকারীর এক-তৃতীয়াংশের ওপর।

পেশি দুর্বলতা ও ভিসারাল ফ্যাট: ডায়াবেটিসের দ্বিগুণ ঝুঁকি

২০২৪ সালের অক্টোবরে ‘Diabetes, Obesity and Metabolism’ পত্রিকায় প্রকাশিত আরেক গবেষণায় উঠে আসে, যেসব নারীর পেশিশক্তি কম এবং পেটের ভেতরের (ভিসারাল) চর্বি বেশি, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ছিল ২.৬৩ গুণ বেশি

শুধুমাত্র উচ্চ ভিসারাল ফ্যাট থাকলেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১.৭৮ গুণ বেড়ে যায়। আর যাদের পেশিশক্তি কম, কিন্তু ভিসারাল ফ্যাট বেশি, তাদের ঝুঁকি বেড়ে দাঁড়ায় ২.৮৪ গুণ

গবেষণার মূল নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক ইউ লেয়ং ইয়ং বলেন, “পেশি চর্বি পোড়ায়। কিন্তু দুর্বল পেশিশক্তি থাকলে শরীরে কী হয়? ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কি বাড়ে?”

এই গবেষণায় নারীদের প্রাথমিক পেশি ও ফ্যাটের পরিমাপ নেওয়া হয়েছিল, যার ভিত্তিতে ৬ বছর পর দেখা হয় স্বাস্থ্য পরিবর্তনের ধারা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার। তখন ৯০ শতাংশ নারী ছিলেন মেনোপজ-পরবর্তী অবস্থায়।

স্কিনি ফ্যাট” নারীদের সতর্ক হবার সময়

অধ্যাপক ইয়ং বলেন, “সিঙ্গাপুরের অনেক নারীই ‘স্কিনি ফ্যাট’—দেখতে স্বাভাবিক ওজনের হলেও শরীরে পেটের চর্বি বেশি এবং পেশিশক্তি কম। হাঁটার গতি দিয়ে একজনের স্বাস্থ্য বোঝা যায়। যদি আপনি সোজা ও দ্রুত হাঁটতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্বাস্থ্য ভালো নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন এক পরীক্ষার দিক খুঁজছিলাম, যেটা দিয়ে আগেই অনুমান করা যাবে পেশিশক্তির অবস্থা ও হাঁটার গতি।”

ওজন নয়লক্ষ্য হোক পেশিশক্তি

IWHP-এর আগের গবেষণাও প্রমাণ করে যে নারীদের শুধু ওজন কমানোর দিকে নয়, বরং ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশিশক্তি বাড়ানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ডায়াবেটিস প্রতিরোধে।

বাস্তব প্রমাণ: সাবারিনা জুমারুদিন

IWHP গোষ্ঠীর একজন সদস্য সাবারিনা জুমারুদিন, যিনি প্রশাসনিক সহকারী এবং বর্তমানে ৫৯ বছর বয়সী, নিজের জীবনে এই গবেষণার সত্যতা উপলব্ধি করেছেন। আগে তার ওজন ছিল ৯৩ কেজি এবং তিনি ঘুমজনিত সমস্যা (স্লিপ অ্যাপনিয়া)-তে ভুগতেন।

২০১৮ সালে NUH-এ ব্যারিয়াট্রিক অস্ত্রোপচার করানোর পর তিনি ৩০ কেজির বেশি ওজন কমিয়েছেন।

তিনি প্রতিদিন এমআরটি স্টেশনে হেঁটে যান, বাসে না গিয়ে, এবং ট্রেনে উঠতে সিঁড়ি ব্যবহার করেন। বাসায় ফেরার পথে ঘুরে ফিরে হাঁটেন যেন প্রতিদিন ১০ হাজার ধাপ পূর্ণ হয়। নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম ও শ্বাসব্যায়াম করেন যাতে কেন্দ্রীয় পেশিগুলো শক্ত থাকে।

