০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
৫৪০ কোটি টাকার ‘মাদক অর্থ’ পাচারে অভিযুক্ত বিক্রম সিং মজিঠিয়া উনসানে সমুদ্র সৈকতের রিসোর্ট উদ্বোধন: পর্যটনে বাজি ধরছে উত্তর কোরিয়া ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান এসএসসি টেস্টের দুই দিনে শ্রীলঙ্কার রাজত্ব রাসেল ভাইপারের হুমকি: শহরেও ঢুকছে বিপজ্জনক সাপ! মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি: মহাকাশে পাঠানো হলো গাঁজা গাছের বীজ ২০২৫ সালের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড, শীর্ষ দশে সিঙ্গাপুর নৌকার বাংলাদেশ: জেলা-জেলা ঘিরে এক ইতিহাস ও সংস্কৃতি ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট বা পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কী? কীভাবে এটি করা হয়? নেতানিয়াহুর বিচার বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে তথ্য নিয়ে

তথ্যই হবে আগামীর জ্বালানি

আগামীর বিশ্বে যুদ্ধ আর হবে না তেল, মসলাজাতীয় পণ্য বা খনিজ সম্পদ নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-নির্ভর একটি বাস্তবতায়, যুদ্ধ হবে তথ্যের দখল নিয়ে। এই নতুন বাস্তবতায় যেমন সেনাবাহিনীকে বাঁচিয়ে রাখতে দরকার খাবার, তেমনি এআইকে সচল রাখতে দরকার বিশাল পরিমাণ ডিজিটাল ‘খাবার’—অর্থাৎ তথ্য।

চিত্র বিশ্লেষণ, ভাষা বোঝা, বা যে-কোনো ধরণের স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ—সবকিছুর পেছনেই রয়েছে তথ্য। এআই যত বেশি ও যত ভালো মানের তথ্য পাবে, ততই তার কাজের সাফল্য বাড়বে।

ভুল তথ্য মানে হতে পারে মারাত্মক সিদ্ধান্ত

তথ্য যদি সঠিক না হয়, তাহলে সেটা এআই-এর জন্য ঠিক যেন বিষের মতো কাজ করে। যেমন মানুষ ভুল খাবার খেলে অসুস্থ হয়, তেমনি ভুল বা বিকৃত তথ্য দিলে এআই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে যা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই তথ্যের গুণমান এবং উৎস—উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য আসে নানা উৎস থেকে—সরকারি রেকর্ড, ব্যবহারকারীর সম্মতিতে সংগৃহীত জরিপ, ওয়েব স্ক্র্যাপিং, এমনকি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সংগৃহীত গোপন তথ্য থেকেও। মেইল, ফোন আলাপ, ক্রয়-বিক্রয়ের ইতিহাস, দৈনন্দিন অভ্যাস—সবকিছুই হয়ে উঠতে পারে এআইয়ের জ্বালানি।

তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবহার হতে পারে বৈধ বা অবৈধ

তথ্য শুধু বৈধ উপায়ে নয়, অবৈধ উপায়েও সংগৃহীত হতে পারে। আর ব্যবহারও হতে পারে জনকল্যাণে কিংবা ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্যে। ঠিক এ কারণেই তথ্য এক ধরনের অস্ত্র হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চীন তার বিশাল নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশাল তথ্যভান্ডার গড়ে তুলেছে। তারা হয়তো সরাসরি পশ্চিমা দেশগুলোর এআই ধ্বংস করতে চায় না, কিন্তু সেই তথ্যের ওপর নজর রাখতে চায়। অপরদিকে, রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়া যেহেতু প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না, তাই তারা এআই উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আগ্রহী।

তথ্য আক্রান্ত করে ধ্বংস করা যায় এআই

রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে তথ্যভান্ডারে ভাইরাস, বাগ বা বিকৃত উপাদান ঢুকিয়ে এআইকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব। পশ্চিমা উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন তথ্যভান্ডার কিনে নেয়, তখন এসব তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি।

ধরা যাক, কোনো স্বয়ংক্রিয় শিক্ষণপ্রক্রিয়ায় হিটলার বা দুগিনের চিন্তাধারা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়—এআই কি তখন মানবতা ধ্বংস করাকে যৌক্তিক ভাববে না? যদি এই ভুল শেখানো এআই একটি অস্ত্রনিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেয়, তাহলে কী ঘটতে পারে? কিংবা স্বচালিত গাড়ির ন্যাভিগেশন সিস্টেম যদি হ্যাক হয়ে মৃত্যুর পথে যাত্রীদের পাঠিয়ে দেয়?