সাবারিনা বলেন, “আমি বুঝেছি, ছোট ছোট নিয়মিত পরিবর্তনগুলোই বড় প্রভাব ফেলে। দৈনন্দিন জীবনে যতটা পারি স্বাস্থ্যকর থাকার চেষ্টা করি। এতে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকি, এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও আত্মবিশ্বাস পাই।”

মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের স্বাস্থ্য নির্ধারণে পেশি, চর্বি ও রক্ত পরীক্ষা  

০৫:৪০:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

সহজ রক্ত পরীক্ষাতেই মিলে যাচ্ছে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সংকেত

সিঙ্গাপুরে মধ্যবয়সী নারীদের ওপর পরিচালিত এক দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। রক্তের এক সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা সম্ভব, কোন নারীরা ভবিষ্যতে পেশিশক্তি হারাতে পারেন এবং ধীরগতিতে হাঁটার সমস্যায় ভুগতে পারেন।

বর্তমানে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) বা মাংসপেশির শক্তি নির্ধারণের পরীক্ষাকে স্বর্ণমান বলা হলেও, এই রক্ত পরীক্ষাটি তার চেয়ে অনেক সহজ, সাশ্রয়ী ও সময়-সাশ্রয়ী।

রক্তে সিসিআর সূচক: স্বাস্থ্যহানির পূর্বাভাস

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল (NUH) এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর গবেষকেরা দেখতে পেয়েছেন, যেসব নারীর ক্রিয়েটিনিন-টু-সিস্টাটিন সি অনুপাত (CCR) কম, তাদের শরীরের পেশি তুলনামূলকভাবে কম এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটার গতি কমে যায়।

ক্রিয়েটিনিন মূলত পেশির স্বাভাবিক কার্যকলাপের একটি উপজাত এবং এর বেশি মাত্রা মানে পেশির পরিমাণ বেশি অথবা কিডনির কার্যকারিতায় সমস্যা হতে পারে। অপরদিকে, সিস্টাটিন সি একটি প্রোটিন, যা শরীরের কোষে তৈরি হয় এবং কিডনি দ্বারা ছেঁকে ফেলা হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত কিডনির স্বাভাবিক কাজের ইঙ্গিত দেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, CCR যদি ৮.১৬-এর নিচে থাকে, তাহলে উরুর পেশি গড়ে ০.৩৫ লিটার কম হয় এবং হাঁটার গতি প্রতি সেকেন্ডে ০.০৪৯ মিটার কমে যায়।

এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে CCR হতে পারে বয়সভিত্তিক পেশিশক্তি হ্রাসের পূর্বাভাস, যা পড়ে গিয়ে আহত হওয়া, দুর্বলতা ও জীবনের গুণগত মান কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এই গবেষণাটি ‘Menopause’ নামক আন্তর্জাতিক পর্যালোচিত সাময়িকীতে মার্চ মাসে প্রকাশিত হয়।

সিঙ্গাপুরের মধ্যবয়সী নারীদের স্বাস্থ্যচিত্র

NUH এবং NUS ইয়ং লু লিন স্কুল অব মেডিসিনের ইন্টিগ্রেটেড উইমেনস হেলথ প্রোগ্রাম (IWHP) মূলত ৪৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ১,২০০ চীনা, মালয় এবং ভারতীয় নারীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ট্র্যাক করার জন্য ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে শুরু হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশই তখন মেনোপজ-পরবর্তী অবস্থায় ছিলেন।

এই গোষ্ঠীর প্রথম গবেষণা, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ‘Maturitas’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায়, নারীদের মধ্যে গাঁটব্যথা ও পেশি-ব্যথা সবচেয়ে বেশি জানানো উপসর্গ, যার প্রভাব ছিল মোট অংশগ্রহণকারীর এক-তৃতীয়াংশের ওপর।

পেশি দুর্বলতা ও ভিসারাল ফ্যাট: ডায়াবেটিসের দ্বিগুণ ঝুঁকি

২০২৪ সালের অক্টোবরে ‘Diabetes, Obesity and Metabolism’ পত্রিকায় প্রকাশিত আরেক গবেষণায় উঠে আসে, যেসব নারীর পেশিশক্তি কম এবং পেটের ভেতরের (ভিসারাল) চর্বি বেশি, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ছিল ২.৬৩ গুণ বেশি

শুধুমাত্র উচ্চ ভিসারাল ফ্যাট থাকলেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১.৭৮ গুণ বেড়ে যায়। আর যাদের পেশিশক্তি কম, কিন্তু ভিসারাল ফ্যাট বেশি, তাদের ঝুঁকি বেড়ে দাঁড়ায় ২.৮৪ গুণ

গবেষণার মূল নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক ইউ লেয়ং ইয়ং বলেন, “পেশি চর্বি পোড়ায়। কিন্তু দুর্বল পেশিশক্তি থাকলে শরীরে কী হয়? ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কি বাড়ে?”

এই গবেষণায় নারীদের প্রাথমিক পেশি ও ফ্যাটের পরিমাপ নেওয়া হয়েছিল, যার ভিত্তিতে ৬ বছর পর দেখা হয় স্বাস্থ্য পরিবর্তনের ধারা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার। তখন ৯০ শতাংশ নারী ছিলেন মেনোপজ-পরবর্তী অবস্থায়।

স্কিনি ফ্যাট” নারীদের সতর্ক হবার সময়

অধ্যাপক ইয়ং বলেন, “সিঙ্গাপুরের অনেক নারীই ‘স্কিনি ফ্যাট’—দেখতে স্বাভাবিক ওজনের হলেও শরীরে পেটের চর্বি বেশি এবং পেশিশক্তি কম। হাঁটার গতি দিয়ে একজনের স্বাস্থ্য বোঝা যায়। যদি আপনি সোজা ও দ্রুত হাঁটতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্বাস্থ্য ভালো নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন এক পরীক্ষার দিক খুঁজছিলাম, যেটা দিয়ে আগেই অনুমান করা যাবে পেশিশক্তির অবস্থা ও হাঁটার গতি।”

ওজন নয়লক্ষ্য হোক পেশিশক্তি

IWHP-এর আগের গবেষণাও প্রমাণ করে যে নারীদের শুধু ওজন কমানোর দিকে নয়, বরং ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশিশক্তি বাড়ানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ডায়াবেটিস প্রতিরোধে।

বাস্তব প্রমাণ: সাবারিনা জুমারুদিন

IWHP গোষ্ঠীর একজন সদস্য সাবারিনা জুমারুদিন, যিনি প্রশাসনিক সহকারী এবং বর্তমানে ৫৯ বছর বয়সী, নিজের জীবনে এই গবেষণার সত্যতা উপলব্ধি করেছেন। আগে তার ওজন ছিল ৯৩ কেজি এবং তিনি ঘুমজনিত সমস্যা (স্লিপ অ্যাপনিয়া)-তে ভুগতেন।

২০১৮ সালে NUH-এ ব্যারিয়াট্রিক অস্ত্রোপচার করানোর পর তিনি ৩০ কেজির বেশি ওজন কমিয়েছেন।

তিনি প্রতিদিন এমআরটি স্টেশনে হেঁটে যান, বাসে না গিয়ে, এবং ট্রেনে উঠতে সিঁড়ি ব্যবহার করেন। বাসায় ফেরার পথে ঘুরে ফিরে হাঁটেন যেন প্রতিদিন ১০ হাজার ধাপ পূর্ণ হয়। নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম ও শ্বাসব্যায়াম করেন যাতে কেন্দ্রীয় পেশিগুলো শক্ত থাকে।

সাবারিনা বলেন, “আমি বুঝেছি, ছোট ছোট নিয়মিত পরিবর্তনগুলোই বড় প্রভাব ফেলে। দৈনন্দিন জীবনে যতটা পারি স্বাস্থ্যকর থাকার চেষ্টা করি। এতে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকি, এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও আত্মবিশ্বাস পাই।”