এসব হয়তো কল্পকাহিনির মতো শোনায়, কিন্তু বাস্তবে এআইয়ের নিজস্ব চিন্তা নেই, অনুভূতিও নেই। ও কেবল যে তথ্য পায়, তাই বিশ্লেষণ করে। সুতরাং ভুল তথ্য দিলে ভুল সিদ্ধান্ত নেবে এআই, কোনো দয়া বা বিবেচনা ছাড়াই।

তথ্যের দখল নিয়ে শুরু হবে নতুন প্রতিযোগিতা

যেহেতু এআই ক্রমে অর্থনীতির কেন্দ্রে চলে আসছে, তাই তথ্যের দখল নিয়ে বড় বড় খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াই বাড়বে। তথ্যের ওপরে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় সরকারগুলো। একদিকে তথ্য নিয়ন্ত্রণের আইন আসবে, অন্যদিকে ব্যক্তিগত মালিকানার তথ্যের নিরাপত্তা নিয়েও বাড়বে উদ্বেগ।

তথ্য পরিশোধন (ডেটা ক্লিনজিং)—এই প্রক্রিয়ায় ভুল বা অনির্ভরযোগ্য তথ্য সরিয়ে দিয়ে, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন তথ্য রেখে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু অপরাধী গোষ্ঠীগুলো সচেতনভাবে এমন তথ্যভান্ডার প্রস্তুত করতে পারে, যেগুলোর মাধ্যমে বড় তথ্যভান্ডারগুলো সংক্রমিত হয়। আর সবত্রই সব বাগ বা সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

ইউরোপের প্রথম বড় পদক্ষেপ: একটি নীতি চুক্তি

২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে ইউরোপীয় কাউন্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল অনুমোদন করে—“কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন”। এটি ছিল এআই নিয়ন্ত্রণে প্রথম বড় পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা এই চুক্তিতে সই করলেও চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া বা ইরান নেই।

এটা স্পষ্ট, বিশ্বের কিছু পুনর্নির্মাণবাদী রাষ্ট্র চতুর্থ প্রযুক্তি বিপ্লব থামিয়ে দিতে চায়।

বড় প্রশ্ন: তথ্য কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে?

উন্মুক্ত এআই নির্মাতা সংস্থা ওপেনএআই মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে আবুধাবিতে একটি বিশাল তথ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণে সাহায্য করছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এটি হতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যকেন্দ্রগুলোর একটি—যার ধারণক্ষমতা ৫ গিগাওয়াট।

প্রশ্ন হলো, এত বড় তথ্যভান্ডারে কী ধরণের তথ্য সংরক্ষিত হবে? এবং এই তথ্য কতটা নির্ভরযোগ্য হবে? যদি কোনো অ্যালগরিদম ভুলভাবে ‘War and Peace’–এর লেখক লিও টলস্টয়ের পরিবর্তে দস্তয়েভস্কির নাম বলে, তাহলে আমরা কীভাবে জানব যে অন্য সিদ্ধান্তগুলো ঠিক আছে?

তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন প্রযুক্তি নির্মাতাদের তথ্যের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতার দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

তথ্য এখন আর নিছক উপাত্ত নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এটি হচ্ছে নতুন যুগের অস্ত্র, জ্বালানি, আর ক্ষমতার উৎস। এই তথ্যের নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা, গুণমান ও ব্যবহার—সবই আগামী দিনের বিশ্ব রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণ করবে।

৫৪০ কোটি টাকার ‘মাদক অর্থ’ পাচারে অভিযুক্ত বিক্রম সিং মজিঠিয়া

ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে তথ্য নিয়ে

০৮:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

তথ্যই হবে আগামীর জ্বালানি

আগামীর বিশ্বে যুদ্ধ আর হবে না তেল, মসলাজাতীয় পণ্য বা খনিজ সম্পদ নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-নির্ভর একটি বাস্তবতায়, যুদ্ধ হবে তথ্যের দখল নিয়ে। এই নতুন বাস্তবতায় যেমন সেনাবাহিনীকে বাঁচিয়ে রাখতে দরকার খাবার, তেমনি এআইকে সচল রাখতে দরকার বিশাল পরিমাণ ডিজিটাল ‘খাবার’—অর্থাৎ তথ্য।

চিত্র বিশ্লেষণ, ভাষা বোঝা, বা যে-কোনো ধরণের স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ—সবকিছুর পেছনেই রয়েছে তথ্য। এআই যত বেশি ও যত ভালো মানের তথ্য পাবে, ততই তার কাজের সাফল্য বাড়বে।

ভুল তথ্য মানে হতে পারে মারাত্মক সিদ্ধান্ত

তথ্য যদি সঠিক না হয়, তাহলে সেটা এআই-এর জন্য ঠিক যেন বিষের মতো কাজ করে। যেমন মানুষ ভুল খাবার খেলে অসুস্থ হয়, তেমনি ভুল বা বিকৃত তথ্য দিলে এআই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে যা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই তথ্যের গুণমান এবং উৎস—উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য আসে নানা উৎস থেকে—সরকারি রেকর্ড, ব্যবহারকারীর সম্মতিতে সংগৃহীত জরিপ, ওয়েব স্ক্র্যাপিং, এমনকি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সংগৃহীত গোপন তথ্য থেকেও। মেইল, ফোন আলাপ, ক্রয়-বিক্রয়ের ইতিহাস, দৈনন্দিন অভ্যাস—সবকিছুই হয়ে উঠতে পারে এআইয়ের জ্বালানি।

তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবহার হতে পারে বৈধ বা অবৈধ

তথ্য শুধু বৈধ উপায়ে নয়, অবৈধ উপায়েও সংগৃহীত হতে পারে। আর ব্যবহারও হতে পারে জনকল্যাণে কিংবা ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্যে। ঠিক এ কারণেই তথ্য এক ধরনের অস্ত্র হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চীন তার বিশাল নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশাল তথ্যভান্ডার গড়ে তুলেছে। তারা হয়তো সরাসরি পশ্চিমা দেশগুলোর এআই ধ্বংস করতে চায় না, কিন্তু সেই তথ্যের ওপর নজর রাখতে চায়। অপরদিকে, রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়া যেহেতু প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না, তাই তারা এআই উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আগ্রহী।

তথ্য আক্রান্ত করে ধ্বংস করা যায় এআই

রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে তথ্যভান্ডারে ভাইরাস, বাগ বা বিকৃত উপাদান ঢুকিয়ে এআইকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব। পশ্চিমা উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন তথ্যভান্ডার কিনে নেয়, তখন এসব তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি।

ধরা যাক, কোনো স্বয়ংক্রিয় শিক্ষণপ্রক্রিয়ায় হিটলার বা দুগিনের চিন্তাধারা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়—এআই কি তখন মানবতা ধ্বংস করাকে যৌক্তিক ভাববে না? যদি এই ভুল শেখানো এআই একটি অস্ত্রনিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেয়, তাহলে কী ঘটতে পারে? কিংবা স্বচালিত গাড়ির ন্যাভিগেশন সিস্টেম যদি হ্যাক হয়ে মৃত্যুর পথে যাত্রীদের পাঠিয়ে দেয়?

এসব হয়তো কল্পকাহিনির মতো শোনায়, কিন্তু বাস্তবে এআইয়ের নিজস্ব চিন্তা নেই, অনুভূতিও নেই। ও কেবল যে তথ্য পায়, তাই বিশ্লেষণ করে। সুতরাং ভুল তথ্য দিলে ভুল সিদ্ধান্ত নেবে এআই, কোনো দয়া বা বিবেচনা ছাড়াই।

তথ্যের দখল নিয়ে শুরু হবে নতুন প্রতিযোগিতা

যেহেতু এআই ক্রমে অর্থনীতির কেন্দ্রে চলে আসছে, তাই তথ্যের দখল নিয়ে বড় বড় খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াই বাড়বে। তথ্যের ওপরে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় সরকারগুলো। একদিকে তথ্য নিয়ন্ত্রণের আইন আসবে, অন্যদিকে ব্যক্তিগত মালিকানার তথ্যের নিরাপত্তা নিয়েও বাড়বে উদ্বেগ।

তথ্য পরিশোধন (ডেটা ক্লিনজিং)—এই প্রক্রিয়ায় ভুল বা অনির্ভরযোগ্য তথ্য সরিয়ে দিয়ে, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন তথ্য রেখে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু অপরাধী গোষ্ঠীগুলো সচেতনভাবে এমন তথ্যভান্ডার প্রস্তুত করতে পারে, যেগুলোর মাধ্যমে বড় তথ্যভান্ডারগুলো সংক্রমিত হয়। আর সবত্রই সব বাগ বা সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

ইউরোপের প্রথম বড় পদক্ষেপ: একটি নীতি চুক্তি

২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে ইউরোপীয় কাউন্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল অনুমোদন করে—“কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন”। এটি ছিল এআই নিয়ন্ত্রণে প্রথম বড় পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা এই চুক্তিতে সই করলেও চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া বা ইরান নেই।

এটা স্পষ্ট, বিশ্বের কিছু পুনর্নির্মাণবাদী রাষ্ট্র চতুর্থ প্রযুক্তি বিপ্লব থামিয়ে দিতে চায়।

বড় প্রশ্ন: তথ্য কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে?

উন্মুক্ত এআই নির্মাতা সংস্থা ওপেনএআই মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে আবুধাবিতে একটি বিশাল তথ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণে সাহায্য করছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এটি হতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যকেন্দ্রগুলোর একটি—যার ধারণক্ষমতা ৫ গিগাওয়াট।

প্রশ্ন হলো, এত বড় তথ্যভান্ডারে কী ধরণের তথ্য সংরক্ষিত হবে? এবং এই তথ্য কতটা নির্ভরযোগ্য হবে? যদি কোনো অ্যালগরিদম ভুলভাবে ‘War and Peace’–এর লেখক লিও টলস্টয়ের পরিবর্তে দস্তয়েভস্কির নাম বলে, তাহলে আমরা কীভাবে জানব যে অন্য সিদ্ধান্তগুলো ঠিক আছে?

তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন প্রযুক্তি নির্মাতাদের তথ্যের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতার দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

তথ্য এখন আর নিছক উপাত্ত নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এটি হচ্ছে নতুন যুগের অস্ত্র, জ্বালানি, আর ক্ষমতার উৎস। এই তথ্যের নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা, গুণমান ও ব্যবহার—সবই আগামী দিনের বিশ্ব রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণ করবে।